ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭

ঢাকা, রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫
৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মহররম ১৪৪৭
পবিত্র কোরআনের আলো । ধারাবাহিক

কিয়ামত বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই

অন্যান্য
অন্যান্য
শেয়ার
কিয়ামত বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই

২১. এভাবে আমি (মানুষকে) তাদের বিষয়ে জানিয়ে দিলাম, যাতে তারা জানতে পারে যে আল্লাহর ওয়াদা সত্য এবং কিয়ামত বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। যখন তারা তাদের কর্তব্যের বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করছিল তখন অনেকে বলল, তাদের ওপর এক স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করো। তাদের প্রতিপালক তাদের বিষয়ে ভালো জানেন। তাদের কর্তব্য বিষয়ে যাদের মত প্রবল হলো তারা বলল, নিশ্চয়ই আমরা তাদের (কবরের) ওপর মসজিদ নির্মাণ করব।

[সুরা : কাহফ, আয়াত : ২১ (প্রথম পর্ব)]

তাফসির : আগের আয়াতে বলা হয়েছিল, গুহায় আশ্রয় নেওয়া যুবকরা ৩০৯ বছর ঘুমানোর পর জেগে ওঠে। পরে ঘুমের সময় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ হয়। শত শত বছর ঘুমানোর পর তাদের এই জাগ্রত হওয়া কী বার্তা দেয়—আলোচ্য আয়াতে সে বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, এ ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে কিয়ামত অনিবার্য সত্য বিষয়।

এ বিষয়ে আল্লাহর প্রতিশ্রুতি অবশ্যই বাস্তবায়িত হবে।

আসহাবে কাহফের প্রস্থানকালে অত্যাচারী বাদশাহ দাকিয়ানুসের রাজত্ব ছিল। তার মৃত্যুর পর কয়েক শতাব্দী অতিবাহিত হলে শহরের ওপর সত্যপন্থী তাওহিদবাদী লোকদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। তাদের বাদশাহ ছিলেন একজন সৎ ব্যক্তি।

তাঁর নাম ‘বাইদুসিস’। তাঁর শাসনামলে আসহাবে কাহফের নিদ্রা ভঙ্গ হয়। তারা তাদের ‘তামলিখা’ নামক এক ব্যক্তিকে খাদ্য আনার জন্য বাজারে প্রেরণ করে। সে দোকানে পৌঁছে খাবার ক্রয় করে। অতঃপর খাবারের মূল্য হিসেবে ৩০০ বছর আগের বাদশাহ দাকিয়ানুসের আমলে প্রচলিত মুদ্রা বের করে।
দোকানদার বিস্ময়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। প্রশ্ন ছুড়ে দেয়—এ মুদ্রা কোথায় পেলে? এগুলো কোন আমলের? পরে সে তা অন্য দোকানদারকে দেখায়। সবাই বলল, এ ব্যক্তি কোথাও প্রাচীন ধনভাণ্ডার লাভ করেছে। সে অস্বীকার করে বলল, ‘আমি কোনো ধনভাণ্ডার পাইনি। এটা আমার নিজের মুদ্রা।’ দোকানদাররা তাকে গ্রেপ্তার করে বাদশাহর সামনে হাজির করে। খোঁজখবর নিয়ে বাদশাহ নগরবাসীদের এক বিরাট দল নিয়ে গুহায় গমন করেন। গুহার নিকটবর্তী হয়ে তামলিখা বলল, ‘আপনারা একটু থামুন। আমি সঙ্গীদের প্রকৃত ব্যাপারটি জানিয়ে দিই যে এখন বাদশাহ তাওহিদবাদী। সাধারণ মানুষও আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসী।’ কথা অনুযায়ী তামলিখা গুহায় পৌঁছে সঙ্গীদের আদ্যোপান্ত ঘটনা বর্ণনা করে শোনায়। অতঃপর তারা গুহায় ফিরে যায়। বেশির ভাগ বর্ণনা মতে, তামলিখা যখন সঙ্গীদের সব বৃত্তান্ত অবহিত করে তখনই সবার মৃত্যু হয়ে যায়। বাদশাহর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হয়নি। এ অবস্থায় শহরবাসীর একাংশ গুহাবাসীর স্মৃতি ধরে রাখার জন্য সেখানে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণের ইচ্ছা প্রকাশ করে। কিন্তু ঈমানদাররা দেখলেন, মৃত্যু-পরবর্তী জীবনে মানুষের আবার জীবিত হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করার জন্য এটি একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। তাই তারা বিষয়টিকে মানুষের স্মরণে রাখার জন্য গুহাবাসীদের কবরের পাশে একটি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন।

 

গ্রন্থনা : মুফতি কাসেম শরীফ

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

খেলতে হবে বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্ট ক্রিকেট

    ইকরামউজ্জমান
শেয়ার
খেলতে হবে বুদ্ধি খাটিয়ে স্মার্ট ক্রিকেট

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও নড়বড়ে আত্মবিশ্বাস, মানসিক দুর্বলতা, সাহসের অভাব, চাপ, কিছু ক্ষেত্রে সঠিক প্রয়োগে ঘাটতি, অস্থিরতা, আবেগের সঙ্গে মনঃসংযোগের সমন্বয়হীনতা, দলীয় খেলায় দায়িত্বশীল আচরণের বিষয়টি মাথায় না রাখা এবং মাঠে, বাইরে ম্যানেজমেন্ট ক্রাইসিস ও বিভিন্ন ধরনের অগ্রহণযোগ্য কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ক্রিকেটামোদীরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে সন্তুষ্ট থাকতে পারছেন না। ক্রিকেট নিয়ে কথা আর আশ্বাসের শেষ নেই, কিন্তু বাস্তবতায় এর মিল খুঁজতে গেলে হতাশ হতে হয়। সব সময় এক ধরনের অনিশ্চয়তা, অস্থিরতা আর আস্থার অভাব। কী যে হবে শেষ পর্যন্ত? ইদানীং আবার দেশে এবং দেশের বাইরে (তিন সংস্করণটেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) সিরিজ চলাকালে হরহামেশাই মিডিয়ায় স্থান পায়, আজ বাঁচা-মরার লড়াই

এই শব্দগুলো বড্ড ক্লান্তিকর। নিজকে চিনতে এবং বুঝতে না পারার খেসারত। ক্রিকেট পার করছে কঠিন সময়।

দলীয় খেলা ক্রিকেটে হার-জিত আছে এবং থাকবে।

তবে একটি মানদণ্ড তো থাকতে হবে। খেলা তো শুধু খেলা নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে দেশের ভাবমূর্তি। সব দেশের ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন দেশের হয়েসংগতভাবেই আলোচনা, বিশ্লেষণ এবং সমালোচনায় প্রথমেই উচ্চারিত হয় দেশের নাম।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সাত উইকেটে হেরে যাওয়ার পর ভেঙে না পড়ে মানসিক শক্তি ও আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে সবাই মিলে দলের জন্য অবদান রেখে ম্যাচ পরিকল্পনাকে পেশাদার মানসিকতার মাধ্যমে বাস্তবায়িত করেছেন বলেই পর পর দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয় সম্ভব হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটিই প্রথম সিরিজ জয় যেকোনো ক্রিকেট সংস্করণে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সিরিজ জয় (২-১) চাট্টিখানি কথা নয়। এই সংস্করণে শ্রীলঙ্কা অতীতে বিশ্বকাপ জিতেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয় কিন্তু অকল্পনীয় বা অপ্রত্যাশিত কোনো বিষয় নয়, এটি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস, সাহস ও সামর্থ্যের জয়।

ক্রিকেটের প্রতিটি সংস্করণের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য এবং চাহিদা আছে।

চিন্তা-ভাবনার বিষয়টিও পুরোপুরি ভিন্ন। ক্রিকেটাররা নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের টেস্ট এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে কাছে গিয়েও কেন হাতছাড়া হয়েছে। খেলায় ধারাবাহিকতার অভাব ছিল। কখনো ব্যাটাররা ভালো করেছেন, কখনো বোলাররা। লড়াইয়ে এক হয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সবাই মিলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কন্ট্রিবিউট করতে না পারায় সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও দল হিসেবে পিছিয়ে পড়তে হয়েছে।

বাংলাদেশ দল এমন একটি সময় টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে, যখন দেশের ক্রিকেট একটি ঘটনাবহুল কঠিন সময় পার করছে। মাঠের বাইরে চলছে লাগাতার অক্রিকেটীয় কম্পিটিশন। এই কম্পিটিশন’—লোভ, হিংসা, বিদ্বেষ এবং সুযোগের সদ্ব্যবহার, যা জনস্বার্থে দৃষ্টিকটু ও অগ্রহণযোগ্য। ক্রিকেট ঘিরে নাটক ক্রমেই বড় হচ্ছে। ক্রিকেটের গল্পগুলো এখন অন্যভাবে বাঁক নিচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, অক্টোবরে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন। নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে।

কয়েক মাস আগে অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্বে ক্যারিবিয়ান মাঠে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়। ক্যারিবিয়ানদের নিজ ডেরা থেকে সিরিজ জয় মানে অনেক শক্ত চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের স্বভাব এবং চরিত্রে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিশে আছে। দুনিয়াজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগগুলোতে ক্যারিবিয়ানরা ক্রিকেট আনন্দ বিতরণ করছেন সব সময়। তাঁরা ওয়ানডে ক্রিকেটের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও ঘরে তুলেছেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরে। এটি অবশ্যই খেলোয়াড়দের অনেক বড় ব্যর্থতা। পরিচয় দায়িত্বজ্ঞানহীনতার। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন বলেছেন, এমন হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই। একটি ম্যাচে দল খারাপ করতে পারে। কিন্তু পর পর দুই ম্যাচে একটা লজ্জাজনক পরাজয় তো মেনে নেওয়া যায় না। বাংলাদেশ দল যেভাবে খেলেছে এটি দুঃখজনক। প্রথম ম্যাচেও কিন্তু বাংলাদেশ দল ভালো খেলেনি।

এরপর বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে গিয়ে ৩-০তে সিরিজ হেরে ওয়াইটওয়াশ হয়েছে। পাকিস্তান দল শক্তিশালী, তাদের বিপক্ষে যেভাবে মাঠে লড়া উচিত ছিল, সেভাবে তো লড়তে পারেনি। ধারাবাহিকতার সঙ্গে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে ব্যর্থতার অগ্রহণযোগ্য প্রদর্শনী ছিল ক্রিকেটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য পীড়াদায়ক।

পাকিস্তানের মাটিতে করুণ পরাজয়ের পর ময়নাতদন্তের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ভুলগুলো সংশোধন এবং খেলার অ্যাপ্রচে পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং টিম অপারেশন বসার সময় পায়নি। মাঠের বাইরে ব্যস্ততা, বিতর্ক সৃষ্টি, একে অপরকে দোষারোপ করার বোঝার নিচে সবকিছু চাপা পড়ে গেছে। ক্রিকেট দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। বাড়ছে নতুন চ্যালেঞ্জ। ক্রিকেট নিয়ে এত কথা বলা হয়, কিন্তু গত ২৫ বছরে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। স্বপ্ন দেখানো হয়, কিন্তু তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয় না। ২৫ বছর আগে আমাদের ক্রিকেট কোথায় ছিল আর এখন আমরা তিন সংস্করণে কোথায় অবস্থান করছি। টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়েছিল ২৫ বছর আগে। সেই ক্রিকেটে আমরা কোথায় পড়ে আছি। দেশে মাত্র দুটি ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেট আছে। এর মধ্যে এবারও একটি মাঠে গড়াবে না। সময় বের করা সম্ভব হয়নি। বলা হচ্ছে, একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চেষ্টা চলছে।

ভারতের কাছে ক্রিকেট রাজনীতির বিশেষ তাৎপর্য আছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কআর তাই ক্রিকেট খেলতে যায় না। বাংলাদেশে ভারত দলের আসার কথা ছিল আগামী আগস্ট মাসে। অনেক দিন আগেই এটি নির্ধারণ করা হয়েছে উভয় দেশের সম্মতিতে। বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর এটি বোঝা গেছে ভারত দল আগস্টে খেলতে আসবে না। এই সফর পিছিয়ে যাবে। এরপর বোর্ড সবকিছু বুঝেও সময় নষ্ট করেছে। এখন এই অল্প সময়ের মধ্যে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আয়োজন তো সহজ বিষয় নয়। জানা গেছে, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে।

আগামী ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বার্ষিক সভা। জানা গেছে, এই সভায় যোগ দেওয়ার জন্য বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার কেউ বাংলাদেশে আসবেন না। তবে তাঁরা অনলাইনে যুক্ত হবেন। ভারত ছাড়া এশিয়ার অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেবেন। ভারতের কাছে ক্রিকেট এখন রাজনীতির হাতিয়ার। খেলার চেতনা থেকে রাজনীতি অনেক বড়।

সালমান আগার নেতৃত্বে ১৬ সদস্যবিশিষ্ট পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড তিন ম্যাচের সিরিজ খেলার জন্য বেশ আগেই ঢাকায় এসেছে। এই স্কোয়াডে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, পেসার হারিস রউফ, অলরাউন্ডার সাদাব খান নেই। এরপর কিন্তু দলটি পুরনো এবং নতুন খেলোয়াড় সমন্বয়ে ভারসাম্যময়। এই দলে ফখর জামান, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ নওয়াজ ও সাহির জাদা ফারহানের মতো ব্যাটসম্যান আছেন। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই। এই সিরিজে যেটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে, সেটি হলো উভয় দলই খেলোয়াড়দের লক্ষ করবে এবং সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ও আগামী বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খেলোয়াড় সেট করতে চাইবে। লিটন দাসের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কায় যে স্কোয়াডটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে, সেখানে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, একই স্কোয়াড রেখে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট চাইছে এশিয়া কাপের বেশ আগেই টিম সেট করে ফেলতে। এতে খেলোয়াড়রা নির্ভার ক্রিকেট খেলতে পারবেন। পাকিস্তান দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় বিপিএলে খেলেছেন। এতে তারা কন্ডিশনের সঙ্গে কমবেশি পরিচিত। কথা একটাই, মিরপুরের উইকেটের আচরণ কেমন হবে? মিরপুর উইকেট কাকে বেশি ভালোবাসবেব্যাটার, না বোলারদের। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। পাকিস্তানের মাটিতে হারলেও ঢাকায় স্মার্ট ক্রিকেট খেলে জয়ের সান্নিধ্য উপভোগ করা সম্ভবএই বিশ্বাসে তারা বলীয়ান।

 

লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্লেষক। সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি, এআইপিএস এশিয়া। আজীবন সদস্য বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন। প্যানেল রাইটার, ফুটবল এশিয়া

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হালকা প্রযুক্তি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে করণীয়

    সাকিফ শামীম
শেয়ার
হালকা প্রযুক্তি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে করণীয়

বিশ্বব্যাপী লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বা হালকা প্রযুক্তি খাত বিভিন্ন ধরনের ধাতব ও ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি বিস্তৃত পরিসর নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে রয়েছে সাইকেল ও মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশ, কৃষি যন্ত্রপাতি, নির্মাণসামগ্রী, বৈদ্যুতিক তার, ব্যাটারি, স্যানিটারি ফিটিংস, ডাই ও মোল্ড এবং হালকা যন্ত্রপাতি। বর্তমান বাজার বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে এই পণ্যগুলোর চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়ণের কারণে।

বাংলাদেশের জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প অর্থনৈতিক রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ।

এই খাতের গুরুত্ব তিনটি মূল দিকে প্রতিফলিত : ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, যা আমাদের জনসংখ্যার সুবিধা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে; ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে অনুঘটক ভূমিকা, যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে এবং স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহারের প্রসার, যা আমদানিনির্ভরতা কমায় এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে।

তীব্র প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে সফলতার জন্য গুণগত মানের প্রতি আপসহীন অঙ্গীকার অপরিহার্য। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সার্টিফিকেশন; যেমন—ISO এবং CE মার্কের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি পরিবর্তনশীল বাজারের চাহিদা মেটাতে পণ্যের বৈচিত্র্য এবং ক্রমাগত উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

গবেষণা ও উন্নয়নে কৌশলগত বিনিয়োগ টেকসই প্রতিযোগিতামূলক সুবিধার ভিত্তি তৈরি করে। এই বিনিয়োগ কেবল নতুন পণ্য উন্নয়নের জন্য নয়, বরং বিদ্যমান পণ্যের ক্রমাগত উন্নতির জন্যও অপরিহার্য, যা বাজারের প্রাসঙ্গিকতা এবং প্রিমিয়াম অবস্থান বজায় রাখতে সাহায্য করে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে দক্ষতার ঘাটতি তাৎক্ষণিক এবং ব্যাপক মনোযোগ দাবি করে। সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

প্রযুক্তিগত আধুনিকীকরণ বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার জন্য একটি মৌলিক প্রয়োজন। উন্নত যন্ত্রপাতি,                                                                                                       স্বয়ংক্রিয়করণ ব্যবস্থা এবং রোবটিকসের একীকরণ একসঙ্গে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন খরচ কমাবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে একটি টেকসই প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা তৈরি করবে।

সফল আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণের ভিত্তি হচ্ছে ব্যাপক বাজার গবেষণা। কম্পানিগুলোকে টার্গেট মার্কেটের চাহিদার প্যাটার্ন ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ সম্পর্কে গভীর ধারণা অর্জন করতে হবে। এই ধারণা পণ্যের কাস্টমাইজেশন এবং বাজার প্রবেশের কৌশল নির্ধারণ করবে।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এবং রোডশোতে সক্রিয় অংশগ্রহণ পণ্য ও ব্র্যান্ড পরিচিতি বাড়াবে।

