সম্পর্কের নানা জটিলতায় নিয়ে বাজে সময় কাটে। এ থেকে মুক্তি চান সবাই। কিন্তু উপায় মেলে না। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ একমাত্র অবলম্বন হতে পারে। এমনই এক সমস্যা নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল হেলথ কেয়ার এর মনোবিজ্ঞানী এবং যৌন বিশেষজ্ঞ ড. পেত্রা বয়ন্টনের কাছে চিঠি লিখেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণ। সমাধানে জবাব দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ।
তরুণ লিখেছেন, প্রেমিকা সম্পর্কের ইতি ঘটায় আমার আবেগীয় নির্যাতনের কারণে। আমি অনেক দিন এগুলো বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু এক সময় সে আমাকে নিরেট প্রমাণ দিল যে, আমি আসলেই তার ক্ষতি করে চলেছি। আমাদের বিচ্ছেদ ঘটার পর অনলাইনে এ নিয়ে গবেষণামূলক অনেক বিষয় পড়েছি আমি। আমি বুঝতে পারি আমার ভুল কি ছিল। তাকে ভুলগুলো বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তার কাছে পৌঁছানোর সব উপায় বন্ধ করে দিয়েছি। সে যদি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে যে আমাকে ভালোবাসে না, তবে আমি মেনে নিবো। তাকে পাওয়ার জন্য আমি কি করতে পারি বলে আপনি মনে করেন?
পেত্রা বলছেন, নির্যাতনের এমন বিষয় নিয়ে আমি বহু চিঠি পেয়েছি। সাধারণত যারা নির্যাতন করেন তারা এমন চিঠি লেখেন না। কারণ তারা বুঝতেই পারেন না যে এমনটা করছেন। এ ধরনের সমস্যার উদয় হল আসলে যা করতে হয়-
নিজের প্রতি মনোযোগ দিন : আসলে নির্যাতনের স্বভাব রয়েছে কিনা তা বুঝতে পরিবারের প্রতি মনোযোগ দিন। সেখানে এমন ঘটনা ঘটলে সহজেই বুঝতে পারবেন। নিজেকে মানসিক নির্যাতনকারী হিসাবে যদি মনে করেই থাকেন এবং সাবেক প্রেমিকাকে ফেরত পেতে চান তবে কয়েকটি বিষয় জেনে নিন।
১. তার সঙ্গে কথা বলা দরকার। যেহেতু তাকে ভালোবাসেন, তাই আপনার মনের খবর তাকে জানানো দরকার। নিজের সম্পর্কে যে ভুলগুলো বুঝতে পেরেছেন তার জানান তাকে দিতে হবে।
২. বুঝতে হবে যে, এমন আচরণের জন্য সাহসের প্রয়োজন হয়। অনেক মানুষ তার হয়রানিমূলক আচরণ বুঝতে পারেন না। বুঝতেও হয়তো অনেক সময় লেগে যায়। আবার অনেক নির্যাতনকারী আবারো সাবেক প্রেমিকাকে ফেরত পেতে তাকে প্রতিশ্রুতির বন্যায় ভাসিয়ে দেন। প্রেমিকাকে ফিরে আসার সাহস দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
৩. আপনি হয়তো সঙ্গিনীর কথা শোনেননি। এ ব্যবহার নিয়ে প্রেমিকা হয়তো আগে থেকেই আপনাকে সাবধান করতেন। কিন্তু আপনি তা বুঝতে চাননি। নিয়ন্ত্রণ এবং মর্যানাহানীর মাধ্যমে এসব আচরণ প্রতিষ্ঠিত হতে থাকে। এখানে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাই বড় কথা।
পরে কি ঘটতে পারে? : যখন নিজের ভুল বুঝতে পারবেন তখন ধারণা পাবেন কেন সঙ্গিনী চান না যে আপনি তার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অনেক সময় যখন আপনি এত সমস্যার পরও সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চাইছেন না তখন মানুষ বাজে মন্তব্য করে। তাকে ছেড়ে দেওয়ার অর্থ কোনো যোগাযোগ না করা, সোশাল মিডিয়ায় ফলো না করা এবং তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা না করা।
সহায়তা নিন : আর যদি সম্পর্ক শেষের যন্ত্রণায় পড়ে যান তবে সহায়তা নিন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। স্বজনদের কাছে কাছে থাকুন। অভিজ্ঞজনের পরামর্শ নিন। নিজের সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকুন। সূত্র : টেলিগ্রাফ
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের