সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিং ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। গতকাল শনিবার চীনে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইন বৈঠকে দুই নেতা এ ঐকমত্য ব্যক্ত করেন। এর মধ্য দিয়ে উভয় দেশ উইঘুর মুসলিম ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ চাপা দিতে যাচ্ছে। বৈঠকে শি চিন পিং চীনের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়—এমন কোনো কাজে আংকারার সায় না দেওয়ার প্রতিশ্রুতির জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান। চীন আশা করে, উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই থেকে আরো বাস্তবভিত্তিক ফল লাভ করতে পারবে। এরদোয়ান বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয়। এই দীর্ঘমেয়াদি বিষয় নিয়ে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আলোচনা হয়ছে। এরদোয়ান তাঁর বক্তব্যে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির ওপর জোর দেন এবং আংকারার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহযোগিতা করার জন্য পেইচিংকে ধন্যবাদ জানান। প্রসঙ্গত, চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিংচিয়ান প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীন সরকারের আচরণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অসন্তোষ ব্যক্ত করে আসছে তুরস্ক। ভাষা ও জাতিগতভাবে তুরস্কের সঙ্গে মিল রয়েছে উইঘুর মুসলিমদের। এক বছর আগেও এরদোয়ান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি চীনে ধর্মীয় কারণে নির্যাতনের শিকার উইঘুর মুসলিম অভিবাসী ও মানবাধিকারকর্মীদের জন্য তাঁর দেশের দরজা খোলা রাখবেন। পেইচিংও দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকজন অপরাধ সংঘটিত করে তুরস্কে পালিয়ে যায় এবং তারা সিরিয়া ও ইরাকে জঙ্গিদের পক্ষে যুদ্ধ করছে। সূত্র : রয়টার্স।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের