টাঙ্গাইলে এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার বাজার মন্দা যাচ্ছে। ফলে মাথায় হাত ফড়িয়াদের। তারা পুঁজি খাটিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়ার চামড়া সংগ্রহ করলেও আড়তদারদের কাছে গিয়ে কেনা মূল্যেও চামড়া বিক্রি করতে পারছে না তারা। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাকুটিয়ায় চামড়ার সবচেয়ে বড় হাটে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুচরা বিক্রেতারা। জেলার মৌসুমি (ফড়িয়া) ব্যবসায়ীরা জানায়, এক লাখ টাকার বেশি দাম দিয়ে কেনা ষাঁড়ের চামড়া বিভিন্ন গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ ৯০০ টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। এক লাখের কম দামে কেনা ষাঁড়ের চামড়া কেনা হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া প্রতিটি ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা দামে কেনা হয়। অথচ আড়তে গিয়ে সে দামে তারা চামড়া বিক্রি করতে পারছে না। এলেঙ্গার চামড়া ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির জানান, তিনি ৪০০টি গরু ও ৫৫০টি ছাগলের চামড়া কিনে লবণ মেখে হাটে তোলেন। কিন্তু বড় কোনো পাইকার তাঁর চামড়া দেখতেও আসেনি। বিক্রি না হওয়ায় আবারও লবণ মেখে রোদে শুকিয়ে প্রাথমিক প্রক্রিয়াজাত করে মাসখানেক পর আড়তদার বা ঢাকায় ট্যানারিতে বিক্রি করবেন।
টাঙ্গাইল শহরের মো. জালাল মিয়া জানান, তিনি এবার ৪০টি গরুর চামড়া ও ৩০টি ছাগলের চামড়া কিনে বিক্রি করে কোনো রকমে চালান তুলেছেন।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ট্যানারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে তারা চামড়া পানির দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। আড়তদার নুরুল ইসলাম বলেন, মূলত ট্যানারি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে চামড়া পানির দরে বিক্রি করতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
পাকুটিয়া চামড়ার হাটের ইজারাদার আব্দুল কাদের খান জানান, ফড়িয়ারা বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ-মহল্লা থেকে চামড়া কিনে হাটে আনে দুই টাকা লাভের আশায়। কিন্তু তারা সে লাভ পাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো পাইকার বা আড়তদারের লোক বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে ফড়িয়াদের কাছ থেকে বাকিতে চামড়া নিয়ে আর দাম পরিশোধ করে না।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
পরকীয়া প্রেমিকের স্ত্রী-কন্যার মারধরের শিকার চিত্রনায়িকা রাকা
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...