<p>চলতি বিপিএলে নিয়মিতই ম্যাচ দেখছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস। আজও তিনি বিপিএলের খেলা দেখার জন্য সিলেটে অবস্থান করছেন। যদিও তিনি বিপিএলের পারফর্মেন্স দেখে বিশ্বকাপের দল ঠিক করতে রাজী নন; তবুও দেখে নিচ্ছেন শিষ্যদের ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং। টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে কারা দৃষ্টি কেড়েছে কোচের? জবাবে স্টিভ রোডস শোনালেন তার আশা এবং হতাশার গল্প।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে রোডস বললেন, 'আমাদের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ওঠা-নামা করছে। কয়েকজন খুবই ভালো খেলেছে। বিশেষ করে কয়েকজন বোলারের নাম বলব যেমন তাসকিন, শফিউল ও আরও কয়েকজন খুবই ভালো করেছে। স্পিনাররা ভালো করেছে। এতে বোঝা যাচ্ছে আমাদের স্পিন বোলিং কতটা শক্তিশালী। ব্যাটসম্যানরাও কখনো কখনো ভালো করেছে। লিটন সেদিন খুব ভালো খেলেছে। মুশফিক ভালো খেলেছে মিরপুরে।'</p> <p>জাতীয় দলের বাইরে থাকা স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফর্মেন্সও দৃষ্টি এড়ায়নি কোচের। তবে তার মতে স্থানীয়দের জন্য পারফর্মেন্স দেখানো মোটেও সহজ নয়। বিদেশি তারকাদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে গেছেন তারা। রোডসের ভাষায়, 'স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য কাজটা মোটেও সহজ নয়। কখনো কখনো তারা পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না। অনেক বিদেশি তারকা এখানে আছে। টুর্নামেন্টের বাকি পর্বে তারা আরও ভালো করব, এটাই আশা করছি। সেটি হলে অনেক ভালো হবে।'</p> <p>মুশফিক-তাসকিন-লিটন জাতীয় দলের কোচকে খুশি করতে পারলেও হতাশ করেছেন ড্যাশিং ওপেনার সৌম্য সরকার। আগের কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের মতো সৌম্যর সামর্থ্য নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই স্টিভ রোডসের। কিন্তু বিপিএলে সৌম্যর ব্যাট হাসছে না। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ এই তরুণ ৫ ম্যাচে করেছেন ৩৫ রান। রাজশাহীর গত ম্যাচে তো একাদশ থেকেই বাদ পড়লেন। তাছাড়া তাকে একেক ম্যাচে একেক ব্যাটিং পজিশনে খেলানো হচ্ছে। এই বিষয়টিও দৃষ্টি এড়ায়নি কোচের।</p> <p>সৌম্যকে নিয়ে রোডস বলেন, 'সৌম্য অসাধারণ খেলোয়াড়। যদি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ওয়ানডেটা দেখেন, কী অসাধারণ এক ইনিংস সে খেলেছে। সে এমন এক খেলোয়াড় যে সব সংস্করণে খেলতে পারে, বিভিন্ন পজিশনে খেলতে পারে। সে কি একজন ওপেনার? সে কি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান? সে কি অলরাউন্ডার? প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। সৌম্য নিজেই এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। আশা করি সে ধারাবাহিক হবে, একটা পজিশনে ধারাবাহিক সফল হবে। তবে সে অসাধারণ খেলোয়াড়, এক সঙ্গে অনেক কিছু করতে পারে।'</p> <p>সৌম্যকেই যদি বারবার পজিশন পাল্টাতে হয়, তাহলে কি বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো দেশি খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখছে না? এমন প্রশ্ন চলতি আসরে খুব বেশি করে উঠছে। রোডস অবশ্য একটু কৌশলী হয়েই বললেন, 'বিপিএলে বেশিরভাগ দলের মালিকই তো বাংলাদেশি। আপনাকে তাই মনে করতে হবে স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে তাদের ভালো আগ্রহ আছে। তবুও বলতে হয় তারা এখানে জিততেও এসেছে। যদি দেখেন বিদেশি তারকারা সুযোগ পাচ্ছে, সৌম্য পাচ্ছে না, তাহলে বুঝতে হবে সে রান করতে পারছে না। দল চাচ্ছে সে সৌম্য রান করুক। এটা সামলে দলে থাকা ও ভালো করাটা সৌম্যর ওপরেই নির্ভর করছে।'</p>