<p>ভারতের ১৪তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন রামনাথ কোবিন্দ। এইমুহূর্তে রাষ্ট্রপতি ভবন রয়েছে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের বিস্তারের সাক্ষী এই ভবন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে এই ভবনকে ভাইসরয় হাউস বলা হত। রাষ্ট্রপতি ভবনের সঙ্গে জড়িয়ে বিশেষ কিছু তথ্য রইল আপনার জন্য</p> <p>১) ইতালির কিউরেনল প্যালেসের পরে বিশ্বের সবথেকে বড় বাসভবন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন। এই ভবন তৈরি হতে ১৭বছর সময় লেগেছিল। ১৯১২সালে এর নির্মাণকার্য শুরু হয়েছিল। ১৯২৯সালে এটি ব্রিটিশ সরকারের হাতে সমর্পণ করে দেওয়া হয়। প্রায় ২৯হাজার শ্রমিক-কর্মচারীর সাহায্যে তৈরি হয়েছিল এই বিশাল বাসস্থান।</p> <p>২) এই ভবনে ৩০০টি কক্ষ রয়েছে।</p> <p>৩)এখানে ৭৫০কর্মচারী কাজ করে। ৫০জন রান্নার কাজ করে। বিশ্বের যে কোনও ধরনের পদ তৈরি করতে দক্ষ এই রাঁধুনিরা।</p> <p>৪) এই বাসভবন তৈরি করতে গিয়ে মালচ গ্রামের রায়সিনি পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। এলাকা ছিল পাহাড়ি। তাই রাষ্ট্রপতি ভবনকে রাইসিনা হিলস ও বলা হয়ে থাকে। এর নির্মাণের সময় আর্কিটেক্ট এডিয়ন ল্যান্ডসির-এর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। তিনিই এর নকশা তৈরি করেছিলেন।</p> <p>৫) স্বাধীনতার আগে ভাইসরয় এখানেই থাকতেন।</p> <p>৬) রাষ্ট্রপতি ভবনের মধ্যে মুঘল গার্ডেন কে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে জনসাধারণের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়। দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটক আসেন এই বাগানের শোভা উপভোগ করতে।</p> <p>৭) এছাড়াও এখানে অন্যান্য অনেক বাগানও রয়েছে। যার মধ্যে গোলাকৃতি বাগান সবথেকে উল্লেখযোগ্য।</p> <p>৮) রাষ্ট্রপতি ভবনের ব্যাঙ্কোয়েত হলে ১০৪জন অতিথির একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিদের ছবি এই হলে রয়েছে।</p> <p>৯) রাষ্ট্রপতি ভবনের এক সংগ্রহশালায় একটি রুপার চেয়ার রয়েছে, যার ওজন ৬৪০কিলোগ্রাম। ১৯১১সালে দিল্লি দরবারে পঞ্চম জর্জ এই চেয়ারে বসেছিলেন বলে জানা যায়।</p> <p>১০) রাষ্ট্রপতি ভবনের অশোক হলে শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান হয়। দেশ বিদেশের গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের ছবি দিয়ে সজ্জিত এই হল।</p> <p>১১) প্রতি শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ ৩০মিনিটের জন্য চেঞ্জ অব গার্ড-এর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। এটি দেখার জন্য শুধুমাত্র নিজের ছবিসহ পরিচয়পত্র দেখাতে হয়।</p> <p>১২) রাষ্ট্রপতি ভবনে শিশুদের জন্য ২টি গ্যালারি রয়েছে।</p>