<p>রাজনীতিতে নাম লেখালেন এস ডি রুবেল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সহসম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীকে। গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে এস ডি রুবেল বলেন, “২০ বছর ধরে আমি নীরবে-নিভৃতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। চাঁদপুর সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালে কলেজটির ছাত্রলীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক ছিলাম।</p> <p>১৯৯৮ সালে নিজের কথা ও সুরে একটি গান করি—‘আমি নই মুসলিম/হিন্দু বৌদ্ধ-খ্রিস্টান/ পরিচয় বাংলাদেশের আমি এক বাঙালি’। গানটি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ফিলার সং হিসেবে বাজানো হয়। পরে স্বাধীনতাবিরোধী একজন সংসদ সদস্য গানটি নিয়ে সংসদে বক্তব্য দেন।</p> <p>এরপর ২০০২ সালে আমাকে বিটিভিতে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়। তার পরও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধরে সাংস্কৃতিক চর্চা চালিয়ে যাই। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বন্ধবন্ধুকে নিয়ে একটি গান করি। অর্থাৎ দলটির প্রতি ভালোবাসা সব সময়ই ছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটির সহসম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় আমি আনন্দিত। চেষ্টা করব অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার।’ তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, এই তালিকা খসড়া। সব যাচাই-বাছাইয়ের পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।</p> <p>জানা যায়, এস ডি রুবেল একসময় বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা—জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। ঢাকা কলেজে পড়ার সময়ও তিনি ছাত্রদলের নেতা ছিলেন। এ প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।</p> <p>তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতিবিষয়ক সহসম্পাদক মনির খান বলেন, ‘এস ডি রুবেল জাসাসের বেশ কয়েকটি কমিটির সদস্য ছিলেন।’</p>