<p>‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা’র বৈশ্বিক সূচকে এবার বাংলাদেশের চার ধাপ অবনতি হয়েছে। ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের (আরএসএফ) ২০১৯ সালের সূচক অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫০তম। তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। আর সবার শেষে তুর্কমেনিস্তান।</p> <p>গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা সংগঠন আরএসএফ বিভিন্ন সূচকের ভিত্তিতে প্রতিবছর এ তালিকা তৈরি করে। গত বছরের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৪৬তম। সেবার বাংলাদেশের পয়েন্ট ছিল ৪৮.৫৪। এবারের তালিকায় ২.২ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৫০.৭৪ (গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কমলে পয়েন্ট বাড়ে)।</p> <p>বাংলাদেশের চার ধাপ অবনতি হওয়ার ব্যাখ্যায় আরএসএফ দাবি করেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কঠিন দমন-পীড়নের নীতির কারণে যারা ভুক্তভোগী হচ্ছে, তাদের মধ্যে গণমাধ্যমকর্মীরাও আছেন। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় ব্যাপক হস্তক্ষেপ করা হয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন অনেক গণমাধ্যমকর্মী। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি বন্ধ করে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট। উদাহরণ হিসেবে আরএসএফ বলছে, মিথ্যা অভিযোগে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক শহিদুল আলমকে ১০০ দিনেরও বেশি সময় কারাগারে রাখা হয়।</p> <p>আরএসএফের অভিযোগ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দমিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বশেষ হাতিয়ার হলো</p> <p>ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে পাস হওয়া এ আইনের বলে মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। সরকারের পাশাপাশি কট্টর ইসলামপন্থীদের জন্যও বাংলাদেশে সংবাদকর্মীদের স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে বলে মনে করছে আরএসএফ।</p> <p>৭.৮২ পয়েন্ট নিয়ে গত বছরের মতো এবারও তালিকায় শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। এরপর দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক। তালিকার একেবারে তলানিতে আছে তুর্কমেনিস্তান (১৮০তম)। এর আগে আছে উত্তর কোরিয়া (১৭৯), ইরিত্রিয়া (১৭৮), চীন (১৭৭) ও ভিয়েতনাম (১৭৬)।</p> <p>দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ১৪০তম, পাকিস্তান ১৪২তম ও মিয়ানমার ১৩৮তম স্থানে রয়েছে। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অবস্থান যথাক্রমে ৪৮ ও ৩৩ নম্বরে। রাশিয়ার অবস্থান ১৪৯তম। সূত্র : আরএসএফ।</p>