আফগানিস্তানের উত্তরের কুন্দুজ শহর দেশটির পঞ্চম সর্ববৃহৎ। তিন লাখের বেশি মানুষের বাস সেখানে। একসময় তালেবানের দুর্গ হিসেবে পরিচিক ছিল কুন্দুজ।
নারীরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিল মেয়েদের জন্য। তবে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর থেকে পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই বাইরে বের হতে পারছেন নারীরা।
স্বামী, বাবা ছাড়াই কাজে যেতেও পারছেন নারীরা। মেয়েরা স্কুলে এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়েও যেতে পারছেন। তবে সঙ্কটটা তৈরি হচ্ছে মাদ্রাসার ক্ষেত্রে।
মানবাধিকার কর্মীরাও আশঙ্কা করছেন, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত নারীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। জানা গেছে, আফগানিস্তানে এক হাজার তিনশ মাদ্রাসা রয়েছে নিবন্ধন ছাড়াই। সেখানে বাচ্চারা ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষা লাভ করে।
এছাড়া কিছু মাদ্রাসায় মূলধারার শিক্ষাও দেয়া হয়। তবে স্থানীয় দু'জন মুফতির অর্থায়নে পরিচালিত আশরাফ উল মাদারেস নামক প্রতিষ্ঠানে ছয় হাজার নারী পড়াশোনা করে।
সেখানে ইসলাম ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়া হয়। সাধারণত পুরুষ শিক্ষকরাই তাদের শিক্ষা দেন।
প্রতিষ্ঠানটিতে হিজাবে সম্পূর্ণ মুখ ঢেকে ক্লাসে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। সেখানকার ছাত্রীরা মাদ্রাসার বাইরে আলজাজিরার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মানতে তারা বাধ্য। সেখানে হিজাব পরাটাই নিয়ম। ইসলাম, শরিয়াহর ব্যাপারে তারা অনেক কিছু জানতে পারলেও অন্যান্য বিষয়ে অনেকটাই তাদের অজানা।
ছাত্রীদের অভিযোগ, এগুলোর বাইরে তারা অনেকটাই অন্ধের মতো। সেই হিসেবে নিজেদের নিরক্ষর বলেও মনে করে অনেক শিক্ষার্থী।
তাদের অভিযোগ, তালেবানের চেয়েও মাদ্রাসার শিক্ষকরা অনেকাংশে কড়া নিয়ম চালু করেছেন।
সূত্র : আলজাজিরা
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের