অডিও-ভিডিও কলের পাশাপাশি এবার গ্রুপ অডিও-ভিডিও কল সুবিধা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। বছরের শেষ নাগাদ ফিচারটি চালুর কথা থাকলেও গতকাল থেকে ফিচারটি উন্মুক্ত করেছে মেসেজিং অ্যাপটি। মে মাসে নিজেদের বার্ষিক ডেভেলপার সম্মেলনে হোয়াটসঅ্যাপে এ সুবিধা চালুর ঘোষণা দিয়েছিল ফেইসবুক। এ জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক ব্যবহারকারীদের ওপর ফিচারটির কার্যকারিতা পরীক্ষাও করছিল তারা।
গ্রুপ অডিও-ভিডিও কল সুবিধা চালু করল হোয়াটসঅ্যাপ
কালের কণ্ঠ অনলাইন

পর্যায়ক্রমে সব আইওএস এবং অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীই এ সুবিধা পাবে, জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। এত দিন অ্যাপটি কাজে লাগিয়ে বার্তা বিনিময়ের পাশাপাশি একজনের সঙ্গে অডিও ও ভিডিও কল করা যেত।
টেক প্রতিদিন ডেস্ক, সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
সম্পর্কিত খবর

নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ, গ্রুপ চ্যাটে হবে নতুন অভিজ্ঞতা
অনলাইন ডেস্ক

জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কয়েক দিন পরপরই নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয়। উদ্দেশ্য, এই অ্যাপকে আরো বেশি জনপ্রিয় করে তোলা। এবার তারা আনতে চলেছে এক নতুন এক ফিচার। এর ফলে বদলে যাবে গ্রুপ চ্যাটের অভিজ্ঞতা।
নতুন এই আপডেটের ফলে ইউজাররা কোনো গ্রুপে না ঢুকেও বুঝতে পারবেন সেখানে কী ঘটছে। আপাত দৃষ্টিতে এই আপডেট খুব সামান্য মনে হলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে ইউজারদের গ্রুপ চ্যাটের অভিজ্ঞতায়, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মেটার মালিকানাধীন এই মেসেজিং অ্যাপের সাম্প্রতিকতম বিটা আপডেটেড সংস্করণ ২.২৫.২০.১৭ এ এই আপডেটটি মিলবে।
কিভাবে কাজ করবে ফিচারটি
এত দিন পর্যন্ত কোনো গ্রুপের ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় কেউ ‘টাইপিং’ করছে কি না।
তবে এই আপডেট কেবল গ্রুপ চ্যাটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি এটি এখনই আইওএস ইউজাররা পাবেন না। এদিকে অ্যানড্রয়েড তথা বিটা ইউজারদের ক্ষেত্রেও আপাতত একেবারে সাম্প্রতিক ভার্সন ব্যবহারকারীদের একটি ছোট অংশেই এটি দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ধীরে ধীরে সবাই এই আপডেটটি পাবেন।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

ইউটিউব থেকে অর্থ আয়ের নীতিতে পরিবর্তন, কনটেন্ট নির্মাতাদের ওপর কী প্রভাব পড়বে?
