বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালত থেকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে এ মামলার বিচার সম্পন্ন করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহীম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের বেঞ্চ গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন। বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গতকাল এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এদিকে এ মামলায় টাকার উৎস বিষয়ে পুনরায় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের ওপর গতকাল একই বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা মডেল থানায় মামলা করে। মামলায় খালেদা জিয়া এবং তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় এ মামলার বিচারকাজ শেষ পর্যায়ে। এ অবস্থায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানান খালেদা জিয়া। কিন্তু বিচারক গত ২ ফেব্রুয়ারি এই আবেদন খারিজ করে দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এই আবেদনের ওপর গত ৫ মার্চ শুনানি শেষ হয়। আবেদনটি মঞ্জুর করে গতকাল আদেশ দেন হাইকোর্ট।
টাকার উৎস বিষয়ে পুনঃ তদন্তের নির্দেশনা নিয়ে আদেশ আজ : এ মামলায় টাকার উৎস নিয়ে পুনরায় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। গতকাল এ আবেদনের ওপর শুনানি হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান ও অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভুঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের বক্তব্য, এ মামলায় দুই বার তদন্ত করেছে দুদক। প্রথম দফায় দুদকের কর্মকর্তা নূর আহমেদ তদন্ত শেষে মামলার অভিযোগ থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন। অথচ দুদক আগের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে এ মামলায় নতুন কর্মকর্তা হিসেবে হারুন অর রশিদকে নিয়োগ দেয়। এ তদন্ত কর্মকর্তা খালেদা জিয়াকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন। তাতে বলা হয়, টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...