<p>শিশু যেন দিন দিন রক্তশূন্য হয়ে যাচ্ছে, এই উপসর্গ নিয়ে যখন কোনো সন্তানকে আনা হয় তখন যেসব রোগে শিশু আক্রান্ত হতে পারে বলে প্রথমে ধারণা জন্মে :</p> <p>♦          আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা—যার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বক্র কৃমি সংক্রমণ</p> <p>♦          থ্যালাসেমিয়া : বংশগত রোগ</p> <p>♦          অ্যাপ্লাসটিক অ্যানিমিয়া : রক্তকোষ উৎপাদনে বাধা</p> <p>♦          কিডনির দীর্ঘমেয়াদি অসুখ : ক্রনিক রেনাল ফেইলিয়র</p> <p>♦          তীব্র ব্লাড ক্যান্সার : এএলএল</p> <p>এর মধ্যে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতায় বেশ ভোগে এ দেশের শিশুরা। শিশুর রক্তের হিমোগ্লোবিন মাত্রা যদি তার বয়স ও লিঙ্গ অনুযায়ী স্বাভাবিক মানের নিচে থাকে, তবে সে রক্ত স্বল্পতায় ভুগছে বলা হয়। এক বছর বয়স হতে বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত সাধারণভাবে শিশুর হিমোগ্লোবিন ১১ গ্রাম বা ডেসি লিটারের নিচে থাকা রক্ত স্বল্পতার নির্দেশক।</p> <p>শিশু বয়সে আয়রন ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ :</p> <p>♦          অপরিণতভাবে জম্ম নেওয়া, শিশু লো বার্থওয়েট (জন্ম ওজন ২৫০০ গ্রাম বা তার নিচে)</p> <p>♦          গরুর দুধ পান</p> <p>♦          বক্র কৃমি সংক্রমণ</p> <p>♦          দীর্ঘদিন ধরে শুধু বুকের দুধ চালিয়ে যাওয়া</p> <p>♦          ছয় মাস বয়স হতে শিশুকে বুকের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার না খাওয়ানো</p> <p> </p> <p><strong>রোগচিত্র </strong></p> <p>♦          কোনো উপসর্গ প্রথম দিকে নাও থাকতে পারে</p> <p>♦          শিশুকে ফ্যাকাশে দেখায়</p> <p>♦          ক্লান্তিভাব</p> <p>♦          খাবারে রুচি নেই</p> <p>♦          শিশু ছাই, কয়লা, কাদামাটি, এসব অ-খাবার খেয়ে ফেলে</p> <p>♦          বুদ্ধি কম</p> <p>♦          মানসিক বিকাশে পিছিয়ে</p> <p>♦          আয়রনজনিত সমস্যা</p> <p>♦          শিশুর মাঝেমধ্যে শ্বাসরোধ  উপসর্গ  (ব্রেথ হোল্ডিং অ্যাটাক)</p> <p>♦          বারে বারে শ্বাসে শাঁই শাঁই শব্দ শোনা যায়।</p> <p> </p> <p><strong>ল্যাব পরীক্ষা :</strong> সিবিসি, পিবিএফ, হিমোগ্লোবিন মাত্রা কম, রক্তকণিকার নানা তথ্য বিশ্লেষণ সিরাম আয়রন ও ফেরিটিন মাত্রা কমে যাওয়া, টিআইবিসি মান বেড়ে যাওয়া।</p> <p> </p> <p><strong>মলে রক্ত :</strong> যদি বক্রকৃমি সংক্রমণ হয়</p> <p> </p> <p><strong>ব্যবস্থাপনা </strong></p> <p>♦          শিশুকে ঘন সবুজ শাকসবজি, লিভার, আনাজ কলা এসব খাদ্য বেশি খাওয়ানো</p> <p>♦          বিশেষজ্ঞ প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী আয়রন সিরাপ বা ট্যাবলেট</p> <p>♦          কম জন্ম ওজন শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ পান ও ছয় সপ্তাহ বয়স থেকে তিন মাসের জন্য আয়রন ওষুধ সেবন।</p> <p> </p> <p>বিভাগীয় প্রধান, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ</p>