<p><strong>বয়স ৫০ বছর। ওজন ৫৮ কেজি। উচ্চতা ৫ ফুট। বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক দুর্বলতা বোধ হচ্ছে, নাক-মুখ শুকিয়ে আসে। আমার ডায়াবেটিস আছে ১২ বছর ধরে। এখন নিয়মিত দুটি করে ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন করছি। সমস্যা হলো, এতেও ডায়াবেটিস কমছে না। এদিকে খওয়ার রুচি কমে গেছে, ওজন কমে যাচ্ছে, মাঝেমধ্যে কাশি ও জ্বরও হচ্ছে। শরীরে সব সময়ই জ্বর জ্বর অনুভূত হয়।</strong></p> <p><strong>কল্পনা আক্তার মির্জাপুর,</strong> টাঙ্গাইল</p> <p>যেহেতু ডায়াবেটিস আছে, তাই নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাবেন। ডাক্তারের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োজনীয় পরিমাণে খাবেন। কখনো কখনো শুধু খাওয়ার ওষুধে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল হয় না। সে ক্ষেত্রে ইনসুলিন ইনজেকশন প্রয়োজন হতে পারে। অনেকে আবার ইনসুলিন ইনজেকশন নিতেই চান না বা ভয় পান। এমন রোগীর ক্ষেত্রে দিনে মাত্র একবার দিলেই চলে এমন ইনসুলিন কিন্তু যথেষ্ট ভালো। ইনজেকশনভীতি মূলত সূচের জন্য। সূচ বিভিন্ন ধরনের আছে। তাই চিকন সূচ ব্যবহার করলে রোগীর ব্যথা কম লাগে বা লাগে না বললেই চলে। ১০-১৫ দিন পর নতুন সূচ ব্যবহার করা উচিত। এ ছাড়া আপনি যে দুর্বলতাবোধের কথা বলেছেন, তা লাগার অন্যতম কারণ রক্তের গ্লুকোজ আধিক্য। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই দুর্বলতা নিরাময় সম্ভব। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে ওজনও কমে যাচ্ছে। জ্বর জ্বর ভাব রক্তশূন্যতা বা দুর্বলতার জন্য হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে ইনফেকশন বা ক্যান্সারের জন্যও জ্বর হতে পারে। তাই প্রথমে ডায়াবেটিসের ওষুধ পরিবর্তন করে ইনসুলিন নিন, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনুন। এর পরও জ্বর জ্বর ভাব থাকলে ডাক্তারের কাছে যান।</p> <p> </p> <p><strong>আমার বয়স ২৮ বছর, ওজন ৬২ কেজি, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। আমার পাঁচ বছর বয়সী এক সন্তান আছে, বর্তমানে গর্ভধারণ করেছি পাঁচ মাসের মতো। প্রচণ্ড দুর্বল লাগে, শরীর ব্যথা হয়, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা লাগে, মাঝেমধ্যে কাশিও হয় এবং পা ফুলে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য আছে। কোনো কাজ করতে ইচ্ছা হয় না। এ অবস্থায় আমি কী করব?</strong></p> <p><strong>ইয়াসমিন রহমান</strong> ,রাজশাহী</p> <p>আপনাকে প্রেগন্যান্সির বিভিন্ন পরীক্ষাসহ জেনারেল ফাংশন টেস্টগুলো করতে হবে। সঙ্গে কিডনি ও লিভারের অবস্থা জানার জন্য রক্তের কিছু পরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করা দরকার। আবার দেখতে হবে ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডজনিত রোগ আছে কি না। আপনি যে ধরনের বর্ণনা দিয়েছেন তা থেকে মনে হচ্ছে, হাইপো-থাইরয়েড সমস্যা আছে আপনার। সে জন্য এফপিফোর, টিএসএইচ পরীক্ষা করা দরকার। যদি পরীক্ষা করে দেখা যায়, হাইপো-থাইরয়েডিজমে ভুগছেন, তবে দেরি না করে ওষুধ সেবন করতে হবে। কারণ হাইপো-থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে গর্ভের সন্তানের বুদ্ধিমত্তা যথাযথভাবে বাড়ে না।</p> <p> </p> <p><strong>আমার বয়স ২১ বছর। ওজন ৫৯ কেজি। উচ্চতা ৫ ফুট। সমস্যা হলো মাসিক নিয়মিত হয় না। দুই থেকে তিন মাস পর পর হয়। কখনো মাসে আবার দুবারও হয়। মুখে অবাঞ্ছিত লোম অনেক, গোঁফের মতো হয়ে আছে, থুতনিতেও দাড়ির মতো আছে। পায়ের লোম খুব মোটা ধরনের। অনেকেই বলছে, আমার নাকি হরমোনঘটিত সমস্যা আছে। কিন্তু স্থানীয় ক্লিনিকগুলোতে ভালো হরমোন বিশেষজ্ঞ নেই। কী করতে পারি?</strong></p> <p><strong>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক</strong>, গোপালগঞ্জ</p> <p>সম্ভবত আপনি পিসিওডি নামের একটি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এটা একধরনের হরমোনজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্তদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। মাসিক অনিয়মিত হয়। ঘাড়ে, পায়ে, হাতের বিভিন্ন ভাঁজে কালো দাগ হতে পারে, বহু ক্ষেত্রে পুরুষ হরমোন বেশি থাকে। কিছু পরীক্ষা করা দরকার। যেমন—আল্ট্রাসনোগ্রাম, এলএইচ, এফএসএইচ, প্রোল্যাকটিন, সেরাম ইস্ট্রোজেন ও টেস্টেস্টেরন। বিবাহিত হলে টিভিএস করা যায়। অতিরিক্ত ওজন কমাতে নিয়মিত ডায়েট কন্ট্রোল, নিয়মিত হাঁটা ও ব্যায়াম করা প্রয়োজন। এ ছাড়া মেটফরমিন ও অন্যান্য ওষুধ দিয়ে এর চিকিৎসা করা যেতে পারে। অনেকের বন্ধ্যাত্ব সমস্যাও হয়। সে ক্ষেত্রে হরমোন বিশেষজ্ঞ ও গাইনি বিশেষজ্ঞ উভয়কেই দেখাতে পারেন।</p>