কৌশলগত নীতি সহায়তা এবং আর্থিক প্রণোদনার মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপ এই খাত উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। অত্যাবশ্যকীয় নীতি পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে রপ্তানি ভর্তুকি, রেয়াতি ঋণ সুবিধা, কর অবকাশ ও অবকাঠামো উন্নয়ন সহায়তা। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য বিশেষায়িত জোন স্থাপন একটি কেন্দ্রীভূত বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি করতে পারে, যা দেশীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করবে এবং শিল্প ক্লাস্টারিং সুবিধা প্রদান করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ ফান্ড থেকে স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা এই খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। এই প্রণোদনা কর্মসূচি বিশেষভাবে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে নতুন পরিকল্পনাকারীদের জন্য ডিজাইন করা যেতে পারে, যা তাঁদের প্রাথমিক পুঁজি গঠন এবং প্রযুক্তি অধিগ্রহণে সহায়তা প্রদান করবে।

বাংলাদেশের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বাজার অবস্থান প্রতিষ্ঠার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সফলতার জন্য প্রয়োজন দূরদর্শী সরকারি নীতি, সাহসী উদ্যোক্তা বিনিয়োগ এবং আমাদের দেশের পরিশ্রমী ও দক্ষ কর্মীবাহিনীর সমন্বয়। এই খাতের উন্নয়ন শুধু রপ্তানি বহুমুখীকরণের উদ্দেশ্য অর্জন করবে না, বরং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের একটি উন্নত এবং সমৃদ্ধ জাতিতে রূপান্তরেও উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এই কৌশলগত অবস্থান জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং উৎপাদন শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যমে টেকসই অর্থনৈতিক মূল্য সৃষ্টি করে।

 

লেখক : ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল অ্যান্ড সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ল্যাবএইড গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর

মন্তব্য

দায়িত্ব পালনে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে

    গাজীউল হাসান খান
শেয়ার
দায়িত্ব পালনে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে

বল প্রয়োগ কিংবা ত্রাসের সঞ্চার করে কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা তার অঙ্গসংগঠনগুলোর উত্থান কিংবা পতন রোধ করা যায় না। কারণ রাজনীতি বিষয়টি হচ্ছে জনগণের মতামতনির্ভর একটি ক্ষেত্র, যেখানে অগণতান্ত্রিক কিংবা অনৈতিকভাবে শক্তি প্রয়োগ কোনো যুক্তিনির্ভর পরিণতিতে বা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে জনগণকে সাহায্য করে না, বরং জনসাধারণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা কিংবা মতামতের বাইরে একতরফাভাবে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে গেলে সেটি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্বৈরাচার কিংবা ফ্যাসিবাদের জন্ম দেয়। গণতন্ত্র বিষয়টি আসলে ব্যাপক জনমানুষের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা একটি দেশের জনগণ ও সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধের মতো কাজ করে। সে ক্ষেত্রে কোনো দেশের সরকার কিংবা রাজনৈতিক দল যদি তাদের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তাহলেই সমাজে কিংবা দেশে শুরু হয় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো, যা শান্তি, শৃঙ্খলা ও মানবাধিকারের ব্যত্যয় ঘটায়।

এতে জন্ম নেয় অগণতান্ত্রিক অশুভ কিংবা পশুশক্তি। দেশের যেকোনো সরকার কিংবা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের এই মৌলিক বিষয়গুলো বুঝতে হবে।

অতি সম্প্রতি দেশের গোপালগঞ্জে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই মার্চ কিংবা পদযাত্রা ও জনসভাকে কেন্দ্র করে যে নৈরাজ্যকর ঘটনাটি ঘটে গেছে, তাতে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার, নাগরিক পার্টি এবং সর্বোপরি আপাতত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কার্যকলাপ নিয়ে বিস্তর আলোচনা কিংবা সমালোচনা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ গণমাধ্যমে যে বিষয়টি একটি ব্যাপক তর্কবিতর্কের ঝড় বইয়ে দিয়েছিল, যা এখনো চলমান।

এখানে প্রথম আলোচ্য বিষয়টি হলো সরকার কিভাবে গোপালগঞ্জের মতো একটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক এলাকায় সংবেদনশীল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে অভ্যুত্থান-উত্তরকালে গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির একটি যাত্রা, সমাবেশ কিংবা জনসভার অনুমতি দিয়েছিল? সেখানকার বিদ্যমান পরিবেশ কিংবা পরিস্থিতি নিয়ে কী ধরনের গোয়েন্দা তথ্য ছিল সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে? থাকলে সেখানে দলের নেতাকর্মী ও অংশগ্রহণকারী জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছিল? কী কারণে সভাস্থল ও তার আশপাশে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের ব্যাপক হামলা ও ভাঙচুর সম্ভব হলো, যাতে চারজন মানুষ প্রাণ হারাল?

