<p>খেলোয়াড় জীবনে যেমন হেলমেট না পরেই যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তানের দুর্ধর্ষ সব ফাস্ট বোলারদের বাউন্সার সামাল দিতেন, ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে দাঙ্গার সময়েও সেভাবেই সাহসের পরিচয় দিয়ে একটি পরিবারকে রক্ষা করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার। তাঁর পুত্র রোহন এ কথা জানিয়েছেন।</p> <p>মুম্বাইয়ের ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংস্থা গাভাস্কারকে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট সম্মান দিয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই রোহন বলেছেন, ‘আমার বাবার চরিত্রের একটা অন্যতম দিক হল সাহস। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে বিস্ফোরণের পরের একটা ঘটনা আমাকে প্রভাবিত করেছিল। সেই বিস্ফোরণের কয়েকদিন পরে একদিন আমরা বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। সেই সময় একদল উন্মত্ত জনতা একটি পরিবারকে মারতে উদ্যত হয়। সেটা দেখতে পেয়েই বাবা ছুটে যান।</p> <p>তিনি ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে বলেন, আগে তাঁকে মেরে তারপর ওই পরিবারকে মারতে হবে। এটা শুনে জনতা পিছু হঠে। আমার মনে হয়, হেলমেট না পরে বাবা যে মানের বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট করেছিলেন সেটার মতোই নিজের জীবন বিপন্ন করে দাঙ্গার সময় উন্মত্ত জনতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য বিশেষ সাহস দরকার।’</p> <p>সূত্র: এবিপি আনন্দ</p>