বাইরে থেকে যখন ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরি, একটা প্রচ্ছন্ন শান্তি অনুভব করি। আজ সারা দিন ক্লান্তি ছিল বটে, তবে পরিবারের কিছু মানুষের সান্নিধ্য অনেক উপভোগের। যদিও সেখানে রাগ-অনুরাগ, অভিযোগ, মান-অভিমান, ভালোবাসা, মায়া-মমতা, রোগ-শোক ও বার্ধক্যে আপনজনকে হারানোর চিন্তা আছে। তবু জগতের এক অবিচ্ছেদ্য টানে ভাসি আমরা প্রতি মুহূর্তে! এরই নাম জগৎ সংসার! এরই নাম জীবন! হেপি টাইম পাস ফর মিজানপাড়া
—ঠিক এতটুকু লিখে ৬ মার্চ পোস্ট দিয়েছিলাম ফেসবুকে। বেশ লাইক-কমেন্টস জমা পড়েছিল বটে। কিন্তু সত্যি একটা কষ্ট লুকিয়ে ছিল। কেননা, পোস্ট করা কথা ঠিক এক মাসের মাথায় সত্য হয়েছিল। পিতার সমতুল্য ভগ্নিপতি চলে গেলেন নীরবে। দুই মাস ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা হতো প্রতিদিন। অসুস্থ মানুষটি সবাইকে শেষবার এক করেছেন। যাদের দেখা সহজে মিলত না, তাদের এক ছাতার নিচে নিয়ে এসেছিলেন। অথচ অসুস্থ মানুষটি ছিলেন নির্বাক। অচেতন। তবে সবাই আগ্রহ নিয়ে তাঁকে দেখতে আসত। ১৩ এপ্রিল তিনি সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। মা-বাবাকে অনেক আগে হারিয়েছি। আরো একজন মুরব্বি গত হওয়া মানে অভিভাবকহারা হওয়া। মাঝেমধ্যে মনে হয় যেন সবাই যদি একই ছাদের নিচে যুগ যুগ ধরে থেকে যেতে পারতাম! যেখানে থাকত না হারানোর বেদনা। থাকবে শুধু কোলাহল আর ভালোবাসার মায়া।
সাহিদা সাম্য লীনা
পশ্চিম উকিলপাড়া, ফেনী।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...