<p> এমনই আগুন ঝারানো রোদ্দুরে বোধহয় সুকুমার রায় লিখেছিলেন, 'রোদে ভাজা ইটের পাঁজা'। আলকাতরার মতো চিটচিটে ঘাম, আর ভ্যাপসা গরমেও দেখা নেই মেঘের। আবহাওয়া অফিস বলছে, গত চার বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ঢাকায় পড়েছে রেকর্ড পরিমাণ তাপমাত্রা ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  টানা বৃষ্টি নেই বলে গরমও অনুভূত হচ্ছে তীব্র। বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে মেঘমালার আভাস নেই বলে শিগগিরই বৃষ্টিপাত হবে,  সে সম্ভাবনাও নেই।<br /> আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, এখনই বৃষ্টিপাত হওয়ার আগাম সম্ভাবনার কথা বলা যাচ্ছে না। আরো দু-তিন দিন পর হয়তো ঝড়-বৃষ্টি বা কালবৈশাখীর পুর্বাভাস দেওয়া যাবে। বৃষ্টিহীন টানা শুকনো আবহাওয়ার কারণে গরম তীব্র অনুভূত হচ্ছে। উপরন্তু বঙ্গোসাগরসহ উড়িষ্যা অঞ্চলে স্বাভাবিক মেঘমালা বা নিম্নচাপ দেখা দেয়নি। উপরন্তু বন্ধ হয়ে গেছে দখিনা বাতাস। সব মিলিয়ে বৃষ্টিহীন বৈরী পরিস্থিতি চলবে আরো কিছু দিন। তিনি জানান, বুধবার বেলা ৩টায় ঢাকা শহরের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত চার বছরে এমন গরম ঢাকায় পড়েনি। সবশেষ ২০০৯ সালে একই সময় ঢাকায় ছিল ৩৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।<br /> আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামে ৩৭.০, রাজশাহীতে ৪০.৬, রংপুরে ৩৭.০, খুলনায় ৪০.৭,  বরিশালে ৩৬.৪ এবং সিলেটে ৩৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে মাঝারি থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ। চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুণ্ড ও রাঙামাটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইবে একাধিক মাঝারি থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ। রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়েও একাধিক তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগের খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে মৃদু মাপের একাধিক তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কথা।<br />  </p>