পাঁচ দিন ধরে গর্ভে মৃত সন্তান বয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে ঘুরেছেন এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে না পারায় কোথাও তাঁর চিকিৎসার ন্যূনতম ব্যবস্থাটুকু হয়নি। অবশেষে সারা শরীরে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়ে মঙ্গলবার মৃত্যু হল সরস্বতী মোহান্ত নামে ২২ বছরের তরুণীর। মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী ভারতের ছত্তিসগড়ের কোরবা জেলায়।
দিন পাঁচেক আগে আট মাসের ভ্রুণ গর্ভেই মারা যায় সরস্বতীর। ছত্তিসগড়ের কোরবা জেলার কোদিবাহারের বাসিন্দা সরস্বতী ও তাঁর স্বামী গুলাবদাস এরপর ঘুরে বেড়ান এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল। পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হওয়ায় যমুনাদেবী মেমোরিয়াল মেটারনিটি হাসপাতালে গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে যান যমুনাদাস। সেখানে স্ক্যান করে ডাক্তাররা জানিয়ে দেন যে গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃত ভ্রুণ বের করতে ১০ হাজার টাকা তিন বোতল রক্ত লাগবে বলে জানিয়ে দেন ডাক্তাররা।
রক্ত ও টাকা কোনওটাই জোগাড় করতে না পেরে সেখান থেকে অন্য হাসপাতালে যান যমুনাদাস ও সরস্বতী। কিন্তু টাকা না থাকায় যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকা সরস্বতীকে ফিরিয়ে দেয় তারাও। এই ভাবে তিন-তিনটে হাসপাতাল ঘোরে তারা। এর মধ্যে ইনফেকশন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা শরীরে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি বুঝে সরস্বতীকে ভর্তি করে দ্রুত অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন সৃষ্টি হাসপাতালের ডাক্তাররা। কিন্তু তার আগেই সোমবার মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ছত্তিসগড়ের মহিলা কমিশন। - সূত্র : এই সময়
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের