<p>গত বছরের নভেম্বরে ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছিলেন। তারপর থেকেই অসুস্থতা। সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করার সময় দৌড়ালেই হচ্ছে রক্তবমি। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকেরা জানান ফুসফুসে মারাত্মক কোনো সংক্রমণ থেকেই এই অবস্থা। তবে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যে পুনরায় ঘটবে না, এমন কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি তারা। আর সে কারণেই পাকাপাকিভাবে বাইশ গজকে বিদায় জানালেন অজি ফাস্ট বোলার জন হেস্টিংস।</p> <p>কয়েক বছর আগেও ঘটেছিল একই ঘটনা। তখন বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেননি হেস্টিংস। তারপরও চুটিয়ে উপভোগ করছিলেন ক্রিকেট। কিন্তু দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটায় হেস্টিংস ছুটে যান চিকিৎসকের কাছে। ৩৩ বছর বয়সী অজি পেসার জানিয়েছেন, 'ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যে পুনরায় ঘটবে না সেবিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি চিকিৎসকেরা।'</p> <p>কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ক্রিকেটকে এমনভাবে বিদায় জানানো প্রসঙ্গে হেস্টিংস বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের পিছনে একটা খারাপ দিক লুকিয়ে ছিল। সেটা থেকে যখন কোনো ক্ষতি বা মাঠে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা থেকে যায়, তখন খেলার মাঠকে এভাবেই বিদায় জানাতে হয়।'</p> <p>চিকিৎসকেরা তাকে মাঠে নামার বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু না বলায় খুশি হতে পারেননি হেস্টিংস। গত ৫-৬ মাস ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে দিয়ে কেটেছে। তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১টি টেস্ট, ২৯টি ওয়ানডে এবং ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটার।</p> <p>এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ক্রিকেট লিগ বিগ ব্যাশে টানা সাত মৌসুমে বেলবোর্ন স্টারের হয়ে খেলেছেন তিনি। আগামী মৌসুমে সিডনি সিক্সার্সের হয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন হেস্টিংস। এছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও খেলতে দেখে গিয়েছে এই অজি পেসারকে। ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসাতেই মনোনিবেশ করতে চান হেস্টিংস।</p>