<p>বাঁশখালী-সাতকানিয়া প্রধান সড়কের চারটি কালভার্টের সংযোগ সড়কের কাজ না করে বিল উত্তোলনের অভিযোগ ওঠেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে বরাদ্দের ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা সমপ্রতি উত্তোলন করেছেন ঠিকাদার। সড়কটিতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।</p> <p>জানা গেছে, বাঁশখালী-সাতকানিয়া সড়কের চূড়ামণি, গুচ্ছগ্রাম, ব্রিকফিল্ড ও সেগুনবাগান এলাকায় চারটি কালর্ভাট নির্মাণের কার্যাদেশ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাশেম কন্সট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং। ব্যয় ধরা  হয় ২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। কালভার্টগুলো যেনতেন ভাবে নির্মাণ হলেও সিডিউলের শর্ত অনুসারে দুই পাশে সংযোগ সড়কে কার্পেটিং করা হয়নি। অথচ ‘কাজ শেষ হয়েছে’ দেখিয়ে গত জুন মাসে যাবতীয় বিল উত্তোলন করা হয়েছে।</p> <p>ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. কাশেম বলেন, ‘সময় হলে কাজ করব। কারো কথায় কাজ করার জন্য ঠিকাদারি করছি না। নিয়মানুযায়ী বিল উত্তোলন করা হয়েছে। এটি দুর্নীতি নয়, দেশিয় সিস্টেম।’</p> <p>এ প্রসঙ্গে দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়ার সঙ্গে ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে সড়ক ও জনপথ চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বিধান চন্দ্র ধর বলেন, ‘ওই সড়ক দিয়ে দীর্ঘদিন আমার যাওয়া হয়নি। তবে বিল উত্তোলনের পর সংযোগ সড়কের কাজ না করে থাকলে বিষয়টি জরুরিভিত্তিতে দেখা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’</p>