সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ডিলারদের না জানিয়ে ওএমএসের ৬ মেট্রিক টন চাল নিজেই উত্তোলন করার দায়ে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়াকে 'স্ট্যান্ড রিলিজ' করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই দুর্নীতীবাজ খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।
জানা গেছে, বন্যায় উপজেলার কৃষকের একমাত্র বোরো তলিয়ে যাওয়ার পর সরকারিভাবে কৃষকদের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এ রকম প্রেক্ষাপটে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১১ জন ওএমএস ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়। প্রত্যেক ডিলার প্রতিদিন ১৫ টাকা কেজি দরে খোলাবাজারে পাঁচ কেজি করে ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে চাল বিক্রি করার কথা। উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে ডিলার শাখাওয়াত হোসেন, রাজু আহম্মেদ ও ডিলার আব্দুর রাজ্জাকের জন্য বরাদ্দ করা ৬ মেট্রিক টন চাল ওই তিন ডিলারকে না জানিয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা নিজেই ধর্মপাশা সোনালী ব্যাংকের ২৪,২৫ ও ২৬ নম্বর চালান মূলে উক্ত চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
পরে তার এ দুর্নীতীর বিষয়ে 'ধর্মপাশায় খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার কাণ্ড' ডিলারদের না জানিয়ে ওএমএসের চাল তুলে নিলেন নিজেই। এই শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং তার এ দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সুনামগঞ্জ উপজেলা সদরের খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ও একই সদরের খাদ্য পরিদর্শক রফিকুল হাসানকে দিয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার ফলেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ধর্মপাশা উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি ডিলারদের একটি সাজানো নাটক উল্লেখ করে কালের কণ্ঠকে বলেন, ওই তিন ডিলার খোলাবাজারে চাল বিক্রিতে বেশ কিছুদিন ধরেই অনিয়ম করে আসছিল। আর আমি বিভিন্ন সময়ে তাদের দোকান পরিদর্শন করার সময় তাদেরকে একাধিকবার সতর্ক করাতেই তারা আমার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া মোস্তফা কালের কণ্ঠকে জানান, উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগটি প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই কর্মকর্তাকে প্রাথমিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজ করে জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের