<p><span style="line-height:1.6em">যশোর ২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড এখনো গাছে ঝুলছে। একই সাথে বিভিন্ন রংবেরঙের পোস্টার সাঁটানো রয়েছে। রবিবার রাত ১২ পর্যন্ত এই সব প্রচারপত্র তুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকাংশে মানেননি প্রার্থীরা। ফলে ভোটারদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।</span></p> <p>সরেজমিন ও খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রচারপত্র হাট-বাজার, বিভিন্ন সড়কের গাছ, প্রাচীর, গ্রামের পাড়া, মহল্লায় সাঁটানো ছিল। প্রচারপত্রগুলো তুলে ফেলার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিলে প্রধান প্রধান বাজার ও সড়কের গাছে লাগানো সাইনবোর্ড অপসারণ করা হয়। কিন্তু রবিবার রাত ১২টার মধ্যে এই সব প্রচারপত্র অপসারণের নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়ন সড়কের গাছে আজ সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচারপত্র ঝুলতে দেখা গেছে। </p> <p>দেখা গেছে, পুড়াপাড়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে, মন্দিরের সামনে, চুটারহুদা মন্দিরের সামনে, চৌগাছা কুঠিপাড়া এলাকায় গাছে ঝুলে রয়েছে প্রার্থীদের প্রচারপত্র। এ ছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামের সড়কের গাছে নানান প্রচারপত্র গাছে কিংবা বিভিন্ন স্থানে ঝুলে আছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।</p> <p>স্থানীয়রা জানান, নেতারা সবাই ঢাকায় অবস্থান করছেন। তাই নির্বাচনী নির্দেশনা মানার সময় তাদের নেই। বড় বড় বাজার বা মেইন সড়কের গাছের সাইনবোর্ড প্রার্থীর পক্ষের লোকজন নামিয়ে ফেলেছে। তবে গ্রামাঞ্চালে এখনো রয়ে গেছে। </p> <p>নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভোটার জানান, প্রার্থীরা যদি আইন না মানেন, তাহলে তারা নির্বাচিত হলে জনগণের সেবা কিভাবে দেবেন।</p> <p>এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার মারুফুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত এ সকল প্রচারপত্র অপসরণের নির্দেশনা দেওয়া আছে। এই নির্দেশনা মানা না হলে নির্বাচন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে একজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আইন মেনেই ভোটের কার্যক্রম চালাতে হবে। আইন অমান্য করা হলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করব না।   </p>