<p>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য অপরাজেয় বাংলার ভাস্কর সৈয়দ আবদুলাহ খালিদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে। চারুকলা অনুষদ ও তার অমর সৃষ্টি অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দুই দফা শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এই ভাস্কর্য ও চিত্রশিল্পীর প্রতি।</p> <p>শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহর নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।</p> <p>শনিবার রাত পৌনে ১২টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ। সকালে তার মরদেহ শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয় তার গ্রিন রোডের বাসভবনে। সেখান থেকে সকাল ১১টায় তার মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে। সেখানে তার প্রতি চারুকলা অনুষদের পক্ষে শ্রদ্বা নিবেদন করেন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক শেখ আফজাল। এ ছাড়াও শ্রদ্ধা নিবেদন করে চারুকলা অনুষদের অঙ্কন ও চিত্রায়ণ বিভাগ, ছাপচিত্র বিভাগ, ভাস্কর্য বিভাগ, কারুশিল্প বিভাগ, গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগ, প্রাচ্যকলা বিভাগ, মৃৎশিল্প বিভাগ এবং শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ।<br /> এ ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শিল্পী রফিকুন নবী, সৈয়দ জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক সালেহ চৌধুরী, নাট্যজন ম. হামিদ প্রমুখ।</p> <p>চারুকলা অনুষদ থেকে আবদুল্লাহ খালিদের মরদেহ নিয়ে আসা হয় অপরাজেয় বাংলা পাদদেশে। সেখানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় আয়োজন করা হয় নাগরিক শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব।</p> <p>সেখানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক শ্রদ্ধা জানান।</p> <p>আসাদুজ্জামান নূর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীনতার পক্ষের সব আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি আমাদের পাশে ছিলেন। তিনি পোস্টার এঁকে সেগুলো মিছিলে নিয়ে আসতেন। তার গড়ে যাওয়া অপরাজেয় বাংলা ভাস্কর্যটি এখনো আমাদের সব আন্দোলন-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস। তার এ চলে যাওয়া প্রত্যাশিত ছিল না। আমাদের দেশে ভাস্কর্য শিল্পটি তুলনামূলকভাবে কম চর্চা হয়। সব ভাস্কর্য ও শিল্পসম্মত নয়। সেখানে তিনি এ শিল্পকর্মের প্রতি অনুরক্ত থেকে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।</p> <p>তার প্রতি আরও শ্রদ্ধা জানান বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, ঢাবি শিক্ষক সমিতি, কবিতা পরিষদ, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, ছাত্রলীগ, এশিয়াটিক সোসাইটি, উদীচী, চারুশিল্পী সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সংগঠন। ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা জানান শিল্পী হামিদুজ্জামান খান, মনিরুল ইসলাম, শহীদ কবির, ফকির আলমগীর, মুহাম্মদ সামাদ প্রমুখ।</p>