<p>পাবনার চাটমোহরের বিভিন্ন বিলে পোষা বক দিয়ে ফাঁদ পেতে বুনো বক শিকার করছে এক ধরনের কৌশলী শিকারিরা। পরে এসব বক প্রকাশ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছে। প্রচলিত আইনে পাখি শিকার দণ্ডণীয় অপরাধ জেনেও তা থেকে বিরত থাকছে না তারা। অন্যদিকে হাটবাজারে প্রকাশ্যে পাখি বিক্রি করা হলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না উপজেলা প্রশাসন।</p> <p>পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিলাঞ্চলে বর্ষার শেষ ভাগে বক শিকারিদের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশি। উপজেলার বিল কুড়ালিয়া, পদ্মবিল, ডিকশির বিল, গড়গড়ি বিল, খলিশা গাড়ি বিল, চাতরার বিলসহ বেশ কিছু বিলে শিকারিরা নানা ধরনের ফাঁদ পেতে বকসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি শিকার করছে। সম্প্রতি চাটমোহর পৌর সদরে বক বিক্রি করার সময় শিকারি আমীর আলী বলেন, ‘আমরা বক ধরার জন্য এক প্রকার ফাঁদ পাতি। বাঁশের ছোট বানা বৃত্তাকার করে মাটিতে পুঁতে দিই। এর ওপরের অংশ কলা ও খেজুরের পাতায় ঢেকে দিয়ে পোষা বকগুলো ফাঁদের ওপর বেঁধে রাখি। পরে তা জলাশয়ের পারে স্থাপন করে ভেতরে লুকিয়ে থাকি। পোষা বকের ডাক শুনে বুনো বকেরা আসে। তখন আমরা কলাপাতার ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে বুনো বক ধরি। এ কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় বকের ঠোকর খেতে হয়। এভাবে প্রতিবছর ভাদ্র থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত আমরা বক শিকার করি। প্রতি জোড়া বক ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করি।’ এ বিষয়ে চাটমোহর সরকারি ডিগ্রি (অনার্স) কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান পরিবেশবিদ ড. মুক্তি মাহমুদ বলেন, ‘বক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তা জেনেও অনেক শিকারি জলাশয় থেকে বক শিকার করে বিক্রি করছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।’</p> <p>চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার বলেন, ‘পাখি শিকার করা দণ্ডণীয় অপরাধ। অচিরেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে শিকারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’ </p>