<p>ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এবার আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এ অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান।</p> <p>আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ডিন অফিস ঘেরাউ করে তালা লাগিয়ে দেন।</p> <p>এ সময় প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভুক্ত ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>শিক্ষার্থীরা জানান, গত বছর ১২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের অধীনে থাকা ১১টি বিভাগকে আলাদা করে তিনটি অনুষদে (প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ, (বায়োলজিক্যাল সায়েন্স অনুষদ এবং বিজ্ঞান অনুষদ) অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন বর্ষ (২০১৮-১৯) থেকে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদভূক্ত পাঁচটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রির মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও চলমান ব্যাচগুলোর এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো বৈষম্য ছাড়াই সব ব্যাচগুলোকে ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজির মান দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল তারা।</p> <p>এরপর বিষয়টি অনুষদকে বার বার অবহিত করার পরও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো কার্যকারী পদক্ষেপ না নেওয়ায় এর আগেও মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘটসহ ক্লাস বর্জনের মত কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এসব কর্মসূচির পরও দাবি আদায় না হওয়ায় মঙ্গলবার আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন তারা।</p> <p>অনশনে আইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী সৈকত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান দেখা করেন। সর্বশেষ এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।</p> <p>এ বিষয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মমতাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়ায় আছে। আগামী ২৭ এপ্রিল ফ্যাকাল্টি মিটিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। এরপর মিটিংয়ে পাশ হলে বিষয়টি একাডেমিক সভায় যাবে। এ সময় শিক্ষার্থীদের অনশনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি যেহেতু যথাযথ প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে আসতে হবে। ফ্যাকাল্টি মিটিং হয়ে একাডেমিক সভায় আসলে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবো।</p>