<p>প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবের উপরে অনাস্থা এনে তারই ক্ষমতাসীন দল জানু-পিএফ পার্টি তাকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছে। এই খবর প্রকাশ করেছে জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। খবর বিবিসির। দেশটির হেরাল্ড নিউজ পেপারের সংবাদ অনুযায়ী, দেশটির ১০টি আঞ্চলিক শাখা থেকেই মুগাবেকে পদত্যাগের জন্য ডাক দেওয়া হয়েছে। শনিবারে দেশটির রাজধানী হারারেতে একটি বিক্ষোভ সমাবেশ হবার কথা রয়েছে। সেনা সমর্থনেই এই সমাবেশ হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।<br /> <a class=\"title hidden-xs hidden-sm\" href=\"http://www.kalerkantho.com/online/world/2017/11/18/567043\" title=\"\">মুগাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে প্ররোচিত করছে সেনাবাহিনী</a><br /> সেই বিক্ষোভের আগেই জানু-এফ পার্টির আঞ্চলিক শাখাগুলো তাকে পদত্যাগের জন্য এই ডাক দেয়া হলো। দেশটির উদারপন্থীরাও তাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে। সেনারা জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নেবার পর থেকে মুগাবে গৃহবন্দি আছেন যদিও তিনি পদত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। সেনারা দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেবার পর শুক্রবার প্রথমবারের মতো তাকে জনসমক্ষে দেওয়া যায়। সে সময় তিনি একটি সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন।<br /> <a class=\"title\" href=\"http://www.kalerkantho.com/online/world/2017/11/17/566763\" title=\"\">মুগাবের বিদায় চূড়ান্ত, চলছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের চেষ্টা</a><br /> ১৯৮০ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের ক্ষমতায় রয়েছেন ৯৩ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে। প্রেসিডেন্ট মুগাবে গত সপ্তাহে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করলে এই রাজনৈতিক সংকটের সূচনা হয়।</p> <p>নানগাগওয়াকে এতদিন প্রেসিডেন্ট মুগাবের উত্তরসূরি ভাবা হলেও সম্প্রতি তার জায়গায় ফার্স্ট লেডি গ্রেস মুগাবের নাম সামনে চলে আসে। এর জের ধরে নানগাগওয়াকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। আর তারপরই দেশটির ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী।</p> <p> </p>