‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটা। তাঁর উপার্জনে চলে তিন সন্তানের লেখাপড়া, সংসারের যাবতীয় খরচ। সেই মানুষটার একি হাল হলো! এখন আমরা কিভাবে বাঁচব।’ কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত কবির হোসেনের স্ত্রী হেনা কবির। গতকাল সোমবার দেশে ফিরিয়ে এনে কবির হোসেনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় তাঁর দুটি পা ভেঙে গেছে।
গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় বিমানবন্দর থেকে কবির হোসেনকে বহনকারী অ্যাম্বুল্যান্সটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ইউনিটে পৌঁছায়। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও তিন সন্তান। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বিমানের বিজি-০৭২ ফ্লাইটে তাঁকে ঢাকায় আনা হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে কাঠমাণ্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বার্ন ইউনিটের সামনে হেনা কবির কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। ঢাকার উত্তরখান এলাকায় তাঁদের বাস। স্বামী কবির হোসেন কসমেটিকসের ব্যবসা করেন। ব্যবসার প্রয়োজনেই তিনি নেপাল গিয়েছিলেন। স্বামীর আয়ের টাকায় তিন সন্তানের লেখা-পড়ার খরচ ও সংসার চলত তাঁদের। বর্তমানে তাঁর পায়ের যে অবস্থা, তাতে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবেন কি না কে জানে!
আহত কবির হোসেনকে গতকাল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকালই বার্ন ইউনিটের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানান চিকিৎসকরা। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্তলাল সেন বলেন, কবির হোসেনের দুই পায়ের হাঁটুর নিচে অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে। ডান পায়ের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। তাঁর পায়ে প্লাস্টিক সার্জারি প্রয়োজন হবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের