<p>বৃহস্পতিবার এক সন্ত্রাসী হামলায় ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে ৪৯ জন ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশটির ওই অঞ্চলে মুসলমানদের ওপর হামলা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মুসলমানরা জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ।</p> <p>শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরে মুসলমানদের ওপর সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে টুইট করে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এ মন্তব্য করে। এ ঘটনায় তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।</p> <p>পরপর পোস্ট দেয়া কয়েকটি টুইটে তিনি বলেন, ৪৯ সিআরপিএফ সদস্যদের হত্যায় কোনো কাশ্মীরি বা মুসলমান জড়িত নয়।</p> <p>তিনি ভারত সরকারের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতিগত (কাশ্মীরি) বা ধর্ম (মুসলমানদের) কারণে নির্দোষ মানুষের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। গতকালের ঘটনায় তাদের ছাড় দিয়ে সম্মান করার কোনো উপায় নেই।</p> <p>তিনি বলেন, আমি রাজনৈতিক নেতা ও সুশীল সমাজরে কাছে আশা করছি ঠাণ্ডা মাথায় ঘটনা মোকাবেলা করার জন্য।</p> <p>তিনি বলেন, জম্মুর কাশ্মীরি বা মুসলমানরা গতকালকে সিএরপিএফ সদস্যদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেনি। এই হিংস্রতাকে সুবিধাজনক হাতিয়ার হিসেবে কিছুলোক দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।</p> <p>গতকালের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং শ্রীনগর পৌঁছে আওন্তীপাড়ার হামলার ঘটনায় এলাকাটিতে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন। বিশেষ করে কলেজ ও প্রতিষ্ঠান যেখানে কাশ্মীরি বসবাস করছে বা অধ্যয়ন করছে।</p> <p>তিনি এ তদন্তের ঘটনাকে 'সফট টার্গেট' উল্লেখ করেছেন।</p> <p>এর আগে বৃহস্পতিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশটির বিশেষায়িত বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪৯ জন জওয়ান নিহত হয়েছেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।</p> <p>বৃহস্পতিবার সিআরপিএফ সদস্যদের বহন করা দুটি গাড়িতে জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণে জওয়ানরা নিহত হয়। জওয়ানদের একটি বাসের মাধ্যমে অন্যটির বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বাসটিতে ৫৪ ব্যাটালিয়ন সিআরপিএফ জওয়ানরা ছিল।</p> <p>প্রতিবেদনে বলা হয়, আইইডির বিস্ফোরণের পর শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।</p> <p>সিআরপিএফের অপারেশন আইজি জুলফিকার হাসান বলেন, জম্মু থেকে শ্রীনগর যাওয়ার পথে ৭০টি যানবহন ছিল। এর মধ্যে একটিতে হামলা করা হয়। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় কাশ্মীর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।</p> <p>সূত্র: গ্রেটার কাশ্মীর ও হিন্দুস্তান টাইমস</p>