জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় জাদুঘর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গবন্ধুবিষয়ক সেমিনার, জাদুঘরে সংগৃহীত বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি-নিদর্শন ও আলোকচিত্রের মাসব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনী এবং বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি।
অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু : নারী জাগরণ ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সাবিতা রেজওয়ান রহমান। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান সেলিনা হোসেন।
প্রবন্ধ উপস্থাপনায় নাজমা আক্তার বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সব সময় সমর্থন দিয়েছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। বেগম মুজিব ছিলেন প্রচারবিমুখ। তিনি সব সময় অন্তরাল থেকে সমর্থন দিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধুকে। স্বাধীনতা সম্পর্কিত সব আন্দোলনে ছিল নারীদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ। বঙ্গবন্ধুর জীবনে নানা ক্ষেত্রে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
প্রবন্ধে আরো বলা হয়, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের নবগঠিত সংবিধানে বঙ্গবন্ধু নারী-পুরুষ সাম্য প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন ধারা পড়লেই তা বুঝতে পারা যায়। এ সংবিধানে বিশেষ নারী আসন রাখা হয়। যুদ্ধের পর শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী-কন্যাদের জন্য নারী আশ্রয়কেন্দ্রও চালু করেন তিনি।
ড. সাবিতা রেজওয়ান রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা এক সুতোয় বাঁধা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের প্রাণের বন্ধু। বঙ্গমাতা কখনো বঙ্গবন্ধুকে সাংসারিক সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত হতে দেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুকে সর্বদা সমর্থন দিয়ে গেছেন। তাঁর উৎসাহে বঙ্গবন্ধু জেলে বসে ডায়েরি লেখার কাজে হাত দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিমিন হোসেন রিমি বলেন, সমাজের দুটি অনুষঙ্গ—একটি পুরুষ, অন্যটি নারী। দল হিসেবে আওয়ামী লীগ প্রথম থেকেই নারীদের সম্মান দিয়েছেন। সর্বদা নারী-পুরুষকে সমান চোখে দেখে তাদের অধিকারের ব্যাপারে কথা বলেছে আওয়ামী লীগ।
সভাপতির ভাষণে সেলিনা হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে বোঝা যায়, নারীদের ব্যাপারে তাঁর কী ধরনের ধারণা ছিল। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি লিখেছিলেন। ’৫৪ সালের নির্বাচনে এক বৃদ্ধার কথাও তিনি বলেন, যাঁর কথা বঙ্গবন্ধুর লেখায় উঠে এসেছে। নারীকে তিনি কখনো হেয় করেননি। বঙ্গবন্ধু কখনো নির্যাতিত নারী শব্দটি উচ্চারণ করেননি। নারীরা মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন। তিনি নারীদের ন্যায়ের পক্ষে সর্বদা অবস্থান নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছিলেন এ দেশের বীর নারীরা।
কবিতায় বঙ্গবন্ধু ‘শ্রাবণের শোকগাথা’
বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নানা আয়োজন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। এর ধারাবাহিকতায় একাডেমির আয়োজনে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা ‘শ্রাবণের শোকগাথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ। স্বাগত বক্তব্য শেষে আবৃত্তি করেন শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, আশরাফুল আলম, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, রূপা চক্রবর্তী, ডালিয়া আহমেদ, বেলায়েত হোসেন, গোলাম সারোয়ার, ইস্তেকবাল হোসেন, হাসান আরিফ, শিমুল ইউসুফ, মাহিদুল ইসলাম, এনামুল হক বাবু, মাশকূর-এ-সাত্তার কল্লোল, ফয়জুল আলম পাপ্পু, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, নায়লা তারান্নুম কাকলী, মীর মাসরুর জামান রনি, মাসুদুজ্জামান, মজুমদার বিপ্লব, মাসুম আজিজুল বাশার, আহসানউল্লাহ্ তমাল, মনিরুল ইসলাম, শিরিন ইসলাম, মিজানুর রহমান সজল, ঝর্না সরকার ও জামাল উদ্দীন হীরা।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...