অনলাইন ডেস্ক

অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউব তার ‘মানিটাইজেশন’ বা ভিডিও থেকে নির্মাতাদের অর্থ আয়ের নীতিতে নতুন আপডেট এনেছে। এর ফলে অন্যদের কনটেন্ট বা আগে ব্যবহার করা ভিডিও পুনরায় ইউটিউবে ছেড়ে আর অর্থ আয় করা যাবে না। ইউটিউব থেকে অর্থ আয় করতে হলে অবশ্যই কনটেন্ট বা ভিডিওতে নতুন অথবা কিছুটা মৌলিকত্ব থাকতে হবে।
‘অরিজিনাল কনটেন্ট’, অর্থাৎ মৌলিকত্ব রয়েছে এমন কনটেন্টকে উৎসাহ দিতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ইউটিউব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেকের উদ্বেগের কারণ, কোনো সৃজনশীলতা যোগ না করেই রেডিমেড (ইতিমধ্যে বিদ্যমান কনটেন্ট যা অন্য কেউ তৈরি করেছেন) কনটেন্ট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করে, এমন বিপুল সংখ্যক চ্যানেল রয়েছে। আর আগ্রহের একটা বড় কারণ হলো ইউটিউব বহুদিন ধরেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল যে, অরিজিনাল কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের স্বার্থ রক্ষার জন্য তারা পদক্ষেপ নেবে। ওই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) থেকে।
ইউটিউব যা জানিয়েছে
ইউটিউব বলছে, "আমরা আমাদের রিপিটিশাস কনটেন্ট (পুনরাবৃত্তিমূলক কনটেন্ট) বিষয়ক নীতিতে একটা ছোটখাটো আপডেট করছি যাতে রিপিটিশাস কনটেন্ট বা মাস প্রোডিউসড কনটেন্টকে শনাক্ত করা যায়।"
"আমরা এই নীতির নাম রিপিটিশাস কনটেন্ট থেকে পরিবর্তন করে ইনঅথেন্টিকেটেড কনটেন্ট রাখছি। বিদ্যমান নীতির আওতায় যেখানে স্রষ্টাদের তাদের সৃজনশীলতা এবং অরিজিনাল কনটেন্ট তৈরির পুরস্কৃত করা হয়, সেখানে ওই জাতীয় কনটেন্ট মানিটাইজেশনের জন্য অযোগ্য।"
পাশাপাশি জানানো হয়েছে 'রিইউজড কনটেন্ট' অর্থাৎ রেডিমেড কোনো কনটেন্টে কিছু নতুন যোগ করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই।
ইউটিউব জানিয়েছে, "আমাদের রিইউজড কনটেন্ট যেখানে কমেন্ট্রি (ধারাভাষ্য বা মন্তব্য যোগ করা) , ক্লিপ, কম্পাইলেশন (কনটেন্টের সংকলন) এবং ভিডিও রিক্রিয়েশন করা হয়, সেই সংক্রান্ত নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।"
ইউটিউবের 'এডিটোরিয়াল অ্যান্ড ক্রিয়েটর লিয়াজোঁ' রেনে রিচি এক ভিডিওতে বলেছেন, "এটা একটা ছোটখাটো আপডেট। আমাদের উদ্দেশ্য ইন অথেন্টিকেটেড কনটেন্টকে আরো ভালভাবে শনাক্ত করা। এটা কোনোভাবে রিক্রিয়েট করা ভিডিও বা ক্লিপের সংকলনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নয়।"
"একই ভিডিও যা ঘুরে ফিরে বারবার আসছে বা মাসপ্রোডিউস হচ্ছে, যেটা মানুষের কাছে স্প্যামের মতো, সেটাকে অর্থায়নের অযোগ্য বলে মনে মনে করা হচ্ছে- এই যা।
এর অর্থ কী
সহজভাবে বলতে গেলে এবার থেকে ক্রিয়েটর মাথায় রাখতে হবে তারা যে কনটেন্ট তৈরি করছেন সেখানে যেন মৌলিকত্ব বা নতুন কিছু থাকে। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সৌম্যক সেনগুপ্ত বলেছেন, "রিপিটিশাস কনটেন্টকে ইনঅথেন্টিক কনটেন্ট হিসাবে পুনর্বিবেচনা করার এই পদক্ষেপ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। এটা কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে মৌলিকত্ব আনার বিষয়কে উৎসাহ দেয় এবং এই নিয়ে ইউটিউব বহুদিন ধরেই প্রতিশ্রুতিও দিয়ে আসছিল।"
'রিপিটিশাস কনটেন্ট' এবং 'রিইউজড কনটেন্ট' কোনগুলো তা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন।
তার কথায়, "অন্যের বানানো কোনো কনটেন্টে নতুন কিছু যোগ না করে ব্যবহার করলে তা রিপিটিশাস কনটেন্টের আওতায় পড়ে। আবার ইতিমধ্যে তৈরি করা কোনো কনটেন্টে ব্যাখ্যা, অডিও ইত্যাদি যোগ করে যদি তা দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হয়, তাহলে তা রিউজড কনটেন্ট।"
আর 'মাসপ্রোডিউসড কনটেন্টের' ক্ষেত্রে 'টেমপ্লেট' ইত্যাদির বদল না করে ব্যাপক হারে কনটেন্ট তৈরি করা হয়। সেখানে নতুন কিছু যোগ করা হয় না। সেন বলেছেন, "আপডেট করা নীতিমালায় রিপিটিশাস বা মাসপ্রোডিউসড কনটেন্টকে অর্থায়নের অযোগ্য বলে জানানো হলেও রিউজড কনটেন্টের ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। আসলে ইউটিউব চাইছে ভিডিওতে মৌলিকত্ব আসুক নিদেনপক্ষে নতুন কিছু যোগ করা হোক।" এতে প্ল্যাটফর্মের মানও বাড়ে।
এই বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কোনো ভিডিওর মাসপ্রোডাকশন বা গণহারে তৈরি করা কঠিন কাজ নয়।
সেনের কথায়, "এখন এআই প্রম্পট ব্যবহার করে ব্যাপক হারে কনটেন্ট তৈরির কাজ সহজ। আজকের দিনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কোনটা খুঁজে বের করা থেকে শুরু করে তার উপর কনটেন্ট তৈরি সবই অ্যালগোরিদমের মাধ্যমে সহজেই হয়ে যায় এবং এইভাবে বিনা পরিশ্রম করেই মাসপ্রোডাকশন করে অর্থলাভ করা যেত। এটা বন্ধ করতে চাইছে ইউটিউব।"
সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ভিডিওর বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারেই দেখে এসেছে এই সংস্থা। কোনও কনটেন্ট এআই ব্যবহার করে তৈরি, তা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রেও উদ্যোগী হয়েছে ইউটিউব, যাতে তারা ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে পারে। আর এখন কনটেন্টে মৌলিকতার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
ইউটিউব বলেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ছবি, ভিডিও ইত্যাদির বিষয়ে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে। যদিও কোনওভাবে কনটেন্টের মান বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই বলে জানানো হয়েছে। মোটের উপর এআয়ের 'অপব্যবহার' রুখতে উদ্যোগী এই সংস্থা।
এই নীতিমালার আপডেটের কথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। "আসলে একটা বড় সংখ্যক চ্যানেল রেডিমেড ভিডিওকে নিজেদের কনটেন্ট হিসাবে ব্যবহার করে আয় করত। এতে যারা সৃজনশীল এবং মৌলিক কাজ করেন তাদের সমস্যায় পড়তে হতো। একটা হিট কনটেন্টকে আবার ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ ভিউ পেয়েছে এমন বহু চ্যানেল আছে," বলেছেন সিমরন কৌর। তার গবেষণার বিষয় সামাজিক গণমাধ্যম এবং ইনফ্লুয়েন্সার।
তিনি বলেছেন, "মোবাইল এবং ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি থাকায় এখন যে কেউ কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। গত কয়েক বছরে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত কোভিডের সময় লকডাউনের সময় থেকে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে আয়ও করা শুরু করেছেন। বিশ্বজুড়ে তো বটেই, ভারতেও অনেকের কাছে এটা ফুলটাইম পেশা।"
"শুধুমাত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী, শেফ বা সেলেব্রিটিদেরই নয় একজন গৃহবধূ থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি- যে কেউ জনপ্রিয় ক্রিয়েটর হতে পারেন। তাদের কারো কারো ফলোয়ার বা সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা নামী অভিনেতাদের টেক্কা দেওয়ার মতো। তবে, একদিকে যেমন অসংখ্য সৃষ্টিশীল ক্রিয়েটর রয়েছেন তেমনই, সৃজনশীলতার অভাব আছে, এমন ক্রিয়েটররের সংখ্যাও কম নয়।"
তার মতে, "তাছাড়া ফলোয়ার ধরে রাখতে গেলে নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড করতে হয়, তাই অনেকেই এই মাসপ্রোডাকশান এবং রিপিটিশাস ভিডিওর উপর নির্ভর করেন। তাদের অনেকে উদ্বিগ্ন যে ইউটিউবের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের ফলে তাদের সেই আয় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।"
তবে ইউটিউবের এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলেই মনে করছে তার মতো বিশেষজ্ঞরা। সেন বলেছেন, "ইউটিউবের এই পদক্ষেপকে যারা অনুকরণের বদলে মৌলিক কাজ করেন, সেই সমস্ত ক্রিয়েটরদের পুরস্কৃত করার একটা অপরিহার্য পদক্ষেপ বলেই মনে করি।"
"এটা তো শুধুমাত্র অ্যালগোরিদম-এর আউটপুট নয়। এখানে স্রষ্টার সৃজনশীলতা, আবেগ, অন্তর্দৃষ্টি এবং পরিশ্রম রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হয়তো সাহায্য করতে পারে কিন্তু স্রষ্টাকে তার স্বীকৃতি দিতে হবে।"
'মৌলিকত্বে বিশ্বাসীদের জন্য বড় সুযোগ'
ইউটিউবাররা বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন?
শেফ এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর মীত প্যাটেল বিবিসি বাংলাকে বলেছেন , "কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আট বছরের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আমার মনে হয় ইউটিউবের এই নতুন আপডেট বিশ্বজুড়ে স্রষ্টাদের উপর প্রভাব ফেলবে। যারা শুধুমাত্র রেডিমেড কনটেন্ট, এআই-এর মাধ্যমে তৈরি কনটেন্ট, কপি করা ভিডিও ব্যবহার করেন অথবা খুব কম পরিশ্রমে তৈরি কনটেন্ট পরিবেশন করেন, তাদের আয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই বড় ধরনের ধাক্কা লাগবে।"
"অন্যদিকে, আমার মতো অনেকেই যারা শুরু থেকে একেবারে নিজস্ব কনটেন্ট তৈরি করছেন, তাদের ক্ষতি হবে না। বরং যারা মৌলিক কনটেন্ট তৈরি করেন, তাদের আয় কিছুটা বাড়িয়ে দেবে এই নতুন আপডেট।"
গুজরাটের বাসিন্দা প্যাটেলের ইউটিউব এবং ফেসবুকে ফুড চ্যানেলে অনুরাগীদের সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। প্যাটেল বলেছেন, "এতদিন স্টক ভিডিও পুনঃব্যবহার, ট্রেন্ডিং বিষয়, বা স্বয়ংক্রিয় স্লাইডশোর মতো জিনিস ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি তুলনামূলকভাবে সহজ ছিল। প্রকৃত সৃজনশীলতা বা মৌলিকত্ব যোগ না করেই অর্থায়নযোগ্য ছিল সেই কনটেন্ট।"
"কিন্তু এখন কনটেন্ট রূপান্তর করতে হবে, মন্তব্য যোগ করতে হবে, নিজস্বতা আনতে হবে। বাস্তবে নতুন কিছু না কিছু অবদান রাখতেই হবে। রিপোস্ট বা সামান্য এডিট করে পোস্ট করা চলবে না।"
"আমার অভিজ্ঞতা বলছে মানুষ কিন্তু মৌলিক কনটেন্ট এবং সেটা তৈরির সৎচেষ্টার সঙ্গে নিজেদের অনায়াসে জুড়তে পারেন। বিষয়টা এখন আর কনটেন্ট তৈরি বা অনুকরণেই সীমাবদ্ধ নেই। এখানে নিজস্ব স্টাইল, মানুষকে নতুন কিছু দেওয়া, তাদের হাসানো, তাদের আবেগকে ছুঁয়ে যাওয়া, মনোরঞ্জন সবকিছু জড়িয়ে রয়েছে। তা সেটা নতুন রেসিপি শেয়ার করার মাধ্যমে হোক বা ট্রেন্ড অনুসরণ করে তৈরি কন্টেটের হাত ধরে।"
"যারা অনুকরণ করতেন, তাদের কাছেও এটা সুযোগ"
কলকাতার কনটেন্ট ক্রিয়েটর নিরঞ্জন মণ্ডল একজন পরিচিত মুখ। তার তৈরি হাস্যরসাত্মক কনটেন্ট এই তরুণকে অনেকের কাছে পরিচিত মুখ করে তুলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুরাগীদের সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়েছে। এই ইউটিউবার এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটরের কথায়, "এটা অরিজিনাল কনটেন্ট এবং তাদের স্রষ্টা দুজনকে রক্ষা করার জন্য একটা ভালো উদ্যোগ। যারা নিজেদের মৌলিকত্বের উপর ভিত্তি করে মানুষের মনোরঞ্জন করেন, তাদের জন্য এটা (ইউটিউবের নতুন আপডেট) জাস্টিস।"
তিনি বলছেন, "যারা ওই জাতীয় (পুনরাবৃত্তিমূলক) কনটেন্ট ব্যবহার করেন, তাদের জন্যও এটা একদিক থেকে ভাল। কারণ আয় হবে না বলে তারা অনুকরণের বদলে নিজেদের কনটেন্ট তৈরির বিষয়ে মনোনিবেশ করবেন। নতুন কিছু করার চেষ্টা করবেন।"
সূত্র-বিবিসি বাংলা

ভারতে খুলল টেসলার প্রথম গাড়ির শোরুম
অনলাইন ডেস্ক

