<p>বিশ্বকাপের শুরুতেই আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিশ্চিত জেতা ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয় আর্জেন্টিনাকে। মেসির পেনাল্টি মিসেই যে জয় হাতছাড়া হয় আর্জেন্টাইনদের, তা নিয়ে সংশয় নেই কারো। তাই দোষ স্বীকার করে নিয়ে কার্যত নিজের উপরেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি। ম্যাচের পর লিও বলেন, তার জন্য দল জিততে না পারায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন।</p> <p>আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের ১৯ মিনিটে আগুয়েরোর গোলে ১-০ এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তবে তারা ব্যবধান খুবে বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। ২৪ মিনিটের মাথায় গোল করে আইসল্যান্ডকে সমতায় ফেরান আলফ্রেড। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়</p> <p>দ্বিতীয়ার্ধে আইসল্যান্ডের রক্ষণে চিড় ধরাতে হিমশিম খায় আর্জেন্টিনা। আইসল্যান্ড একাধিক মার্কারে মেসিকে কার্যত বন্দি করে রাখায় আর্জেন্টিনার আক্রমণকে ভোঁতা মনে হয়। তবু ৬৪ মিনিটে পড়ে পাওয়া পেনাল্টিতে গোল করতে পারলে জয় নিশ্চিত করতে পারত আর্জেন্টিনা। মেসির পেনাল্টি শট আইসল্যান্ড গোলরক্ষক প্রতিহত করায় বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে জয় অধরা থেকে যায় আর্জেন্টাইনদের।</p> <p>ম্যাচের শেষে মেসি বলেন, পেনাল্টি মিস করা অত্যন্ত কষ্টকর। বিশেষ করে তাতে দলের জয় হাতছাড়া হলে যন্ত্রণা আরো বেশি হয়। আমি পেনাল্টিতে গোল করতে পারলে ম্যাচটা জিতে মাঠ ছাড়তাম। কষ্ট হচ্ছিল। নিজের উপর রাগও হচ্ছিল।</p> <p>তিনি বলেন, প্রথম ম্যাচ না জিতলেও আমরা আশাহত হয়ে পড়িনি মোটেও। আমাদের লক্ষ্য একই আছে। তবে জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আইসল্যান্ডের ডিফেন্স ভাঙার চেষ্টা করেছি সারাক্ষণ। সফল হইনি। প্রথম ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে শুরুর কথা কখনই ভাবিনি। তবে এটা সবে প্রথম ম্যাচ। এখনো সব শেষ হয়ে যায়নি। এটা ঠিক যে বিশ্বকাপের সব ম্যাচগুলিতেই সমানে সমানে লড়াই হচ্ছে। সব দলকেই সমান শক্তিশালী দেখাচ্ছে। তা সত্ত্বেও বলব যে আমাদের সামনে একই রকম সুযোগ রয়েছে।</p>