<p>ছোট থেকে রাসেল বড় হয়েছে বাবা-মা, ভাই-বোন সবার স্নেহ নিয়ে। কিন্তু কতটুকু পেয়েছে পিতৃস্নেহ? তাকে বড় হতে হয়েছে পিতৃ স্নেহবঞ্চিত হয়ে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের ৫৩তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে আবেগ আপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাজীবনের স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যখন বাবার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে যেতাম, তখন রাসেলকে সেখান থেকে নিয়ে আসাটা কষ্টকর হতো।</p> <p>তিনি বলেন, সে বাবাকে ছেড়ে আসতে চাইত না। তখন তার বা কতই-বা বয়স? ঠিকমতো কথাও বলতে শেখেনি। সে বাবাকে খুঁজে বেড়াত। মা বলতেন যে, আমিই তো তোমার বাবা। তখন সে মাকে মা বলেও ডাকত, বাবা বলেও ডাকত। এভাবেই রাসেল ছোট থেকে বড় হয়েছে- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।</p> <p>শেখ হাসিনা বলেন, আগামী প্রজন্মকে ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা, ত্যাগের মধ্য দিয়ে মহান কিছু অর্জন করা সম্ভব। ১৫ আগস্টকে কারবালার সঙ্গে তুলনা করা যায়। ওই দিন বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাউকে রেহাই দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর রক্ত নিশ্চিহ্ন করতে ছোট শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়ার অপরাধে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করা হয়।</p> <p>প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর রক্ত নিশ্চিহ্ন করতে ঘাতকরা রাসেলকে হত্যা করেছে। যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সব কষ্ট বুকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশের কোনো শিশু লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হবে না। বাংলাদেশের মানুষ কারো কাছে মাথা নত করবে না।</p>