শেরপুরে ৩ মার্চ বৃহস্পতিবার বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধকল্পে বাল্যবিয়ে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ কর্মসূচির আওতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় শেরপুর জেলা প্রশাসন ও সৃজনশীল মহিলা উন্নয়ন সংস্থা এ কনফারেন্সের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে কক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কনফারেন্সে মুলপ্রবন্ধ পাঠ করেন কর্মসূচি পরিচালক ও মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ডা. মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশে ৬৪ শতাংশ বিয়েই হচ্ছে বাল্যবিয়ে। এই বাল্যবিয়ের ফলে গর্ভবতী কিশোরী কন্যা সন্তানের সংখ্যা বাংলাদেশে এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ এবং বিশ্বে তৃতীয়। বাল্যবিয়ের শিকার ১৮ বছরের কম বয়সী প্রতি ১০ জনে একজন সন্তান জন্ম দেয়। আর গর্ভধারণের জটিলতায় প্রতিবছর ২০০০ কন্যা শিশু মারা যায়। বাল্য বিয়ের ফলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এজন্য শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসনে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধান অতিথির মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, পরিবারে এবং সমাজে মেয়েদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। মেয়েদের লেখাপড়ার সুযোগ বাড়াতে হবে। তবেই বাল্যবিয়ে কমবে। বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। সেই লক্ষ্যে সারাদেশে এ ধরনের সচেতনতামুলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাল্যবিয়ে বন্ধে সকল শিশুকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের আওতায় আনার তাগিদ দিয়ে বলা হয়, জন্ম নিবন্ধন সনদ যাচাই ছাড়া কাজিদের বিয়ে পড়ানো যাবেনা। বিদ্যালয়ে শিশুদের ঝড়ে পড়া রোধ, সামাজিক নিরাপত্তা জোরদার এবং বাল্যবিয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সমাজের সবার দায়িত্বশীল নাগরিকদের যার যার অবস্থান থেকে বাল্যবিয়ে বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অঞ্জন চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক মো. এনামুল হক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. মো. আনোয়ার হোসেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা চেযারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম, শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবা শারমিন, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, শিক্ষক জীবন কৃষ্ণ বসু, কাজী আবুজাফর আল আমিন, পুরোহিত কমল চক্রবর্তী, সাংবাদিক হাকিম বাবুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের নিকট থেকে বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতার বিষয়ে বিভিন্ন মতামত ও সুপারিশমালা গ্রহণ করা হয়।
দিনব্যাপী এ কনফারেন্সে জনপ্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধি, ইমাম, কাজী-পুরোহিত, নারী ও শিশু সংগঠক, সমাজকর্মী, শিশু সাংবাদিক সহ ১২০ জন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য
আলোচিত সংবাদ
ব্যাখ্যা ছাড়া সর্বসাধারণের পক্ষে কোরআন বোঝা সম্ভব নয়
আমাদের জাহিদ গুগলের ম্যানেজার
বিশ্বের যেসব দেশ ভ্রমণে ভিসা লাগে না...
সিগারেট তৈরির একটি মূল উপাদান ইঁদুরের বিষ্ঠা!
সারাদিন বিছানায় শুয়ে অন্যের রক্ত যোগাড় করেই দিন কাটে মিমের
সীমান্তে সেনা, অস্ত্রের মহড়া মিয়ানমারের