https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2025/07.july/20-07-2025/kalerkantho-ed-1a.jpgজাতীয় নাগরিক পার্টির গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক পদযাত্রা, সমাবেশ কিংবা জনসভা ঠেকানোকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও তাদের মূল দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ব্যাপক প্রস্তুতি ছিল বলে গণমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তৎকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার যে আন্দোলনের কারণে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি গঠিত হয়েছে এবং এমনকি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে, তারা আওয়ামী লীগের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে সভা-সমাবেশ করে যাবে, সেটি কিভাবে সহ্য করবে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ? সে সংক্রান্ত কোনো গোপন কিংবা প্রকাশ্য তথ্য কি আগে থেকে ছিল বর্তমান সরকার, তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং এমনকি জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের কাছে? ছিল বলে মোটেও মনে হয় না। বিগত জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও অন্যদের যোগসাজশে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছিল। এতে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সেসব গুরুতর হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, আইনানুগভাবে হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার হবে। তাদের অর্থাৎ অভিযুক্তদের অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সেসব ব্যক্তির মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতে পলায়ন করলেও গোপালগঞ্জের মতো শক্তিশালী দলীয় অবস্থানে আশ্রয় নিয়েছে অনেকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনী তাদের কয়জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে? গোপালগঞ্জে প্রস্তাবিত জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশ বা সভার আগ পর্যন্ত সরকারের গোয়েন্দা কিংবা স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে অভিযুক্তদের সম্পর্কে কী ধরনের তথ্য ছিল, সে সম্পর্কে কি সরকার কিংবা কর্তৃপক্ষ কোনো কিছুই জানত না? জেনে থাকলে সময়োচিতভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে সরকার ব্যর্থ হয়ে থাকলে তার জবাব অবশ্যই দিতে হবে।
নতুবা ঘাটে ঘাটে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র কিংবা চক্রান্তের অভিযোগ উঠবে।

এ কথা ঠিক যে আইনানুগ প্রক্রিয়ায়ই আওয়ামী লীগ কিংবা ছাত্রলীগের অপরাধের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত বিচার হতে হবে। সে সিদ্ধান্ত আসতে হবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছ থেকে। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতি দেশের শিক্ষিত তরুণসমাজের যথেষ্ট সমর্থন ও সহানুভূতি থাকলেও অপরাপর রাজনৈতিক দলের না-ও থাকতে পারে। অনেকে মনে করে, বিভিন্ন ঘটনা; যেমনচাঁদাবাজি ও দুর্নীতির কারণে দেশের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি ক্রমেই জনসমর্থন হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই তারা দ্রুত একটি সাধারণ নির্বাচনের পক্ষে। আবার অনেকে মনে করে, নবগঠিত দল হিসেবে সংগঠিত হওয়ার জন্য নাগরিক পার্টির আরো কিছু সময়ের প্রয়োজন। তাই তারা এখনই নির্বাচনের পক্ষে নয়। তারা চায় বিচার ও অন্যান্য সংস্কারবিষয়ক কার্যক্রম আরো এগিয়ে যাক। এসব নিয়ে উল্লিখিত দুটি দলের মধ্যে বেশ কিছু মতবিরোধ রয়েছে। কিন্তু তাহলেও জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে তাদের মধ্যে কোনো অনতিক্রমনীয় মতভেদ কাম্য নয়। এতে সমগ্র দেশ বা সারা জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

ফ্যাসিবাদী হাসিনার বর্বর বাহিনীর গুলিতে গত বছর ১৬ জুলাই শাহাদাতবরণ করেছিলেন রংপুরের অকুতোভয় ছাত্র আবু সাঈদ। সে বিশেষ দিনটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি সেখান থেকে পদযাত্রা ও রাজনৈতিক সমাবেশের এক কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সেখান থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করা; জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকে প্রকৃত অর্থে স্মরণীয় করে রাখার জন্য অবিলম্বে একটি জুলাই সনদ ঘোষণা করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সরকারকে বাধ্য করা। কিন্তু সরকারের অদক্ষতা ও অকার্যকারিতার কারণে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সমর্থ হয়নি। ফলে মিটফোর্ডে প্রকাশ্যে বর্বরোচিতভাবে সোহাগকে দুর্বৃত্তের হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে। এর পরপরই জাতীয় নাগরিক পার্টির গোপালগঞ্জ মার্চ কিংবা পদযাত্রা ও জনসভার ওপর নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংগঠিত বাহিনী আক্রমণ চালিয়েছে। বর্তমান সরকারের অসহায় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শুরুতেই তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় গোপালগঞ্জে আয়োজিত সমাবেশ কিংবা জনসভার ওপর দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী ছাত্রলীগের দুর্বৃত্তরা। এতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি এবং এমনকি শেষ পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। সে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংগত কারণেই এখন জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে, এ সরকার কি আগামী নির্বাচনটি নিরাপদ কিংবা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সমর্থ হবে? নির্বাচন নিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন বক্তব্য থাকতেই পারে। সেটি কোনো অগণতান্ত্রিক বিষয় নয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এসব ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কোনো বলিষ্ঠতা কিংবা দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে না। এ ব্যাপারে নেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোনো সম্মিলিত কার্যকর উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা। এই ব্যর্থতা কি শুধুই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের নেতাদের? এতে কি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের কোনো অংশগ্রহণ ছিল না?

এ সরকারের অবশিষ্ট সময়টুকুতে তারা যদি অনেকের মতো জুলাই-আগস্টের স্পিরিট কিংবা আমূল পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে হারিয়ে ফেলে, তাহলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় শুধু একটি নিছক রাজনৈতিক স্লোগানেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। দেশ আবার রসাতলে যেতে শুরু করবে। বিপ্লবোত্তর কিংবা গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী একটি সরকার যদি তার কাঙ্ক্ষিত দিকদর্শন হারিয়ে ফেলে এবং চেতনালব্ধ রাজনৈতিক চালিকাশক্তিটি খুইয়ে বসে, তাহলে শুধু দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রটিও বিপন্ন হয়ে পড়বে, যা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হবে না।

লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক

gaziulhkhan@gmail.com

মন্তব্য

মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস ও ঝুঁকিতে বিনিয়োগ

    আবু তাহের খান
শেয়ার
মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস ও ঝুঁকিতে বিনিয়োগ

২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির পরিমাণ ছিল ৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৮৪ বিলিয়ন ডলারে। সদ্যঃসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এ বিষয়ক চূড়ান্ত হিসাবের তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে উক্ত অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে মাত্র ২.৩৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির তথ্য থেকে এটি স্পষ্ট যে পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় আমদানির পরিমাণ অন্তত ৩৫ শতাংশ কম হবে।

এবং দেশে বর্তমানে যে ধরনের বিনিয়োগ বন্ধ্যত্ব চলছে, তাতে আশঙ্কা করার সমূহ কারণ রয়েছে যে সদ্য শুরু হওয়া ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সেটি নামতে নামতে কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে?

মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি হ্রাস দেশে শিল্পপণ্যের উৎপাদন ও সরবরাহকে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে। আর বিনিয়োগ ও উৎপাদন কার্যক্রমে ভাটা পড়লে অনিবার্যভাবেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না এবং সেটি দেশে বিরাজমান নাজুক বেকারত্ব পরিস্থিতিকে আরো অধিক নাজুক করে তুলবে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তা রপ্তানি বাণিজ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশ যে নানা মাত্রিক কসরত চালিয়ে যাচ্ছে, মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার ফলে সে কসরত যে কোনো কাজে আসবে না, তা প্রায় নিশ্চিত করেই বলা যায়।

প্রশ্ন হচ্ছে, মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কেন কমছে? সরল জবাব হচ্ছে, দেশের বর্তমান অস্থির ও অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে কোনো উদ্যোক্তার পক্ষেই ঝুঁকি নিয়ে নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখানো সম্ভব নয়। সেটি তারা করছেনও না এবং এর ফলে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির প্রয়োজনও হচ্ছে না। একইভাবে বিদ্যমান উদ্যোক্তাও সেই একই কারণে তার কারখানা সম্প্রসারণের কথা ভাবছেন না। অন্যদিকে যে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার কারণে স্থানীয় উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না, সেই একই কারণে এখানে বিনিয়োগ করতে আসছেন না বিদেশি উদ্যোক্তারাও।

