<p>পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেছেন এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যের সম্পর্ক ঠিক হওয়া মুশকিল। দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক হওয়ার আর কোনও আশা নেই। আসিফের দাবি, ভারত বারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। আর এই কারণেই দুদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক ঠিক হওয়ার আর কোনও রাস্তা নেই।</p> <p>আজ রবিবার সকালেই পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতে উড়ে গেছে গুলি মর্টার শেল। কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরের বালাকোটে এই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকিস্তান। মৃত্যু হয় পাঁচ কাশ্মীরির। দুজন গুরুতর আহত।</p> <p>ঠিক এসময়ই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও অভিযোগ করলেন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির আর কোনও রাস্তা নেই। কারণ ভারত সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে। এরকম হলে নাকি দুদেশের সম্পর্ক কোনও দিন ঠিক হবেনা।</p> <p>পাকিস্তানের আরও অভিযোগ ভারতে তাদের কূটনীতিকদের উপর অত্যাচার হয়েছে। এরফলে দুদেশের মধ্যে মৌখিক যুদ্ধ চলছে। এক পাকিস্তানি সংবাদপত্রের খবরে প্রকাশ, ভারতের ছোঁড়া গুলি সীমান্ত পার করে পাকিস্তান অধিগৃহীত কাশ্মীরে বসবাসকারী দুজনকে জখম করেছে। তারপরের দিনই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা বলেছেন।</p> <p>পাকিস্তানের সরকারি বেতার সংস্থা জানিয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রণরেখা ও সীমান্তের কাজকর্মের জায়গায় বারবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দুদেশের সম্পর্কের উন্নতির কোনও আশা করা যাচ্ছেনা।</p> <p>উল্লেখ্য, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ভারতের উপর গোলাগুলি চালাচ্ছে এই অভিযোগে ভারতে পাকিস্তানের কূটনীতিকদের বহুবার ডেকে পাঠায় ভারত সরকার। </p> <p>অন্যদিকে, গত মাসে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে দাবি করা হয় ২০১৮ এর শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত ১৯০ বারেরও বেশি ভারতীয় সেনার তরফ থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। যাতে বহু পাকিস্তানি নাগরিক আহত হয়েছেন।</p> <p>কিন্তু ভারতের তরফে পাকিস্তানকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে দুদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করার দায়িত্ব পাকিস্তানের উপরই বর্তায়। ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হন্সরাজ গঙ্গারাম অহির চলতি মাসের শুরুতেই সংসদে বলেন, ‘কোনও অর্থবহ আলাপ আলোচনা শুধুমাত্র সন্ত্রাস, হিংসা ও শত্রুতাহীন পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়েই করা সম্ভব। এই রকম ভাল পরিস্থিতি তৈরি করার দায়িত্বভার পাকিস্তানের উপরই রয়েছে। ভারতীয় সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ চললে তার জবাব দিতে আমাদের কঠিন পদক্ষেপ নিতেই হবে।’</p>