<p>কলা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ অত্যন্ত উপকারি একটি ফল। নিয়মিত কলা খেলে দেহের নানা ঘাটতি পূরণ করে আমাদের সুস্থ থাকায় সহায়ক হবে। এটি বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা অর্জনেও সহায়ক।</p> <p><strong>পুষ্টিগুণ</strong><br /> কলাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি ও বি৬। একটি সাধারণ কলা আপনার দৈনিক চাহিদার ১৫ শতাংশ ভিটামিন সি ও ৩৩ শতাংশ ভিটামিন বি৬-এর চাহিদা মেটাতে পারে। এছাড়া এতে ম্যাঙ্গানিজ, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার রয়েছে।</p> <p><strong>দেহের সঠিক ওজন</strong><br /> কারো দেহের ওজন যদি কম হয় তাহলে বেশি করে কলা খাওয়া উচিত। অত্যন্ত পুষ্টিকর কলা দেহের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। এটি যেমন ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে তেমন দেহের বাড়তি ওজনও কমাতেও সহায়তা করে। কারণ খাবার খাওয়া যারা কমাতে চান তারা অল্প করে কলা খেলে নিলে অন্য খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে।</p> <p><strong>এনার্জির উৎস</strong><br /> কলা দেহের এনার্জি বৃদ্ধি করে থাকে। কলাতে প্রচুর পরিমাণের ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল আছে যা দেহের এনার্জি লেভেল ঠিক রেখে শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। প্রতিদিন নাস্তায় কলা রাখলে তা সারাদিনের কাজে এনার্জি দেবে।</p> <p><strong>সুগার নিয়ন্ত্রণ</strong><br /> প্রতিদিন শারীরিক অনুশীলনের পাশাপাশি কলা খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এটি আপনার দেহের রক্তে শর্করার পরিমান ঠিক রাখবে এবং তার সাথে ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রন করবে।</p> <p><strong>কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের সমস্যায়</strong><br /> কলা কোষ্টকাঠিন্য নিরাময়ে সহায়তা করে। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। এই শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।</p> <p><strong>আলসার নিরাময়ে</strong><br /> আলসার নিরাময়ে কলা কাজ করে। এক্ষেত্রে কলার এসিড নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ভূমিকা রাখে। কলা একটি আঁশযুক্ত ফল। কলা নিরাপদ হজমের জন্য পথ্য হিসাবে কাজ করে। নরম ও সহজে হজম হবার কারণে হজম শক্তির কাজে বাড়তি ঝামেলা দেখা দেয় না।</p> <p><strong>হৃদরোগ ও স্ট্রোক থেকে বাঁচতে</strong><br /> হৃদরোগ থেমে মুক্ত থাকার জন্য রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য দেহে পটাশিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও দেহে পটাসিয়ামের আদর্শ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও। আর এই উপকারী পটাশিয়াম কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে। গবেষণায় বলা হয়েছে আঁশযুক্ত খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে। কলায় আঁশ থাকায় তা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।</p> <p><strong>সুস্থ পেশি</strong><br /> শরীরের পেশির সুস্থতার জন্যও কলা বেশ উপকারী। ব্যায়ামের আগে কিংবা পরে কলা খান এটি আপনার পেশীর সমস্যা দূর করবে এবং পায়ের মজবুত পেশী গঠনে সাহায্য করে।</p> <p><strong>রক্তস্বল্পতা দূর করতে</strong><br /> কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। ফলে নিয়মিত কলা গেলে দেহের রক্ত শূন্যতা দূর হয়ে যায়।<br /> নারীদের সমস্যায়</p> <p>--অর্গানিক ফ্যাক্টস অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব</p>