<p>একজন চিত্র পরিচালক সিএনজি চালিত অটোরিকশায় চড়ে রাজধানীর হোটেল রিজেন্সিতে যাচ্ছিলেন। সিএনজিতে থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে বিদায় দেওয়ার পর হোটেলে ঢুকতে যাবেন সেইসময় দেখেন পকেটে মোবাইল ফোন নেই। ঘাবড়ে যান তরুণ এই পরিচালক। পরে অপ্রত্যাশিত ভাবে সেই ফোন ফিরে পান তিনি।<br /> সিএনজি চালক নিজেই ফোন ফিরিয়ে দিয়ে যান। তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক রফিক সিকদার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে লিখেছেন। রফিক সিকদার কালের কণ্ঠকে তার অভিভূত হয়ে যাওয়ার গল্পটি শোনান।  </p> <p>রফিক সিকদার বলেন, দুপুরে আমি একটি জরুরি কাজে হোটেল রিজেন্সিতে যাচ্ছিলাম। রিজেন্সির কাছেই নেমে ভাড়া দিয়ে সিএনজি বিদায় করে হোটেলে ঢোকার সময় পকেটে হাত দিয়ে দেখি ফোন নেই। ফোন বিষয়টাই এখন অনেক পারসোনাল। আমি ঘাবড়ে গেলাম। কেননা ফোনটা ইংল্যান্ড থেকে আনানো, বাংলাদেশি টাকায় ষাট হাজার টাকা কিন্তু তারচেয়েও বড় বিষয় ফোনে অনেক তথ্য রয়েছে যেগুলো আমার ব্যক্তিগত কাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  </p> <p>রফিক সিকদার আরো বলেন, আমার কাছে আরো একটি ফোন ছিল কিন্তু সেটায় ব্যালান্স ছিল না, আমি রিচার্জ করে বারবার ফোন দিচ্ছিলাম কিন্তু রিসিভ হচ্ছিল না। পরে সেই সিএনজিওয়ালাই ফোন আমাকে ফেরত দিয়ে যান। আমি তার সততায় মুগ্ধ, বিস্মিত। এই শহরে এ ধরনের অনেস্ট মানুষ তো খুঁজে পাওয়া যায় না।</p> <p>মোবাইল ফোন ফেরত দেওয়া সেই সিএনজি চালকের নাম রেজওয়ান। ঢাকায় ২০ বছর ধরে বেবিট্যাক্সি ও সিএনজি চালান।  রেজওয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, আসলে একটা ফোন নিয়ে কী হবে? আর আমি মানুষের জিনিস নেবো কেন? আমি এয়ারপোর্টে এসে পেছনে তাকিয়ে দেখি ফোন। পরে দেখি ক্রমাগত ফোন আসছে। আমি রিসিভ করি এবং রিজেন্সিতে গিয়ে ফোনটা দিয়ে আসি।</p> <p>রেজওয়ান কালের কণ্ঠকে বলেন, এই নিয়ে মোট ৭ বার আমার গাড়িতে মোবাইল ফোন ফেলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে একবার আমি ফিরিয়ে দিতে পারিনি। মোবাইল ফোন নতুন এসেছিল তখন। তারা আমার সাথে যোগাযোগ করেনি। সেই ফেরত না দেওয়াটাও আমাকে এখনো কষ্ট দেয়।</p> <p>সিএনজি চালক রেজওয়ানের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায়। ২০ বছর ধরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।</p>