<p>টাকা উপার্জন বাড়ানোর জন্য কার না আগ্রহ আছে। কিন্তু শুধু উপার্জন বাড়ানোই টাকা বাড়ানোর একমাত্র উপায় নয়, সঞ্চয় করেও বাড়ানো যায় টাকা। এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শের অভাব রয়েছে অনেকেরই। এ লেখায় রয়েছে তেমন কিছু উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফোর্বস।<br /> <strong>১. সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খুলুন</strong><br /> আপনার যদি খাটানোর মতো অল্প কিছু অর্থও থাকে তাহলে তা এমন কোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে রাখুন, যা ভালো লভ্যাংশ দেয়। একই টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে বা সঞ্চয় প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের লভ্যাংশ দেয়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হবেন।<br /> <strong>২. বিল লক্ষ করুন</strong><br /> নানা ধরনের ছোট ছোট বিলের কারণে আপনার মাসের খরচ অনেক বেড়ে যায়। আপনি যদি ছোট ছোট এ বিলগুলো বাঁচাতে পারেন তাহলে তা মাস শেষে বড় অংকের সঞ্চয়ে রূপান্তরিত করতে পারবেন।<br /> <strong>৩. প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করুন</strong><br /> আপনি যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন সে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। বেতন বাড়ানো কিংবা সঞ্চয়, প্রভিডেন্ড ফান্ড ইত্যাদি নানা উপায়ে আপনার আর্থিক লাভবান হওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এসব উপায় ব্যবহার করুন।<br /> <strong>৪. ৫২ সপ্তাহের আর্থিক চ্যালেঞ্জ</strong><br /> খুব সহজে প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট অংকের আর্থিক সঞ্চয় করার উপায় এ ৫২ সপ্তাহের আর্থিক চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে প্রথম সপ্তাহে এক টাকা, দ্বিতীয় সপ্তাহে দুই টাকা, তৃতীয় সপ্তাহে তিন টাকা, চতুর্থ সপ্তাহে চার টাকা এভাবে বাড়াতে থাকুন। বছর শেষে আপনার বেশ ভালো একটা টাকা জমা হবে। টাকা জমার এ সংখ্যাটিতে যদি একটি শুন্য যোগ করা যায় অর্থাৎ ১০, ২০, ৩০ ইত্যাদি করা যায় তাহলে তা এর চেয়ে ১০ গুণ অর্থ জমানো সম্ভব হবে।<br /> <strong>৫. ভুলে যাওয়া অর্থ</strong><br /> অনেকেই বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট খোলার পর সে বিষয়ে আর খোঁজখবর নেন না। এসব পুরনো অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তারপর তা বন্ধ করুন।<br /> <strong>৬. গিফট কার্ড</strong><br /> বহু ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর গিফট কার্ড প্রদান করে। এসব কার্ড ব্যবহার করে আপনি নানা স্থান থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে পণ্য কিনতে পারবেন কিংবা বিনামূল্যেও পণ্য পাবেন। বহু মানুষই এসব কার্ড পাওয়ার পর ব্যবহার করে না।<br /> <strong>৭. বিচক্ষণতার সঙ্গে ক্রেডিট কার্ড নিন</strong><br /> বাজারে বহু ক্রেডিট কার্ড থাকলেও তা সাধারণত বিচক্ষণতার সঙ্গে ব্যবহারকারীরা নেন না। এসব কার্ডের অনেকগুলোই প্রচুর পরিমাণে অর্থ চার্জ করে। এসব কার্ড থেকে আপনার বেছে নিতে হবে সবচেয়ে কম অর্থ চার্জ করে এমন কোনো কার্ড। এ কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জিনিস কিনে ক্যাশব্যাক সুবিধা পান কি না, তাও জেনে নিবেন।<br /> <strong>৮. অভিযোগ করুন</strong><br /> কোনো রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে পছন্দ না হলে কিংবা কোনো দোকান থেকে পণ্য কিনে তা কাজে লাগাতে না পারলে চুপ করে বসে থাকবেন না। সেই প্রতিষ্ঠানে কিংবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে আপনি সে পণ্যের মূল্য ফেরত পেতে পারেন। এটি আপনার অর্থ বাঁচাবে।<br /> <strong>৯. মূল্য তুলনা করুন</strong><br /> যে কোনো পণ্য বাজারে গিয়ে পছন্দ হলেই কিনে ফেলবেন না। এজন্য সবার আগে দেখবেন পণ্যটির মূল্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে কেমন। এতে আপনার পণ্য সম্পর্কে ধারণা যেমন বাড়বে তেমন কমদামে পণ্যটি কেনার সুবিধাও পাবেন।<br /> <strong>১০. মূল্যছাড় সন্ধান করুন</strong><br /> যে কোনো পণ্য কেনার সময় কোথায় কোথায় তার মূল্যছাড় রয়েছে জেনে নিন। এতে আপনার বেশ কমদামে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা সম্ভব হবে।<br /> <strong>১১. বিক্রি করুন</strong><br /> বাড়ির অপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, পুরনো স্মার্টফোন ও ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য, ডিভিডি, কম্পিউটার, পুরনো বই ইত্যাদি ব্যবহার না করলে বিক্রি করে দিন। অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে এসব পণ্য বিক্রির জন্য।</p>