<p>ইংল্যন্ডের বিশ্বকাপ দলের সদস্য রাহিম স্টার্লিংয়ের ওপর চটেছে দেশটির অস্ত্র-বিরোধী প্রচারকরা। ২৩ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার তার ডান পায়ে 'এম সিক্সটিন অ্যাসল্ট রাইফেল' এর আদলে নতুন একটি ট্যাটু আঁকিয়েছেন। হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন, তার পা আসলের রাইফেলের মতোই। যা বিশ্বকাপে বিদ্ধ করবে বিপক্ষ দলকে। কিন্তু ইংল্যান্ডের অস্ত্র বিরোধী সংগঠনের মত, 'এটা আসলে এক ধরনের মানসিক অসুস্থতা'। </p> <p>এমন ট্যাটু আঁকায় স্টার্লিংকে বিশ্বকাপ দল থেকেও বাদ দেওয়ার দাবি করেছ অস্ত্র বিরোধীরা। এই সংস্থার এক সদস্য ৬৩ বছরের লুসি কপের পুত্র আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। স্টার্লিংয়ের কাণ্ড দেখে ক্ষুদ্ধ এই নারী বলেছেন, 'জানি ইনস্টাগ্রামে ওর প্রচুর অনুসারী আছে। যাদের মধ্যে অনেক ছোট ছেলে-মেয়েও আছে। তারা তো এবার রাহিমকে দেখে বন্দুকই হাতে তুলে নিতে চাইবে।'</p> <p>ম্যাঞ্চেস্টার সিটির স্ট্রাইকার রাহিম কোচ পেপ গুয়ার্দিওলার খুবই প্রিয় শিষ্য। কিন্তু বন্দুকের ট্যাটু করে নিজের দেশে এত বড় বিক্ষোভের সামনে পড়বেন হয়তো ভাবতেই পারেননি। বন্দুকের গুলিতে সন্তানহারা সেই ষাটোর্ধ্ব নারীর আরও বলেছেন, 'ওর উচিত এখনই ট্যাটুটা মুছে ফেলা। বা ওটার উপরই নতুন ট্যাটু আঁকানো। তা না হলে ওকে যেন রাশিয়াতে নিয়ে না যাওয়া হয়। রাহিম ইংল্যান্ডের কলঙ্ক।'</p> <p>অবশ্য সবাই অস্ত্র বিরোধীদের এই দাবি মেনে নিতে পারেননি। ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি বক্সার ফ্রাঙ্ক ব্রুনো যেমন বলছেন, 'তাদের দাবি ভুল এমনটা বলছি না। কিন্তু এটা তো ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা ছাড়া পায়ে আঁকা রাইফেল দিয়ে রাহিম তো মানুষ খুন করবে না।'</p> <p>প্রসঙ্গত, রাহিম এর আগেও নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। গত মৌসুমে ম্যানসিটির প্রাক মৌসুম সফরে যুক্তরাষ্ট্রে  যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিলেন। আর এক বার নিষিদ্ধ গ্যাস সেবন করার অপরাধে তাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হচ্ছে, তার আদি বাড়ি জ্যামাইকায় রাহিমের বাবাকে গুলি করেই হত্যা করা হয়েছিল। তখন স্টার্লিংয়ের বয়স মাত্র ৬।</p>