<p><span style="line-height:1.6em">শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মাটিয়া পাড়া থেকে সারিকালি নগর হয়ে বাগেরভিটা বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তার গ্রামের মানুষের যাতায়াতের মাধ্যম এখন শুধুই নৌকা। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় গ্রামবাসীর। এই অবস্থায় চরম দুর্ভোগের শিকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষকসহ সাধারণ গ্রামবাসী। গ্রামগুলো হচ্ছে মাটিয়া পাড়া, সারিকালিনগর, বালুরচর, কালিনগর, নয়াপাড়া, দাড়িয়ারপাড়, কান্দুলী, কুচনিপাড়া, বাগেরভিটা ও কোনাগাঁও। এসব এলাকার মানুষেরা এ রাস্তায় যাতায়াত করে থাকে।</span></p> <p>সারীকালিনগর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক সেলিম মিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশ স্বাধীনের পর গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এ রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণের দাবি উঠেছে বহুবার। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। </p> <p>রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণের অভাবে শুষ্ক মৌসুমে যেমন-তেমন প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলের পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। আর গ্রামবাসীর রাস্তা পারাপারে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। সেই সাথে পানিবন্দি হয়ে পড়ে বিল এলাকা হিসেবে পরিচিত এলাকাগুলো।</p> <p>গত ক'দিনের অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে এখন গ্রামের শতশত লোকের পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকা।  </p> <p>উল্লেখ্য, রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণ করা না হলেও ২০০৪ সালে এ রাস্তার গজারমারীতে এলজিইডি'র উদ্যোগে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে একটি ব্রিজ। কিন্তু ব্রিজসংলগ্ন রাস্তা নির্মাণ না করেই ব্রিজ নির্মাণ করায় শুষ্ক মৌসুমেও ব্রিজটি গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।</p> <p>গ্রামের একাধিক লোকের ভাষ্য মতে, রাস্তা সংস্কার ও পাকাকরণ করা হলে এসব এলাকায় কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার সাথে এ উপজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।</p> <p>এ ব্যপারে ৫ নম্বর ঝিনাইগাতী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন কালের কণ্ঠকে বলেন, সম্প্রতি কাবিখা কর্মসূচির আওতায় ব্রিজের দুই পাশে মাটি কেটে উঁচু করার পরও বন্যার কারণে কাঁচা রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গেছে। রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ইতিমধ্যে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আশা করছি এই অর্থবছরে পাকাকরণের কাজটি শুরু হতে পারে।</p>