<p>চা এই পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চা মেলে। তবে আপনি যে চা-ই খান না কেন, তা একটি উদ্ভিদ থেকেই আসে যার বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সাইনেসিস। তবে গোটা বিশ্বে হাজারো ধরনের চা পাওয়া যায়। কোন স্থানে জন্মাচ্ছে, বছরের কোন সময়টাতে তোলা হচ্ছে আর প্রক্রিয়াজাতকরণের পদ্ধতিগত ভিন্নতার ওপর নির্ভর করে চা কেমন হবে। প্রত্যেক চায়ের আছে তার নিজস্ব স্বাদ ও গন্ধ। এদের স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও একেক ধরনের হয়ে থাকে। এখানে জেনে নিন বেশ কয়েক ধরনের চায়ের কথা। বিশ্বজুড়ে এগুলো খুবই জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যকর চা হিসেবে বিবেচিত। </p> <p><strong>হোয়াইট টি </strong><br /> এটাকে সবচেয়ে খাঁটি চা বলা হয়। অন্য সব চায়ের থেকে সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় এতে। সাদা চায়ের রং একেবারে হালকা এবং গন্ধও অনেক কম। মূলত এই চায়ের প্রাকৃতিক গন্ধ, স্বাদ ও মিষ্টতা উপভোগ করা হয়। </p> <p><strong>আরও পড়ুন <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2016/04/22/350361\" target=\"_blank\">৬টি পরামর্শ নিন, হয়ে যান চা বিশেষজ্ঞ</a></strong></p> <p><strong>গ্রিন টি </strong><br /> এটা বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় চায়ে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়ার মধ্যে এর চাহিদার শেষ নেই। অনেক স্বাস্থ্যকর চা বলে বিবেচিত হয়। অনেকগুলো ফ্লেভারেও মেলে। অনেক গ্রিন টি আছে যেগুলোতে ফল ও ফল মিশিয়ে দারুণ ফ্লেভার দেওয়া হয়। এমনিতেই সাদামাটা গ্রিন টিয়েরও অনন্য স্বাদ মেলে। </p> <p><strong>ওলং টি </strong><br /> এর উচ্চারণটা আসলে উ লং টি। চীনের রেস্টুরেন্টগুলোতে সবচেয়ে বেশি চলে এই চা। গোটা চীনে দারুণ জনপ্রিয়। </p> <p><strong>ব্ল্যাক টি</strong><br /> অধিকাংশ মানুষ এই চা খান। ফুটন্ত পানিতে চা দিয়ে কড়া লিকারের বানানো হয়। এতে দুধ ও চিনি মেশালেও অপূর্ব স্বাদ মেলে। </p> <p><strong>আরও পড়ুন <a href=\"http://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2017/08/23/535185\" target=\"_blank\">অনেক উপকারী 'হলুদ-আদা চা'</a></strong></p> <p><strong>হার্বাল টি </strong><br /> এটা একমাত্র চা যেখানে ক্যামেলিয়া পরিবারের উদ্ভিদের কোনো পাতা থাকে না। তিন ধরনের হয়- রুইবস টি, মেট টি এবং হার্বালের মিশ্রণ। তৃতীয়টাতে খাঁটি হার্বাল উপাদান, ফুল এবং ফলের মিশ্রণ থাকে। </p> <p><strong>রুইবস টি </strong><br /> দক্ষিণ আফ্রিকার লালচে ঝোপ নামে পরিচিত বিশেষ প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে রুবিবস টি বানানো হয়। এটি রেড টি নামেই বেশি পরিচিতি পেয়েছে। এটা মজার চা। বিভিন্ন ফ্লেভার ও স্বাদে মেলে। </p> <p><strong>মেট টি </strong><br /> যারা কফি পছন্দ করেন তাদের কাছে প্রিয় চা মেট টি। এর স্বাদ অনেকটা কফির মতো। মেট হলো আর্জেন্টিনার এক বুনো উদ্ভিদ। স্বাদের ও দারুণ ফ্লেভারে চা বানাও হয় এর সহায়তায়। কড়া স্বাদেরও হয়ে এই হার্বাল চা। </p> <p><strong>ব্লুমিং টি </strong><br /> ফুটন্ত ফুলের চাও বলা হয়ে একে। আসলে এই চা বানানোর সময় ফুল যেন ফুটে যায়। শিল্পীরা এভাবেই বানান ব্লুমিং টি। এতে অনেক সময়ই নানা ধরনের ফ্লেভার জুড়ে দেওয়া হয়। অনেকে রোমান্টিক চা বলে থাকেন। </p> <p><strong>টি ব্লেন্ডস</strong><br /> উন্নতমানের একাধিক চায়ের মিশ্রণে তৈরি করা হয় টি ব্লেন্ডস। মিশ্রণে তৈরি হয় অনন্য ফ্লেভার। </p> <p><strong>মাকাইবারি টি </strong><br /> দার্জিলিংয়ের এই চা সম্প্রতি প্রতি কেজি ১৮৫০ ডলারে বিক্রি হয়েছে। ফলে মাকিবারি চা পৃথিবীর সবচেয়ে দামি চায়ের তকমা পেয়েছে।  </p> <p>সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া </p>