<p>সাম্প্রদায়িক হিংসায় উসকানি দেওয়া এবং গণহত্যার অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস পেলেন ভারতের গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী মায়া কোডনানী। ২০০২ সালে গোধরাকাণ্ড-পরবর্তী হিংসায় আহমেদাবাদের নরোডা পাটিয়ায় সবচেয়ে বড় গণহত্যাটি ঘটেছিল। স্থানীয় বিধায়ক মায়া কোডনানী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘদিন জেলেও কাটাতে হয় তাঁকে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার গুজরাট হাইকোর্ট জানিয়ে দিলেন, মায়া কোডনানীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণ করা যায়নি।</p> <p>২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জন করসেবকের মৃত্যু হয়। তার পরই সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাটে। ২৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদলাগোয়া নারোডা পাটিয়ায় সংখ্যালঘু মুসলিম মহল্লায় ভয়ংকর হামলা হয়। এতে অন্তত ১০০ জনের মৃত্যু হয়। এলাকার বিধায়ক মায়া কোডনানী সেই হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থেকে হিংসায় উসকানি দিয়েছিলেন মায়া, দাঙ্গাকারীদের হাতে তলোয়ার তুলে দিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।</p> <p>২০০২ সালে সাম্প্রদায়িক হিংসা-পরবর্তী নির্বাচনে মায়া নরোডা কেন্দ্র থেকে এক লাখ ১০ হাজার ভোটে জয়ী হন। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। এর মধ্যেই ২০০৭ সালে তিনি নরোডা থেকে ফের  ভোটে জয়ী হন। নরেন্দ্র মোদি তাঁকে নিজের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করেন, গুজরাটের নারী ও শিশুকল্যাণ দপ্তর পান মায়া। কিন্তু ২০১২ সালে আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বছর দুয়েক জেলে কাটানোর পর ২০১৪ সালে অসুস্থতার কারণে জামিন পান মায়া কোডনানী। এবার তিনি বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।</p>