গণতন্ত্রের পথে মিয়ানমারের উত্তরণ ঘটলেও সেখানকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের অবস্থা আগের মতোই ‘শোচনীয়’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা। রোহিঙ্গা শিশুরা জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছে না।
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সমন্বয় কার্যা লয়ের (ইউএনওসিএইচএ) পরিচালক জন গিং জানান, গেল ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমার সফরে গিয়ে সেখানকার শরণার্থী শিবিরের অবস্থা দেখে তিনি স্তম্ভিত। তিনি জানান, শিবিরের অস্থায়ী আশ্রয়গুলো একেবারে পড়ো পড়ো। কেবল সাম্প্রদায়িক ভিন্নতার কারণে রোহিঙ্গা মুসলমানরা চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গত মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে এক বিবৃতিতে গিং এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এতগুলো শিশুকে এমন ভয়ানক অবস্থায় দেখাটা হৃদয়বিদারক।’ এক রোহিঙ্গা নারীর বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত ডিসেম্বরে ওই নারীর এক মাসের কম বয়সী শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়েও বাঁচানো যায়নি। ওই মুহূর্তে শিশুটির অক্সিজেনের দরকার পড়লেও চিকিৎসকরা সেবা দিতে অস্বীকার করায় শিশুটি মারা যায়।
ইউএনওসিএইচএর আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, গণতন্ত্রের পথে পা ফেলা মিয়ানমারে সহিংসতার কারণে যেসব রোহিঙ্গা ও অন্যান্য গোষ্ঠী বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের কথা ‘কোনোভাবেই ভুলে যাওয়া যাবে না।’ এতে আরো বলা হয়, ‘মিয়ানমার একটি অসাধারণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের দ্বার খুলে যাচ্ছে। তবে মিয়ানমারের প্রত্যেকে এই পরিবর্তনের সুবিধা পাচ্ছে না।’
গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে জনতার বিপুল ভোটে নিরঙ্কুশ জয় পায় অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। রোহিঙ্গা মুসলমানদের সুরক্ষার কথা বললেও গেল নির্বাচনে তিনি এনএলডির হয়ে কোনো মুসলমান প্রার্থীকে মাঠে নামাতে পারেননি। নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকারবঞ্চিত রোহিঙ্গাদের সু চির সরকার কী করতে পারে, সেদিকে বিশ্লেষকদের তীক্ষ্ন নজর রয়েছে।
সূত্র : এএফপি।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের