<p>কবি, আবার কখনো রূপকথার গল্পের কোনো মনোযোগী চরিত্র। কখনো উধাও, আবার কখনো হঠাৎ উদিত নক্ষত্রটি, উজ্জ্বল। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত তার ‘যে জ্বলে আগুন জ্বলে’ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা কবিতার ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় একটি বই হিসেবে দুই যুগ ধরে পঠিত হয়ে আসছে। অসংখ্য সংস্করণ হয়েছে। ওই প্রথম ও একমাত্র বই তার। কিন্তু এরপর জনপ্রিয়তা তার দিন দিন বেড়েছে। কবি অন্তরালে থাকলেও পাঠক ঠিকই গেছেন তার কবিতার কাছে। তিনি কবি হেলাল হাফিজ।</p> <p>এ কবির সঙ্গে জনপ্রিয় নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের বন্ধুত্বের কথা সাহিত্য সমঝদারদের অজানা নয়। আজ শুক্রবার তসলিমার জন্মদিন। এ উপলক্ষে ফেসবুকে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন হেলাল হাফিজ। তসলিমার সঙ্গে নিজের পুরনো দিনের একটা ছবি শেয়ার করে অকৃতদার এই কবি লেখেন, স্মৃতিকাতরতা।</p> <p>২৫ আগস্ট, ১৯৮৮ সাল। তসলিমা নাসরিনের জন্মদিনে ময়মনসিংহের অবকাশ নিবাসালয়ে হেলাল হাফিজ ও তনা। এরপর তসলিমাকে নিয়ে নিজের একটা কবিতা তুলে দেন- ভালোবেসেই নাম দিয়েছি 'তনা',/মন না দিলে ছোবল দিও/তুলে বিষের ফণা! - হেলাল হাফিজ  <br />  <br /> পোস্টের শেষে তসলিমার একটা কবিতা- আমার মাথার মাপে এ তোমার বানানো দরোজা/কাঁধের মাপে তুমি,/আমার বুকের মাপে গড়ে দিও দীর্ঘ ভালোবাসা/পায়ের মাপে ভূমি। -তসলিমা নাসরিন তাদের দু'জনের মধ্যে এমনই ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। বয়সের মধ্যযামে আজ তারা দু'জন পৃথিবীর দুই দেশে। তাদের এই নিঃসঙ্গ দূরত্বের কারণে সৃষ্ট স্মৃতিকাতরতা কবির এ ফেসবুক পোস্ট ফুটে উঠেছে। আর এটা থেকে এ দু'জনের সম্পর্কের রসায়নটা বুঝতেও বেগ পেতে হয় না ভক্ত-পাঠকদের। এরপর তসলিমাকে নিয়ে নিজের একটা কবিতা তুলে দেন- ভালোবেসেই নাম দিয়েছি তনা/মন না দিলে ছোবল দিও/তুলে বিষের ফণা! - হেলাল হাফিজ</p>