<p><strong>১. ত্বকের ধরন নির্ণয় করব কীভাবে?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর :</strong> এর সবচেয়ে ভালো বিজ্ঞানসম্মত উপায় হলো একটি মেডিক্যাল স্কিন টেস্ট করানো।</span></p> <p>ঘরে বসেও প্রাথমিক পদ্ধতিতে ব্লটিং পেপার ব্যবহার করেও স্কিন টেস্ট করানো যায়। ব্লটিং পেপারটি আপনার ত্বকের বিভিন্ন এলাকায় লাগিয়ে দিন। এরপর তা তুলে আলোতে দেখুন। এতে যদি প্রচুর পরিমাণ তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের ধরন হলো তৈলাক্ত। আর যদি কম তেল থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক। তবে আপনার গালের তুলনায় যদি নাক একটু বেশি তৈলাক্ত হয় তাহলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।</p> <p>স্কিন টেস্টের সর্বশেষ ঘরোয়া পদ্ধতিটি হলো মুখ পরিষ্কার করে একঘণ্টা পর তা পর্যবেক্ষণ করুন। এক ঘণ্টা পরও যদি আপনার মুখে তেল এবং মেদ থেকে ক্ষরিত রস থাকে তাহলে আপনার ত্বক হলো তৈলাক্ত ত্বক। কিন্তু যদি কোনো পরিবর্তন না দেখা যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক হলো শুষ্ক ত্বক। আর আপনার নাক এবং কপাল যদি কিছুটা চকচকে হয়ে ওঠে তাহলে আপনার ত্বক স্বাভাবিক ধরনের।</p> <p><strong>২. ফর্সা ত্বক পাব কীভাবে?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর :</strong> নারীরা প্রায়ই ত্বক ফর্সা করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কসমেটিকস কেনেন। যেমন পাউডার, ফাউন্ডেশন এবং আরো নানা ধরনের প্রসাধনী। কিন্তু ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনই মূল চাবিকাঠি। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, ফল ও জুস খেতে হবে, ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস মেনে চলতে হবে এবং শরীরচর্চা করতে হবে। এর পাশাপাশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত ঘরোয়া দাওয়াই ব্যবহার করা যেতে পারে।</span></p> <p><strong>৩. চুল কীভাবে দ্রুত গজানো যায়?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর :</strong> সারাদিন চুলের সঙ্গে নিষ্ঠুর সব আচরণ করে দিনশেষে এসে চুল কীভাবে দ্রুত গজানো সম্ভব তা নিয়ে গুগলে সার্চ করার কোনো মানে হয় না। চুল দ্রুত গজাতে চাইলে চুলকে ভালো যথেষ্ট পরিমাণে পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে হবে। আর চুল দ্রুত গজানোর কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করার সময় আপনাকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। একদিনেই এর কোনো সমাধান সম্ভব নয়। অনেকে আবার এ সময় চুল ছাটা বন্ধ করে দেন। কিন্তু সময় মতো চুল ছাঁটা হলে তা চুলের বৃদ্ধিতে বরং আরো সহায়ক হয়।</span></p> <p><strong>৪. ট্যাটু কি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর :</strong> সবার জন্য যে ট্যাটু ক্ষতিকর এমন নয়। তবে যারা স্থায়ী ট্যাটু এঁকেছেন তাদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এর ফলে তাদের ত্বকের সমস্যা বেড়েছে। অর্থাৎ ট্যাটুতে ঝুঁকি আছে। সুতরাং আপনি যদি পুরোপুরি নিরাপদ থাকতে চান তাহলে ট্যাটু না করানোই ভালো। আর যদি ট্যাটু করাতেই হয় তাহলে ভালো কোনো পার্লার এবং ভালো কোনো শিল্পীকে দিয়ে তা করান।</span></p> <p><strong>৫. কনসিলার প্রয়োগ করতে হয় কীভাবে?