ভারতীয় বাজারে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি (ইভি) বিক্রিতে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল টেসলা। ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কম্পানিটি আজ শনিবার (১৫ জুলাই) ভারতের অর্থনৈতিক কেন্দ্র মুম্বাইয়ে প্রথম শোরুমটি চালু করেছে। টেসলার মডেল ওয়াই গাড়িটি লঞ্চের মাধ্যমে ভারতের টেসলার যাত্রা শুরু হলো। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
খবরে বলা হয়, টেসলার এই ওয়াই মডেল গাড়িটি রিয়ার-হুইল ড্রাইভ এবং লং-রেঞ্জ রিয়ার হুইল ড্রাইভ ভ্যারিয়েন্ট ভারতে বিক্রি করা হবে। টেসলা মডেল ওয়াই-এর রিয়ার হুইল ড্রাইভ ভ্যারিয়েন্টের দাম শুরু হবে ৫৯.৮৯ লক্ষ টাকা থেকে, আর গাড়ির লং-রেঞ্জ ভার্সনের দাম হবে ৬৭.৮৯ লক্ষ টাকা।
এর ফলে টেসলার ওয়াই মডেল রিয়ার হুইল ড্রাইভ ভার্সনের অন-রোড দাম দাঁড়াবে ৬১.০৭ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে, গাড়িটির লং রেঞ্জ ভার্সনের অন-রোড দাম পড়বে ৬৯.১৫ লক্ষ টাকা।
এদিকে এই গাড়িতে কোনো গ্রাহক ইচ্ছা করলে ফুল সেলফ ড্রাইভিং ফিচারও পেতে পারেন। তবে তার জন্য তাকে আরো ৬ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। উল্লেখ্য, এই মডেল ওয়াই গাড়ির দাম আমেরিকায় ৩৮.৬৩ লাখ টাকা থেকে শুরু হয় (৪৪,৯০০ ডলার), চীনে ৩১.৭৫ লাখ (২,৬৩,৫০০ ইউয়ান), জার্মানিতে ৪৬.০৯ লাখ (৪৫,৯৭০ ইউরো)।
টেসলার মডেল ওয়াই রিয়ার হুইল ড্রাইভ মডেলটি ৬০কেডব্লিউএইচ এবং ৭৫কেডব্লিউএইচ ব্যাটারি প্যাক ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে ভারতে। এই গাড়ির লং রেঞ্জ ভ্যারিয়েন্টটি ৬২২ কিলোমিটার যেতে পারবে একবারের ফুল চার্জে। আর ৬০কেডব্লিউএইচ ব্যাটারির গাড়িটি এবারের ফুলচার্জে যেতে পারবে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ৭টি ভিন্ন রঙে মিলবে এই গাড়ি।

চ্যাটজিপিটির বানানো ডায়েট প্ল্যানে কমল ১১ কেজি ওজন
অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা কোডি ক্রোন (৫৪) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাটজিপিটির বানানো ডায়েট প্ল্যানে মাত্র দেড় মাসে ১১ কেজি ওজন কমিয়েছেন। সারা দিনে কখন কী খেতে হবে, কখন ঘুমাতে যেতে হবে— সব কিছু সময় মেপে ছক কষে ‘ডায়েট প্ল্যান’ বানিয়ে দিয়েছিল চ্যাটজিপিটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্ত্রী এবং দুই সন্তান নিয়ে কোডি ক্রোনের সংসার। দিনদিন ওজন বেড়ে যাওয়ায় চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি।
ভোর সাড়ে ৪টায় নিয়ম মেনে ঘুম থেকে ওঠেন কোডি। সকালের কাজকর্ম সেরে ভোর ৬টা থেকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করতে শুরু করেন তিনি।
সারা দিনে চার লিটার পানি পান করেন তিনি।
৪৬ দিন আগে তার ওজন ছিল ৯৫ কেজি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নির্ধারণ করা তালিকা অনুসরণ করে এক ধাক্কায় তার ওজন কমে যায় ১১ কেজি। বর্তমানে তার ওজন ৮৪ কেজি।