<p>যশোর বিমানবন্দরের সিকিউরিটি ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে চোখ তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওই উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এস এম হাবিবুর রহমান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।</p> <p>শুক্রবার বিকেলে যশোর বিমানবন্দরের এক নম্বর ভিআইপি ওয়েটিং রুমে এ ঘটনা ঘটে।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার বিকেলে ঢাকাগামী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০৪৬৮ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম হাবিব, তার স্ত্রী রোকেয়া হাবিব এবং ছেলে রেজওয়ান হাবিব আলিফ। বিমানবন্দরে এসে এক নম্বর ভিআইপি রুমে বসে ছিলেন ছেলে আলিফ ও তার মা রোকেয়া হাবিব। এসময় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ইনচার্জ শহীদুল্লাহ তাদের পরিচয় জানতে চান এবং পদমর্যাদা অনুযায়ী কারা ওই কক্ষে বসতে পারবেন তা জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এস এম হাবিবের ছেলে আলিফ। আলিফ তার বাবা হাবিবকে ফোন করে ওই কক্ষে ডেকে আনেন। হাবিব এসে নিরাপত্তা ইনচার্জকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে ব্যাগেজ এরিয়া থেকে ইনচার্জকে ডেকে এনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। </p> <p>সিকিউরিটি ইনচার্জকে উদ্দেশ করে হাবিব বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা কী, তা তুই জানিস? তোর পরিচয় কী? তোর চোখ তুলে নেব। উপজেলা চেয়ারম্যান ডিসি-এসপির সমতুল্য। আমি ভিআইপি-১-এ বসবো। তুই কাকে বলবি বল, বেয়াদব কোথাকার।</p> <p>সিকিউরিটি ইনচার্জ শহীদুল্লাহ বলেন, ঘটনার সময় আলিফের সঙ্গে থাকা তার এক বন্ধু আমাকে বলেন, তুই ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে চাকরিতে ঢুকেছিস। তুই পদমর্যাদার কী বুঝিস?</p> <p>যশোর বিমানবন্দরের ম্যানেজার আলমগীর পাঠান বলেন, আমি এ বিষয়ে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পাশাপাশি যশোরের প্রশাসনকেও জানাবো।</p> <p>তবে এস এম হাবিব তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিমানবন্দরে কোনো ঘটনা ঘটেনি। সিকিউরিটি ইনচার্জ যে অভিযোগ করেছেন, তা মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।</p> <p>বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক আলমগীর পাঠান বলছেন, মন্ত্রী, এমপি, সচিব, যুগ্মসচিবরা বিমানবন্দরের এক নম্বর ভিআইপি কক্ষ ব্যবহার করতে পারেন। এর নিচের পদমর্যাদার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ভিআইপি-২ ব্যবহার করতে পারবেন।</p>