<p>ফরিদপুরে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তৌফিক হোসেন ওরফে পুচ্চিকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিবহন শ্রমিক লাবলু  হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।</p> <p>তৌফিক হোসেন পুচ্চি ফরিদপুর শহরের নিলটুলী এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র-ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত জিএস ও ভিপি এবং জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে ঠিকাদারী পেশার পাশাপাশি নারী উন্নয়ন ফোরাম নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সাথেও যুক্ত রয়েছেন তিনি।</p> <p>ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় কয়েক জন ব্যক্তি তৌফিক হোসেন ওরফে পুচ্চিকে পরিবহন শ্রমিক লাবলু হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে আটকে রেখে মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ তৌফিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আজ শনিবার দুপুরে ওই হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে জেলার মূখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।</p> <p>এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোতয়ালী থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, গত বছরের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় মারধরের শিকার হয়ে আহত হন শহরের মোল্লাবাড়ি সড়ক এলাকার মৃত মো. সিদ্দিকের ছেলে পরিবহন শ্রমিক মো. লাবলু (২৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ ডিসেম্বর মারা যান লাবলু। মৃতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বছরের ৯ এপ্রিল লাবলুর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামির মধ্যে এক আসামী বর্তমানে জেলহাজতে এবং অপরজন পলাতক রয়েছে।</p> <p>তিনি বলেন, তৌফিক হোসেনকে পরিবহন শ্রমিক লাবলু হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে তৌফিক হোসেনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।</p>