<p>আওয়ামী লীগ সভাপতির সাততলা বানিজ্যিক ভবনে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ সোমবার দুপুরে ডিপিডিসির কোম্পানি সচিব জয়ন্ত কুমার সাহার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে অবৈধ বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। জানা গেছে, তিন বছরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। </p> <p>অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি হচ্ছেন আমিনুল ইসলাম। এই ওয়ার্ডের বেটারি ঘাট এলাকায় তার সাততলা ভবন রয়েছে। এই ভবনের তিন তলায় আমিনুল ও তার পরিবার বসবাস করে। আর ভবনের বাকী ছয়টি তলায় বিভিন্ন কারখানা ভাড়া দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য এই সাততলা ভবনটিতে নেই বৈধ বিদুতের লাইন। প্রায় তিন বছর ধরেই অবৈধ বিদ্যুৎ লাইনে চলছে ভবনটি।</p> <p>ভবনের ছয়টি তলায় অবস্থিত বিভিন্ন কারখানায় প্রতি মাসে ৭ থেকে ১০ লাখ টাকার বিদ্যুৎ খরচ হলেও কোনো বিল পরিশোধ করতে হয়নি আমিনুল ইসলামকে। এদিকে বিল দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা কারখানার মালিকদের কাছ থেকে আদায় করলেও কোনো বিলই পরিশোধ করেনি তিনি। বরং এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ কাটতে গিয়ে আমিনুলের ক্যাডারদের কাছে লাঞ্ছিত হন কয়েকজন বিদ্যুৎ কর্মকর্তা। এ ঘটনার পর অবশেষে ডিপিডিসির কোম্পানি সচিব জয়ন্ত কুমার সাহার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ সোমবার দুপুরে ওই ভবনে অভিযান চালিয়ে ভবনের অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। </p> <p>ওই ভবনটির কয়েকজন কারখানার মালিক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বাড়ির মালিক প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল নিলেও এখন দেখছি পুরো বাড়ির লাইনই অবৈধ ছিল। এখন মনে হচ্ছে প্রতি মাসে তিনি আমাদের কাছ থেকে বিল নিলেও তা নিজেই পকেটে পুরেছেন।</p> <p>এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আমিনুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।</p> <p>এদিকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার এমন জালিয়াতির ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।</p>