<p>কক্সবাজারের টেকনাফে জহির উদ্দীন (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পর মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। অপহৃত ব্যক্তি উখিয়া উপজেলার থাইংখালী এলাকার মৌলভী জাকের হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। </p> <p>গত রবিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারের নিজের চেম্বার শেষ করে অটোরিকশায় শামলাপুর-হোয়াইক্যং সড়কে বাড়ি ফেরার পথে পাহাড়ের ডাকাতরা তাকে অপহরণ করেন।</p> <p>অপহৃত জহির উদ্দীনের ছোট ভাই কমরুদ্দীন মুকুল জানান, ভাইকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পার হতে অপহরণকারী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী পাহাড়ী এলাকায় অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেয়। এর আগে তাকে ছেড়ে দিতে অপহরণকারীরা পরিবারের কাছে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।</p> <p>অপহৃত জহির উদ্দীনকে উদ্ধার করতে সোমবার বিকালে বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছেন। তবে তাকে শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরিবারের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। যদিও পুলিশের দাবি, অভিযানের মুখে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিয়েছে।</p> <p>টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, অপহরণের বিষয়ে খবর পেয়ে আমরা তাকে উদ্ধার করতে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করেছি। পুলিশি অভিযানের মুখে অপহরণকারীরা তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। </p> <p>এদিকে সীমান্ত জনপদ টেকনাফে অপহরণের রেশ কাটছে না। গত মাসে উপজেলায় চারটি ঘটনায় ১৬ জন ব্যক্তি অপহরণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে গত ৯ মার্চ হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী থেকে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ নামের ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র। ঘটনার ২২ দিন পর তাকে কুমিল্লার লালমাই থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের ১৭ জনকে আটক করা হয়। এরপর মার্চ মাসে পানখালী পাহাড়ী এলাকা থেকে আরো পাঁচজন কৃষক এবং হোয়াইক্যং পাহাড় থেকে পৃথক দুটি ঘটনায় ১০ জন কৃষক ও রাখালকে অপহরণ করা হয়। এদের বেশির ভাগই অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।</p> <p>প্রসঙ্গত, গত ২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১২০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৬২ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের শিকার পরিবারের তথ্য বলছে, অপহৃতদের মধ্যে অন্তত ৫৩ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।</p>