<p>... আওলাদে রসুল (দ.) আল্লামা তৈয়ব শাহ্ (রহ.) ১৯৭৪ সালে এ জুলুসের প্রবর্তন করেন। তিনি ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এতে নেতৃত্ব দেন। এর পর থেকে তাঁরই ছেলে দরবারে আলীয়া ছিরিকোট শরীফের সাজ্জাদানশীন আওলাদে রসুল (দ.) রাহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরিকত হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আগামী ১২ রবিউল আউয়াল ২ ডিসেম্বর তাঁর নেতৃত্বে নগরীতে জুলুস বের হবে ...</p> <p> </p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/November/29-11-2017/kalerkantho-3-2017-11-29-04a.jpg" style="float:left; height:140px; width:177px" />পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে আগামী শনিবার ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে ‘জশনে জুলুস’ বের হবে। এবার জুলুসের ৪৪তম আয়োজন।</p> <p>আয়োজকেরা জানান, শনিবার জুলুসে ৩০ লাখ মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জুলস আয়োজনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের সহযোগিতায় আনজুমানে রহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ এ জুলুসের আয়োজন করে থাকে।</p> <p><img alt="" src="/ckfinder/userfiles/images/print/2017/Print-2017/November/29-11-2017/kalerkantho-3-2017-11-29-04b.jpg" style="float:right; height:524px; width:400px" />জানা যায়, আওলাদে রসুল (দ.) আল্লামা তৈয়ব শাহ্ (রহ.) ১৯৭৪ সালে এ জুলুসের প্রবর্তন করেন। তাঁর নেতৃত্বে জুলসটি বর্ণাঢ্য অবয়ব পায়। তিনি ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত এতে নেতৃত্ব দেন। পরে এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর ছেলে দরবারে আলীয়া ছিরিকোট শরীফের সাজ্জাদানশীন আওলাদে রসুল (দ.) রাহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরিকত হযরত সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্ জুলুসে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। আগামী ২ ডিসেম্বর তাঁর নেতৃত্বে ৪৪তম জুলুস অনুষ্ঠিত হবে।</p> <p>গাউসিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘২৯ নভেম্বর ঢাকায় এবং ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামে এবার জুলুসের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি জুলুসে প্রায় ৩০ লাখ মানুষের সমাগম হবে।’</p> <p>চট্টগ্রামের এ জুলুস ‘বিশ্বের বৃহত্তম জুলুস’ দাবি করে তিনি জানান, গত একমাস ধরে চলছে জুলুসের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে জুলুসের মিলনস্থান জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা মাঠে চলছে বিশাল প্যান্ডেল তৈরির কাজ। নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে শোভা পাচ্ছে মনোরম ব্যানার, ডিজিটাল ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন ও বিশাল তোরণ। তাছাড়া সিটি করপোরেশনকে বিশেষ অনুরোধের মাধ্যমে মুরাদপুর মোড় থেকে বিবিরহাট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক জরুরিভিত্তিতে মেরামত</p> <p>করা হয়েছে।</p> <p>জানা গেছে, জুলুস আয়োজনের লক্ষ্যে আনজুমান নানা প্রস্তুতি নিয়েছে। গঠিত হয় ২০টি উপকমিটি। জুলুসের দিন সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানবাহন নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় তিন হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক। জুলুসে হুজুরের গাড়ির নিরাপত্তায় থাকবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ‘আনজুমান সিকিউরিটি ফোর্স (এএসএফ)’। মাদ্রাসার আশপাশে মুসল্লিদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে শতাধিক অস্থায়ী শৌচাগার।  </p> <p>আনজুমান ট্রাস্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও চট্টগ্রামের এই জুলুস নগরীর পশ্চিম ষোলশহর আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরীয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া হতে সকাল ৮টায় শুরু হবে।</p> <p>এর পর নগরের বিবিরহাট, মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, চকবাজার, সিরাজদ্দৌলা রোড হয়ে আন্দরকিল্লা, চেরাগি পাহাড় মোড়, জামালখান, প্রেস ক্লাব, গণিবেকারি, চট্টগ্রাম কলেজ হয়ে পুনরায় চকবাজার, পাঁচলাইশ, মুরাদপুর বিবিরহাট হয়ে জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসায় মাহফিলে মিলিত হবে। সেখানে আল্লামা সৈয়দ</p> <p>মুহাম্মদ তাহের শাহর ইমামতিতে জোহরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।</p> <p>আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এ জশনে জুলুসে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলা ছাড়াও তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভক্তরা বাস-ট্রাক ও মাইক্রোযোগে মাহফিলে যোগ দেন। জুলুসের দিন নগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট হতে টাইগার পাস, বিশ্বরোডের উভয় পাশ এবং বিবিরহাট থেকে অক্সিজেন, মুরাদপুর থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত জুলুসের গাড়িতে বিস্তীর্ণ এলাকা এক ভিন্ন রূপ নেয়।</p>