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর :</strong> কোনো নারীই একদিনে কনসিলার প্রয়োগ করা শিখে যান না। এ ছাড়া কোন ধরনের কনসিলার ব্যবহার করছেন তাও একটি বিবেচ্য বিষয়। সব নারীই কনসিলার ব্যবহার করেন না। যাদের ত্বকে কোনো মার্ক বা দাগ আছে তাদেরকে অবশ্যই কনসিলার কিনতে হবে। কনসিলার কেনার আগে ক্রস চেক করে নিন সেটি আপনার ত্বকের টোনের সঙ্গে মানানসই কিনা এবং আপনার উদ্দেশ্য পুরণ করতে পারবে কিনা। কনসিলারের নানা ধরন আছে। ফলে কেনার আগে গবেষণা করে নিতে হবে।</span></p> <p><strong>৬. দেহের অবাঞ্ছিত লোম অপসারণে নিরাপদ উপায় কোনটি?</strong><br /> <strong style=\"line-height:1.6em\">উত্তর :</strong><span style=\"line-height:1.6em\"> দেহের লোম অপসারণের আছে একাধিক উপায়। আপনি কোন উপায়টি ব্যবহার করবেন তা নির্ভর করছে আপনার ত্বকের ধরন এবং লোম গজানোর তীব্রতার ওপর। চোখের ভ্রুর জন্য থ্রেডিং এবং টোয়েকিং ভালো কাজ করে। হাত বা পায়ের জন্য ওয়াক্সিং সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। আর আপনি যদি লেজার হেয়াল রিমুভাল পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান তাহলে অভিজ্ঞ কোনো কসমেটিক সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।</span></p> <p><strong>৭. চুলে কয়দিন পরপর শ্যাম্পু করব?</strong><br /> <strong style=\"line-height:1.6em\">উত্তর :</strong><span style=\"line-height:1.6em\"> শ্যাম্পু তখনই করা উচিত যখন চুল ও মাথার ত্বকে ময়লা জমে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পরপর শ্যাম্পু করালে চুল ভালো থাকে। আর চুলের যত্নে শ্যাম্পু করার পাশাপাশি তেল, কন্ডিশনার, ভলুমাইজার এবং অন্যান্য জিনিসও ব্যবহার করতে হবে। অনেকে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করার কথা শুনে আঁতকে ওঠেন। কিন্তু আপনার চুলে যদি প্রতিদিনই কদাকার হয়ে ওঠে তাহলে প্রতিদিনই শ্যাম্পু করাতে হবে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না।</span></p> <p><strong>৮. চোখের নিচের ফোলাভাব দূর করব কীভাবে?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর :</strong> শসা ও আলুর ফালি এবং আইস বা ঘুমের রুটিন বদলে আপনি আইব্যাগ বা চোখের ফোলাভাব থেকে মুক্ত হতে পারেন। তবে কর্কশ কিছু ব্যবহার করবেন না। কারণ তা আপনার চোখের দৃষ্টির ক্ষতি করতে পারে। আর তাতেও যদি আইব্যাগ দূর না হয় তাহলে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞর সঙ্গে যোগাযোগ করুন।</span></p> <p><strong>৯. স্মোকি আই মেকআপ করা সম্ভব কীভাবে?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর :</strong> স্মোকি আই মেকআপ করার পদ্ধতি বিষয়ে ইন্টারনেটে প্রচুর সংখ্যক লেখা রয়েছে। যেকোনো একটি পদ্ধতি বাছাই করে সে মতো কাজ করুন। তবে কখনোই দুটো পদ্ধতি সমন্বয় করতে যাবেন না তাহলে কিন্তু বিপদ আছে। এতে চোখের ক্ষতি হতে পারে। আর যেসব কসমেটিকস কেবল চক্ষুবিজ্ঞান এর পদ্ধতি পরিক্ষীত কেবল সে সবই ব্যবহার করুন।</span></p> <p><strong>১০. বলিরেখামুক্ত ত্বক পাওয়া যাবে কীভাবে?</strong><br /> <span style=\"line-height:1.6em\"><strong>উত্তর : </strong>প্রথম থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করুন। ৩০ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কিন্তু আপনি যদি বলিরেখা পড়ার জন্য অপেক্ষা করেন এবং এরপর তা থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে ভুল করবেন। বলিরেখার প্রথম লক্ষণ হলো কপালে ভাজপড়া। ওয়েবে ত্বকের বলিরেখা দূর করার ঘরোয়া দাওয়াই সম্পর্কিত নানা লেখা আছে। সেসব পড়ে পড়ে ত্বকের যত্ন করুন ধৈর্য ধরে।</span><br /> <span style=\"line-height:1.6em\">সূত্র : বোল্ডস্কাই</span></p>