<p>ফেনীর বহুল আলোচিত ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক একরাম হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের জেরা শুরু হয়েছে। এর আগে গত ১২ ও ১৮ অক্টোবর তিনি আদালতে জবানবন্দি পেশ করেন।<br />  <br /> আজাদ একরাম হত্যার সময় ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে দাগনভূঞা থানার ওসির দায়িত্বে রয়েছেন এই কর্মকর্তা। আদালত ২২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেন।</p> <p>আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে সরকারী কৌসুলী (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ জানান, বৃহস্পতিবার মামলার আসামি আব্দুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু, সাজ্জাদুল ইসলাম পাটোয়ারি সিফাত, শাহজালাল উদ্দিন শিপন, আবু বকর ছিদ্দিক, রুবেল ও মামুনের পক্ষে তাদের আইনজীবী আহসান কবির বেঙ্গল জেরা করেন। বেঙ্গল তার আসামিদের নির্দোষ দাবি করে বলেন, দফায় দফায় এই ৬ আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। তিনি মামলার অভিযোগপত্রেও কিছু ত্রুটি রয়েছে বলে দাবি করেন এবং বলেন, এই ৬ আসামি ঘঁনার সময় কোথায় কিভাবে ভূমিকা রেখেছেন, তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ নেই। পক্ষান্তরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি পক্ষের কৌসুলীর অভিযোগসমূহ অস্বীকার করে বলেন, তদন্তে যা পাওয়া গেছে তার সবই অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।</p> <p>সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে একরাম হত্যা মামলার আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হকের আদালতে আনা হয়। বিকাল ৫টার দিকে বিচারক মামলার ৩৪তম দিবসের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেন।</p> <p>প্রসঙ্গত, ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হককে ২০১৪ সালের ২০ মে ফেনী সদরের একাডেমী এলাকার অধূনালুপ্ত বিলাসী সিনেমা হলের সামনে হত্যা করা হয়। বর্তমানে মামলাটির সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ পর্যন্ত ৫১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। মামলার ৫৬ আসামির মধ্যে ৪৬ জন গ্রেপ্তার হন। এদের মধ্যে ২২ জন ফেনী কারাগারে, ৩ জন কুমিল্লা কারাগারে ও ২০ জন জামিন আছেন।</p> <p>বৃহস্পতিবার ৪৩ জন আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। ২ জন আসামি জামিন পেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ইতিপূর্বে আসামি নাসির উদ্দিন অনিকের বিরুদ্ধে ও বৃহস্পতিবার আবিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক। অন্যতম আসামি মো. সোহেল র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।</p>