আর এটি তো বিশ্বজুড়েই সর্বজনীন সত্য যে কোনো দেশে স্থানীয় বিনিয়োগের ধারা সক্রিয় ও গতিশীল না থাকলে সে দেশে কখনো প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আসে না। অতএব এফডিআই আসছে না বলে তাদের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বিষয়টিও স্বভাবতই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।

মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি না হওয়া তথা নতুন বিনিয়োগে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের এগিয়ে না আসার পেছনে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে বিনিয়োগসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডকে জোরদারকরণের বিষয়ে সরকারের সীমাহীন নির্লিপ্ততা, যা আসলে বিনিয়োগকারীদের প্রতি এক ধরনের উপেক্ষা ও অবহেলারই শামিল। উদ্যোক্তারা হয়তো দেশে নিয়মিত রাজনৈতিক সরকার না থাকার বিষয়টিকে উপেক্ষা করতেন যদি তাঁরা দেখতেন যে সরকার অস্থায়ী হলেও তারা বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।

এ অবস্থায় নতুন-পুরনো কোনো বিনিয়োগকেই তাঁরা নিরাপদ ভাবতে পারছেন না। কিন্তু অবাক হতে হচ্ছে এই কারণে যে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি প্রচণ্ডভাবে কমে যাওয়ার পরও এ বিষয়ে সরকার বিন্দুমাত্রও উদ্বিগ্ন বলে মনে হচ্ছে না।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের সাম্প্রতিক নানা প্রচেষ্টা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। বস্তুত এ বিষয়ে তাঁর ও অর্থ উপদেষ্টা মহোদয়ের বেশ কিছু পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপকভাবে সহায়ক হয়েছে। কিন্তু মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি যদি এভাবে কমতে থাকে অর্থাৎ বিনিয়োগ যদি না বাড়ে এবং সে কারণে উৎপাদনের ওপর যদি এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে, তাহলে মূল্যস্ফীতিকে কি শেষ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে? মোটেও না। এ অবস্থায় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশের মুদ্রানীতি ও আর্থিক নীতির চেয়েও এখন অধিক গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার নিরসন। দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যদি অবিলম্বে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ন্যস্ত করার মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক গতিধারা ফিরিয়ে আনা না যায়, তাহলে আর্থিক ও মুদ্রানীতির আওতাধীন কোনো পদক্ষেপই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে নাহবেই না।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ এখন ২৯.৫২ বিলিয়ন ডলার, যেটিকে মোটামুটি সন্তোষজনক বলেই অভিহিত করা যেতে পারে। কিন্তু কথা হচ্ছে, মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বন্ধ রেখে বা তা আমদানি না হওয়ার কারণে সে অব্যয়িত অর্থের সুবাদে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ হৃষ্টপুষ্ট থাকাটা মোটেও কোনো সুখবর নয়। তার চেয়ে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি বাড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ যদি আরো কমও হয়, তাহলে সেটি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতিশীলতার মানদণ্ডে অধিকতর সুখপ্রদ। কারণ তাতে উৎপাদন, কর্মসংস্থান, রপ্তানি ইত্যাদি বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও তা অধিকতর সহায়ক হবে। এ অবস্থায় মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এ ক্ষেত্রে ব্যাংকসমূহের বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রয় কার্যক্রম তথা আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারে বলে মনে করি। এতে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি কিছুটা হলেও বাড়বে বলে আশা করা যায়।

দেশে মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার বিষয়টি অর্থনীতির জন্য নিঃসন্দেহে অনেক বড় দুঃসংবাদ। এ অবস্থায় সংবাদ সম্মেলন করে বা গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ অবস্থার পক্ষে ব্যাখ্যা দান করার চেয়েও অধিক জরুরি হচ্ছে, দেশে যত দ্রুত সম্ভব বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা। কারণ ব্যাখ্যায় বিনিয়োগ বাড়বে না বা অন্য কোনো ব্যাখ্যা এ ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্যও নয়। বিনিয়োগ বাড়াতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নিয়মিত রাজনৈতিক ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া। আর এটি যত তাড়াতাড়ি করা যাবে, বিনিয়োগের পরিবেশও ততই তাড়াতাড়ি ফিরে আসবে। বস্তুত সে প্রক্রিয়াতেই মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি যেমনি বাড়বে, তেমনি বাড়বে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, রপ্তানি ইত্যাদিও। এবং সেটিই হচ্ছে এই মুহূর্তে অর্থনীতিতে গতি ফিরে আসার অন্যতম পূর্বশর্ত, যা দেখার জন্য সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

লেখক : অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি;

সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), শিল্প মন্ত্রণালয়

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