বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসন আমল বাংলাদেশের সব উন্নয়নের শক্ত ভিত

&lt;p&gt;বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছিলেন। তার মধ্যে তিনি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বাস্তবায়ন করেছিলেন অনেক অসাধ্য কর্মসূচির। একটি দেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য, বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনানির্ভর একটি সময়োপোযোগী আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। একটি রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় এমন কোনো বিষয় নেই যে তিনি স্পর্শহীন রেখেছেন। রেখে গেছেন বাংলাদেশের সব উন্নয়নের শক্ত ভিত। আমার ধারণা, বঙ্গবন্ধুর শাসনামল নিয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা হয়নি এবং নতুন প্রজন্ম অনেকটা অন্ধকারেই রয়ে গেছে। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কালবিলম্ব না করে রাতে তিনি পাকিস্তানের পিআইএর একটি বিমানে লন্ডন যাত্রা করে ৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৬টায় হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁঁছেন। অনেক আনুষ্ঠানিকতা শেষে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর রাজকীয় কমেট বিমানে ৯ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দেশের উদ্দেশে রওনা হলেন। পথে তেল নেওয়ার জন্য সাইপ্রাসে যাত্রাবিরতি ঘটেছিল বিমানের। ১০ জানুয়ারি সকালে বঙ্গবন্ধু দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতিতে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে সৌজন্য কথাবার্তার পর ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানেই যাত্রা করেছিলেন ঢাকার উদ্দেশে। ব্রিটিশ কমেট বিমানটি তেজগাঁও বিমানবন্দর স্পর্শ করে বিকেল ৩টায়। সেখান থেকে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ বাঙালির ভালোবাসা আর স্নেহের পরশ ভেদ করে পৌঁছাতে তাঁর সময় লেগেছিল আড়াই ঘণ্টা। রেসকোর্সে লাখো জনতার মাঝ থেকে বঙ্গবন্ধু তাঁর পরিবারের কাছে পৌঁছেন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;এত দীর্ঘ পথযাত্রা, দীর্ঘ আনুষ্ঠানিকতা, জনসভা, আবেগ-উচ্ছ্বাস-কান্না বিনিময়ের পর ১১ জানুয়ারি থেকে বঙ্গবন্ধু সব ক্লান্তি-ভাবাবেগ উপেক্ষা করে এক মুহূর্ত বিলম্ব না করে দেশ পরিচালনা শুরু করেন। সেদিনই মন্ত্রিসভার সঙ্গে দুদফা বৈঠক করেন এবং বৈঠকে সংবিধান প্রণয়নসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু অস্থায়ী সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের পর থেকে বস্তুত তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাসহ সারা দেশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চলতে থাকে। এবং সেনাবাহিনীর বাঙালি অংশ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশের অপেক্ষায় থাকে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ বাংলার জনগণ ও প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের দাবিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শাসনভার স্বহস্তে গ্রহণ করেন। এক ঘোষণায় তিনি বলেন, &lsquo;বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের কল্যাণের জন্যই তাঁকে এ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে।&rsquo; তিনি সুস্পষ্টভাবে দেশবাসীকে জানান, এই শাসনভার স্বহস্তে গ্রহণ করার অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জনগণ যেন তা রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত থাকে। তিনি আরো বলেন, &lsquo;বাংলাদেশের মুক্তির স্পৃহাকে স্তব্ধ করা যাবে না। আমাদের কেউ পরাভূত করতে পারবে না। কারণ প্রয়োজনে আমরা প্রত্যেকে মরণ বরণ করতে প্রস্তুত। জীবনের বিনিময়ে আমরা আমাদের ভবিষ্যত্ বংশধরদের স্বাধীন দেশের মুক্ত মানুষ হিসেবে স্বাধীনভাবে আর আত্মমর্যাদার সঙ্গে বাস করার নিশ্চয়তা দিয়ে যেতে চাই। মুক্তির লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম নবতর উদ্দীপনা নিয়ে অব্যাহত থাকবে। আমি জনগণকে যেকোনো ত্যাগের জন্য এবং সম্ভাব্য সব কিছু নিয়ে যেকোনো শক্তির মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে আবেদন জানাই।&rsquo; (দৈনিক পূর্বদেশ, ১৬ মার্চ ১৯৭১)। বলা বাহুল্য, বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণাও স্বাধীনতার ঘোষণার নামান্তর। বঙ্গবন্ধু দেশের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য ৩৫টি বিধি জারি করেন, যার মাধ্যমে ১৫ মার্চ থেকে সারা দেশ পরিচালিত হয়। বস্তুত ১৫ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায়। দেশের শাসনভার স্বহস্তে গ্রহণ করার পর জনসাধারণ ও সরকারি কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বঙ্গবন্ধুকে সাহায্য করতে লাগলেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সর্বত্র ছিল পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর ধ্বংসলীলার ক্ষতচিহ্ন। নাগরিকদের খাদ্য-বস্ত্র, বাসস্থানের অভাব ছিল প্রকট। কলকারখানায় উত্পাদন শূন্যের কোঠায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু রাখা ও এক কোটি শরণার্থীর পুনর্বাসনসহ দেশের সমস্যা ছিল অগণিত। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন ছিল বঙ্গবন্ধুর সামনে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ, যা তিনি সাফল্যের সঙ্গে মোকাবেলা করেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;স্বাধীনতা-উত্তর কালের বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থার পর্যালোচনা করে বিশ্বজুড়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের ৫০ লাখ মানুষ অনাহারে প্রাণ হারাবে, দেখা দেবে দুর্ভিক্ষ। এমনি এক ভয়াবহ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ শাসনভার গ্রহণ করেছিল। নিঃসন্দেহে তাঁর পরিচালনায় আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক অসুবিধা ও সংকটগুলো কাটিয়ে উঠেছিলেন। দেশের প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ প্রমাণ করে যে বঙ্গবন্ধুর সরকার প্রাথমিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একটি সুনিশ্চিত পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য অর্জন করেছিলেন। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;বঙ্গবন্ধু সরকারের উল্লেখযোগ্য কিছু দিক হলো :&lt;/strong&gt;&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন :&lt;/strong&gt; মুক্তি বাহিনীর জওয়ানদের কাজে লাগানোর জন্য বঙ্গবন্ধু ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী, মিলিশিয়া, রিজার্ভ বাহিনী সংগঠনের বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেন। মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিত্সা এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া দেশ গড়ার বিভিন্ন কাজে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ প্রদান করেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;ত্রাণ কার্যক্রম :&lt;/strong&gt; রিলিফ ও পুনর্বাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু দেশের বিভিন্ন স্থানে জনসংখ্যার ভিত্তিতে মঞ্জুরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণ :&lt;/strong&gt; মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহূত অস্ত্র নিজেদের কাছে না রেখে তা ১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সমর্পণের আহ্বান জানান। এতে সব মুক্তিযোদ্ধা সাড়া দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র জমা দেন। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;স্বাধীন বাংলার প্রশাসনিক পদক্ষেপ :&lt;/strong&gt; ঢাকা মুক্ত হওয়ার পর একটা প্রশাসনিক শূন্যতা বিরাজ করছিল রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র। নিরাপত্তার বিষয়টি আরো গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু প্রত্যাবর্তনের পর প্রশাসনকে কর্মোপযোগী করে তোলেন। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;ভারতীয় বাহিনীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন :&lt;/strong&gt; ১২ মার্চ ১৯৭২ ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রত্যাবর্তন করে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;১৯৭২ সালের সংবিধান :&lt;/strong&gt; ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তারই আদর্শ হিসেবে রচিত হলো রক্তে লেখা এক সংবিধান ৪ নভেম্বর ১৯৭২।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;সাধারণ নির্বাচন :&lt;/strong&gt; ১৯৭৩ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা :&lt;/strong&gt; বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পর দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশের জনগণের দ্রারিদ্র্য দূরীকরণ তথা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে জাতির জনক প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;এই পরিকল্পনার লক্ষ্যগুলো ছিল&mdash;&lt;/strong&gt;&lt;br /&gt; ক. মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ। এ জন্য যারা কর্মহীন বা আংশিক কর্মহীন তাদের সবার কর্মসংস্থানের আয়োজন প্রয়োজন। তা ছাড়া জাতীয় আয় বৃদ্ধির সঙ্গে এই আয় বণ্টনের জন্য যথাযথ আর্থিক ও মুদ্রানীতি প্রণয়ন ত্বরান্বিত হওয়া প্রয়োজন।&lt;br /&gt; খ. জনগণের অত্যাবশ্যক পণ্যের চাহিদা যাতে মেটে সে জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর (খাদ্যদ্রব্য, পোশাক, ভোজ্য তেল, কেরোসিন ও চিনি) উত্পাদন বাড়াতে হবে।&lt;br /&gt; গ. কৃষির প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রযুক্তিগতকাঠামোতে এমনভাবে রূপান্তর সাধন প্রয়োজন, যাতে খাদ্যশস্যের উত্পাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়, কৃষিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ে এবং শ্রমশক্তির শহরমুখী অভিবাসন বন্ধ হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;পররাষ্ট্রনীতি : &lt;/strong&gt;বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতি &lsquo;সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরী মনোভাব নয়।&rsquo; প্রথম তিন মাসের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ ৬৩টি দেশের স্বীকৃতি লাভ। ৩ মাস ২১ দিনের মধ্যে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তান স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় দুই বছর দুই মাসের মধ্যে। সর্বমোট ১২১টি দেশ স্বীকৃতি প্রদান করে। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন :&lt;/strong&gt; ইসলামের যথার্থ শিক্ষা ও মর্মবাণী সঠিকভাবে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচার-প্রসারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ প্রতিষ্ঠা করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলাম আদর্শের যথাযথ প্রকাশ তথা ইসলামের উদার মানবতাবাদী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ছিল জাতির জনকের সুদূরপ্রসারী চিন্তার এক অমিত সম্ভাবনাময় ফসল। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;যুদ্ধাপরাধীর বিচার : &lt;/strong&gt;বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি &lsquo;বাংলাদেশ কোলাবরেটরস স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল অর্ডার&rsquo; জারি করে। এতে দালাল, যোগসাজশকারী কিংবা কোলাবরেটরদের সংজ্ঞায়িত করা হয় এভাবে&mdash;&lt;br /&gt; &mdash;প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে বস্তুগত সহযোগিতা প্রদান বা কোনো কথা, চুক্তি ও কার্যাবলির মাধ্যমে হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করা।&lt;br /&gt; &mdash;গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বা যুদ্ধের চেষ্টা করা।&lt;br /&gt; &mdash;মুক্তিবাহিনীর তত্পরতার বিরুদ্ধে ও মুক্তিকামী জনগণের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তোলা।&lt;br /&gt; &mdash;পাকিস্তানি বাহিনীর অনুকূলে কোনো বিবৃতি প্রদান বা প্রচারে অংশ নেওয়া এবং পাকিস্তানি বাহিনীর কোনো প্রতিনিধিদল বা কমিটির সদস্য হওয়া। হানাদারদের আয়োজনে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;চার ধরনের অপরাধীর বিচার :&lt;/strong&gt; পরবর্তীকালে একই বছরে এই আইন দুই দফা সংশোধন করা হয়। এই সংশোধনীতেও চার ধরনের অপরাধীকে ক্ষমা করা হয়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে নেই, তাদের ক্ষমা করা হয়। কিন্তু যারা লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যা&mdash;এই চারটি অপরাধ করেছে, তাদের ক্ষমা করা হয়নি। ১৯৭৩ সালে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৭ হাজার ৪৭১ জনকে দালাল আইনে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালে অক্টোবর পর্যন্ত দুই হাজার ৮১৮টি মামলার সিদ্ধান্ত হয়। এতে একজনের মৃত্যুদণ্ডসহ ৭৫২ দালাল দণ্ডিত হয়। তত্কালীন সরকার আইনগত ব্যবস্থা ত্বরিত করার জন্য ৭৩টি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল। বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ১১ হাজার আটক থাকে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;উপরন্তু বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭৩ সালের ১৯ জুলাই &lsquo;ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট&rsquo; জারি করেন, যা পরবর্তী সময়ে আইন হিসেবে সংবিধানে সংযোজিত হয় এবং অদ্যাবধি তা বহাল রয়েছে। ১৯৭২ সালের ১৮ এপ্রিল গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছিল। ১৯৭৩ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধানের ১২ ও ৩৮ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সংবিধানের ৬৬ ও ১২২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তথাকথিত ধর্ম ব্যবসায়ীদের ভোটাধিকার ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার বাতিল করা হয়েছিল। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;হজে প্রেরণ : &lt;/strong&gt;১৯৭২ সালে সৌদি আরবে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশের নেতৃত্বে ছয় সহস্রাধিক বাংলাদেশি মুসলমানকে হজ পালনে প্রেরণ করা হয়।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি :&lt;/strong&gt; ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পাদিত হয় &lsquo;২৫ বছরমেয়াদি&rsquo; বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীচুক্তি।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;শিক্ষা কমিশন গঠন :&lt;/strong&gt; কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন ও শিক্ষানীতি প্রণয়ন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;যমুনা সেতু :&lt;/strong&gt; ১৯৭৩ সালের ১৮-২৪ অক্টোবর জাপান সফরকালে জাপানের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী কাকুই তানাকার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে যমুনা বহুমুখী সেতু নির্মাণের সূচনা করেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণ :&lt;/strong&gt; জাতিসংঘের বেশির ভাগ সংস্থা বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সদস্যপদ গ্রহণ।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পুনর্গঠন :&lt;/strong&gt; স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি আধুনিক সুসজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ : &lt;/strong&gt;১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাদেশের ১৩৬তম সদস্যপদ লাভ ও ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ প্রদান।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন :&lt;/strong&gt; বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৪-২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ প্রথম জাতীয় সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ছাড়াও বাংলাদেশের প্রথিতযশা সাহিত্যিক ও শিল্পীরা উপস্থিত ছিলেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;ঐতিহাসিক কিছু পদক্ষেপ :&lt;/strong&gt; ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ, পাঁচ হাজার টাকার ওপরে কৃষিঋণ মওকুফকরণ এবং ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমিয়ে এনে সামাজিক অর্থে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জমি মালিকানার সিলিং পুনর্নির্ধারণ ছিল ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;স্বাস্থ্যব্যবস্থা :&lt;/strong&gt; বঙ্গবন্ধু সরকার নগর ভিত্তিক ও গ্রামীণজীবনের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণের পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৫০০ ডাক্তারকে গ্রামে নিয়োগ করেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আইজিএমআর শাহবাগ হোটেলে স্থানান্তর হয়। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে থানা স্বাস্থ্য প্রকল্প গ্রহণ বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে আজও স্বীকৃত।&lt;br /&gt; &lt;br /&gt; &lt;strong&gt;বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি :&lt;/strong&gt; ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতি রেখে বাংলাদেশকে শিল্প-সংস্কৃতিবদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গঠন এবং বাঙালির হাজার বছরের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য ধরে রেখে আরো সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশি শিল্পকলা একাডেমি গঠন করেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশের একমাত্র জাতীয় প্রতিষ্ঠান। &lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু : &lt;/strong&gt;শূন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারকে শুরু করতে হয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্য। এ ছাড়া জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন, কমনওয়েলথ, জাতিসংঘ, ইসলামী সম্মেলন সংস্থা ইত্যাদি আন্তর্জাতিক সংস্থায় বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে বঙ্গবন্ধু তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের ছাপ রাখতে সমর্থ হন। পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা রোধ এবং বিশ্বশান্তির প্রতি ছিল তাঁর দৃঢ় সমর্থন। এ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭২ সালে বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে প্রদান করে &lsquo;জুলিওকুরি&rsquo; শান্তিপদক।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;দুর্নীতির বিরদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা :&lt;/strong&gt; ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারলে জাতির ভবিষ্যত্ তমিস্রায় ছেয়ে যাবে। দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, চোরাচালানি, মজুদদারি, কালোবাজারি ও মুনাফাখোরদের সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু বলে আখ্যায়িত করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এদের শায়েস্তা করে জাতীয় জীবনকে কলুষমুক্ত করতে না পারলে আওয়ামী লীগের দুই যুগের ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানের গৌরবও ম্লান হয়ে যেতে পারে।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;বিকল্প নেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বের&lt;/strong&gt;&lt;br /&gt; ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির সব স্বপ্ন ও ভবিষ্যত্ অনিশ্চিত করে ফেলেছিল। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শত বাধাবিপত্তির মধ্যেও বাবার আদর্শকে আঁকড়ে ধরে রেখে আবার বাঙালি জাতিকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;দেশবাসী আশা করে, জাতির জনকের আদর্শ অনুসরণ করে সব প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি সুশীল রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলবে, যেখানে দেশবাসী নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তোলায় উদ্বুদ্ধ হবে। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবন আমাদের রাজনীতির বড় পাথেয়। সেখানে বঙ্গবন্ধু আমাদের সব প্রেরণার উত্স। বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। আমাদের দেশের সব রাজনীতিবিদ সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবেন এটি জনগণের প্রত্যাশা।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর একই ধারায় জীবনের সব ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন। বাস্তবিক অর্থে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কোনো বিকল্প নেই। দেশের সব প্রগতিশীল শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুখী-সমৃদ্ধি ও অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবেন, এটিই হোক এবারের জাতীয় শোক দিবসে আমাদের প্রত্যাশা।&lt;/p&gt; &lt;p&gt;&lt;strong&gt;লেখক :&lt;/strong&gt; সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)&lt;/p&gt;

বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের শাসন আমল বাংলাদেশের সব উন্নয়নের শক্ত ভিত

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান

অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান

সর্বশেষ সংবাদ

‘চলচ্চিত্র-টেলিভিশন খাতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে’

রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি ও হামলার সন্দেহে জার্মানিতে আটক ২

জেনার ও গুটিবসন্তের টিকা

ক্রিকেটারদের ‘রানিং টেস্ট’ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানী বৃদ্ধি পাচ্ছে

সামরিক-বেসামরিক বিচার ব্যবস্থা নিয়ে সেমিনার

জোভান ও মাহির ফ্যানপেজ গায়েব

নান্দাইলে ধানক্ষেতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তির দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ

সন্ত্রাসীদের হত্যার বিষয়ে মোদির মন্তব্য নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

এমপি-মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থী হতে প্রধানমন্ত্রীর মানা

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মেহজাবিন চৌধুরী হবেন মালতী?

ফ‌রিদপুরে ভ্যান দিতে রাজি না হওয়ায় হারুনকে খুন করে দুর্বৃত্তরা

প্যারিসে শত শত অভিবাসীকে উচ্ছেদ করছে পুলিশ

প্রস্তাব পেয়েও আইপিএল খেলা হয়নি শরিফুলের

‘এটা কন্যা হারিয়ে যাওয়ার গল্প’

বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম, কাল থেকে কার্যকর

'যোগ্য মনে করলে আবার ডাকবে'

রাজবাড়ীতে বন্ধুদের সাথে পদ্মায় গোসলে নেমে প্রাণ গেল সোহানের

যে সিনেমা করতে গিয়ে প্রায় মরতে বসেছিলেন টম হ্যাঙ্কস!

সরাইলে ধান শুকানোর খলা দখল নিয়ে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশত

বিএনপি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয় : ওবায়দুল কাদের

‘ইসলামিক মূল্যবোধ লঙ্ঘন’, ২ টিভি চ্যানেল বন্ধ করল তালেবান

চকরিয়ায় ভূমিসহ মার্কেট রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

মুস্তাফিজের বিকল্প ক্রিকেটার নিয়ে নিল চেন্নাই?

সরকার দেশের মানুষের হৃদয়ের ভাষা বুঝতে পারেনি : রিজভী

আল্লাহর প্রিয় হওয়ার আমল

কিশোরগঞ্জে বাসচাপায় প্রাণ গেল মামা-ভা‌গ্নের

রাসেলের নিষেধাজ্ঞায় নতুন নাটক

সর্বাধিক পঠিত

এক হলেন তাহসান মিথিলা, তবে…

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খান পরীমণি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ নেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বৃহস্পতিবার ১ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট

বাসর রাত কাটিয়ে স্বামী পলাতক, শ্বশুরবাড়িতে তরুণীর অবস্থান

গডফাদারদের সম্পত্তি ক্রোক: মাদকের টাকায় সম্পদের পাহাড়

ছাত্রলীগ নেতার পর একই নারীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের ভিডিও ভাইরাল

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন পরী মনির বিরুদ্ধে

মাহির সঙ্গে প্রেম করছেন কি না, জানালেন জয়

আজ এক ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট সেবা

টাইব্রেকারে ম্যানসিটির হৃদয় ভেঙে সেমিফাইনালে রিয়াল

৭৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি আমিরাতে, পানির নিচে বিমানবন্দর

এবার ‘জেমস’ হবেন শাকিব খান

সড়ক দুর্ঘটনায় কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানের মৃত্যু

বার্সার হারে লাভ হলো অ্যাতলেতিকোর

চালুর অপেক্ষায় ১২৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি পতেঙ্গা টার্মিনাল

ওই পরিমাণ আয় করতে ১৫টি সিনেমা করতে হতো : রাভিনা

শরীরে জিংকের কাজ কী? ঘাটতি পূরণে যা করণীয়

ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ, বিক্রি হবে আগের দামেই

টাঙ্গাইল শহরে একাধিক কক‌টেল বি‌স্ফোরণ, জনমনে আতঙ্ক

৪ লাখ টাকায় হামলা করানো হয় সালমান খানের বাড়িতে

অনড় নেতানিয়াহু, ইরানের ব্যাপারে ইসরায়েল নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে

তাপপ্রবাহ কিছুটা কমেছে, আরো কমবে

পরিবেশবান্ধব হলো আরো এক পোশাক কারখানা

ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় হিজবুল্লাহর হামলা, ১৪ সেনা আহত

চিকিৎসায় অবহেলা মেনে নেওয়া হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিয়ের পর স্বামী পলাতক, শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান নেওয়া সেই তরুণীকে হাতুড়িপেটা

ফোকগানের তরুণ শিল্পী পাগল হাসান সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত

৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

কোরআন থেকে শিক্ষা

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন