<p>মাত্র ২১ বছর বয়সে ১৯৯৩ সালে 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবির গানের মধ্য দিয়ে কণ্ঠশিল্পী আগুন নিজেকে মেলে ধরেন। এ ছবির মধ্য দিয়েই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তিনি পরিচিতি লাভ করেছেন।  কেয়াময়ত থেকে কেয়ামত ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে যে ৩ নক্ষত্রের সন্ধান মেলে তাঁরা হলে আগুন, সালমান শাহ ও মৌসুমী।  সালমান শাহ ও মৌসুমী এই অভিষেক ছবির মধ্য দিয়েই এদেশের দর্শক হৃদয়ে দারুণ প্রভাব বিস্তার করেন।</p> <p>তৎকালীন সময়ে ছেলে-বুড়ো সবার মুখে মুখেই 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' ছবির গানগুলো শোনা যেত। শুধু তাই নয়, এই গানগুলো সেই সময়ের অনেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীরাও বিভিন্ন গানের আসরে গেয়েছেন।  ই ছবিতে তার সঙ্গে আরো দ্বৈত কণ্ঠ দিয়েছেন উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা।</p> <p>আগুন বলেন, 'রুনা আন্টি (রুনা লায়লা) আমাকে দেখে আলম চাচাকে (সুরকার আলম খান) বললেন, ও তো আমাদের আতা ভাইয়ের (খান আতাউর রহমান) ছেলে। কিন্তু ও কি আমার সঙ্গে গান করতে পারবে? তার কথা শুনে আলম চাচা বলছেন, আপা আপনি আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। ওর কণ্ঠের গান একবার শুনে দেখেন। আমি যখন গাওয়া শুরু করলাম, দেখলাম রুনা আন্টি বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছেন। গানটির রেকর্ডিং শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রুনা আন্টি বলে উঠলেন, সত্যি আমি আগুনের কণ্ঠ শুনে মুগ্ধ। আলম ভাই আপনি খাঁটি সোনা পেয়েছেন। রুনা আন্টির কথাগুলো শুনে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে যাই।'</p> <p>সালমানের মৃত্যুর ২০ বছর হয়ে গেল। মৌসুমী এখনো নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। আর আগুন ধীরে ধীরে হাঁটছেন। তবে এই ৩ নক্ষত্র যে বাংলাদেশের শো বিজ অঙ্গনে বড় ভূমিকা রেখেছেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল সবাই একমত।  </p> <p> </p>